ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

​ধর্ষণরোধে ইসলামী শাস্তি কার্যকর করা প্রয়োজন

আমাদের দেশে প্রতি নিয়তই ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে ধর্ষিতা হচ্ছে নারী। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আর ধর্ষণ করছে মসজিদের ঈমামসহ শিক্ষক ও সাধারণ অপরাধীরা। দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী পাঁচটি অবস্থায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলা যায়, সেগুলো হলো  ১. নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে, ২. নারীর সম্মতি ছাড়া, ৩. মৃত্যু বা জখমের ভয় দেখিয়ে, ৪. নারীর সম্মতি নিয়েই, কিন্তু পুরুষটি জানে যে সে ওই নারীর স্বামী নয় এবং পুরুষটি তাও জানে, নারীটি তাকে এমন একজন পুরুষ বলে ভুল করেছে যে পুরুষটির সঙ্গে তার আইনসঙ্গতভাবে বিয়ে হয়েছে বা বিবাহিত বলে সে বিশ্বাস করে। ৫. নারীর সম্মতিসহ কিংবা সম্মতি ছাড়া যদি সে নারীর বয়স ১৬ বছরের কম হয়। অর্থাৎ ১৬ বছরের চেয়ে কম বয়সী মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।


আমার মতে আমাদের দেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে পবিত্র কোরআন তথা ইসলামী আইন বলবৎ করা প্রয়োজন। কারণ মহান আল্লাহ পাক ধর্ষকদের জন্য কঠোর আইনের ব্যবস্থা করেছেন। নি¤েœ ধর্ষণের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন তথা ইসলামী আইন তুলে ধরা হলো।

ইসলামে ধর্ষণের আইনঃ ধর্ষণের ক্ষেত্রে তিনটি অপরাধ সংঘটিত হয়। এক. ব্যভিচার। দুই. বল প্রয়োগ। তিন. সমভ্রম লুণ্ঠন। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে ১০০ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরকরণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ (সূরা নূর : ২)। হাদিসে এসেছে, ‘অবিবাহিতের ক্ষেত্রে শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে ১০০ বেত্রাঘাত ও রজম বা পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড।’ (মুসলিম : ৪৫১১)। এ হাদিস থেকে জানা গেল ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। কিন্তু সে বিবাহিত না হলে তাকে ১০০ বেত্রাঘাতের পাশাপাশি বিচারক চাইলে দেশান্তর করতে পারেন। 

আমাদের দেশে ধর্ষণের শাস্তিঃ যেসব আইনে ধর্ষণজনিত বিধিবিধান রয়েছে সেগুলো হলো- ১. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ ( সংশোধনী ২০০৩), ২. দন্ডবিধি, ১৮৬০, ৩. সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২, ৪. ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৬০।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে উল্টো ধর্ষিতাকেই নাজেহাল হতে হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন,
"বিচারহীনতার কারণেই ধর্ষণের বিষগুগুলা আরো বেশি হচ্ছে। বার বার প্রমাণ করতে গিয়ে ভিকটিম দ্বিতীয় বার ধর্ষণের শিকার হয়। থানায় মামলা নিতে বা আসামী পক্ষের আইনজীবী যেভাবে প্রশ্ন করে তখন সে আরেকবার ধর্ষণের শিকার হয়। আইনে আছে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে, বিশেষ ক্ষেত্রে কারণ দেখিয়ে কিছুটা সময় নিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মামলা শেষ হতে দশ বছর বিশ বছরও লেগে যাচ্ছে।"

তবে আমার মতে বাংলাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামী আইন তথা পবিত্র কোরআনের আইন কার্যকর করে ধর্ষণকারীদের শাস্তি দিলে ধর্ষণ প্রতিরোধ সম্ভব হবে।

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ kazijahir তারিখঃ 08/07/2019
সর্বমোট 584 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন