ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে ঃ এডমিন দরজা খুলেন

কারে কি কই ? আমি জাইগ্যা থাকলে এডমিন ঘুমায় - আজব ব্যাপার ! এমন এক চিড়িয়া মার্কা দেশে থাকে এডু। আরে ভাই - দেশ কয় আমার টারে। ঘরে ছোট্ট পুলাপান থাকলে চিৎকার চেচামেচি করে , মারামারি করে , যেখানে সেখানে হাগু-মুতে এইটাই নিয়ম নাহলেই দেশ হইল নাকি ? আপনি যে দেশে থাকেন সে দেশরে টেডিভিশনে দেখছি - কেমন মরা মরা । উপরে-নীচে-মাটির ভিত্রে রাস্তা বানাইয়া তুইছে । আরে ব্যাটা - এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবি - অফিসে যাবি -কামে যাবি , সমস্যা কি ? এত দৌড়াদৌড়ির কি আছে ? সময় বাচানোর লাইগ্যা দুনিয়া ছেদা করন লাগব নাকি ? চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বাসে যাইতে লাগে ১ দিন । কত মজা । কতদূর গেলেন - বাস থেইক্যা নাইমা মুতলেন - আবার কত্দূর গেলেন চা খাইলেন - আবার কতদূর যাইয়া রাস্তায় নাইম্যা চারিদিকে ঘুইরা দেখলেন - শেষে ঢাকা পৌছাইলেন - কত মজা। তা না,  বিলাতে গাড়িতে উঠলেন আর নামলেন , টাকা উসুল হয়ল কেমনে যদি চেয়ারই গরম না হয় ? দুনিয়া চলে আস্তে আস্তে, সময় চলে আস্তে আস্তে । হাঁটা শিখতে লাগে এক বছর,  স্কুলে ভর্তি হইতে লাগে সাড়ে তিন বছর বা চার বছর । 

যাউকগা , যে কথা কইতে চাই - আপনি বিলাতে থাকতে থাকতে বিলাতী ভাব ধইরা ফেলছেন । আরে বিলাতিরা হইল চোরের জাত। আমাগো দেশ থেইক্যা সব টাকা পয়সা চুরি কইরা এখন সাহেব সাজছে । নেতাগিরি ফলাই । আমাগো টাকা আবার আমারে দিয়া বুঝ দেয়। আপনি একটা চিন্তা করেন , দেশে থাকতে চা খাইছেন ২-৪ টাকা , এখন নেয় ১০টাকা । আর বিলাতে চা-য়ের দাম নাকি ৮০ টাকা আবার কেউ কেউ কয় তার ও বেশি । এবার বুঝেন - চোর কারে কয় ?  ঘরে ঘরে চোর ওখানে । সব শ্বেতী রোগী।  আবার আমাগো কয় ভিসা নিয়ে আস ? যা ব্যাটা - তোর ভিসায় মুতি । কানে কানে আপনারে একটা কথা কই - চা-য়ের দাম চাইলে , চায়ে চিনির বদলে নুন দিছে বইল্যা কেচাল লাগাইয়া দেবেন। 

যাউকগা , তেনা প্যাচাইয়া লাভ নাই - আসল কথায় আসি । আজকে মুক্ত্চিন্তার পাতা খুইল্যা - একটু পিছলাইলাম। মুলা ঝুলাইছেন - " কবিতা লিখলে কি কবি হওয়া যায় ? - মেটা পোষ্ট " -এ । এটা এমন কোন বিষয় না যে মুলা ঝুলাইতে হবে। মুলা ঝুলাইয়া আপনি বিলাতী চাল চালছেন !  দেখেন , আমাগো দেশে লেখালেখির কোন স্কুল কলেজ নাই , যেখানে ছোট্ট বেলা থেকে লেখালেখি শিখাইবো- কেমনে লেখলে কবিতা হয়, কেমনে লেখলে গল্প হয় ? আমাগো দেশের মাটিতে কবিতা - গল্প - গান আপনা-আপনি জন্মায় । পানি ঢাইল্যা যত্ন করা লাগে না । বড়ই উর্বর জমি। পোষ্টদাতা কয়েকজন নামজাদা মানুষের নাম কয়েছেন , বলছেন একজন এইভাবে লিখছে - তো আরেকজন এইভাবে লিখছে , সমস্যা কি ? হেরা ওদের মতন লিখছে - আমরা আমাদের মতন লিখব , সমস্যা কি ? সুরকার পুত শব্দ কইরা পিছন থেকে শব্দ করলেও সুর হয় - সমস্যা কি ? 

সুলতার জনক মহাকবি শফিকুল ইসলাম কবিতা লিখেন - উনি জীবনানন্দ-কে চ্যালেজ্ঞ করছেন কবিতায় । বেশ ভাল কথা - ভাল না চায়ের দামে শরবত পাইলাম । কিন্তু ঝামেলা হইল - জীবনানন্দ মইরা ভুত হইয়া গেছেন , ওনারে জীবিত করা বেসম্ভব ব্যাপার । যদি মহাকবি শফিকুল ইসলাম জীবনানন্দের সময় জন্মাইতেন আর জীবনানন্দ মহাকবি শফিকুলের সময় তাইলে আপনি কারে সাপোট দিতেন ? একবার চিন্তা করেন ?   তখন সুলতা হইত মহাকালের সেরা । সৌন্দর্য্যের রানী।  যেমন - "মোনালিসা", এটা কোন ছবি হইল ! ? তখনকার দিনে আমাদের মতন প্রতিভার জন্ম হয় নাই বইল্যা ওই সব মানুষ ভাত পাইছে , এখন জন্ম নিতে কন ? লা-ভিঞ্চি কে বাঁশের কঞ্চি বানাইয়া দিতাম না ?  কানা হোমার "হেলেন"-এর রূপের কথা কয় নাই কিন্তু তখনকার দিনের মানুষ নিজে নিজে বানাইয়া নিছে - হেলেন মহাসুন্দরী । কিছু মানুষ আছে , মনে করে "পুরান চাল ভাতে বাড়ে" । আরে ব্যাটা,  পুরান মানে কতদিনের পুরান ? হেইডা কয় না ? খালি প্যাচ বানাই । একসময় আমাদের রোমান্টিক হিরো "এরশাদ" কবিতা লিখতেন , গান লিখতেন । আমরা মুগ্ধ নয়নে উনার কবিতা শুনতাম , আবৃতি করতাম । হা-হারে কি দিন ছেল ! এরশাদের কবিতার প্রতিভায় অনেকই কোনঠাস ছিলেন আজকের দিনের অনেক মহাকবি। উনারা মাজারে মাজারে বাতি জ্বালাইয়া এরশাদের অমঙ্গল কামনা করতেন । এখন মহাকবি এরশাদ আর কবিতা লেখতে পারেন না - আফসোস , অভিশাপ লাগছে। 

অন্য জনের কথা বইল্যা লাভ নাই , এই যে আমি ? আমি নিজেই আমার প্রতিভা দেইখ্যা অবাক !! আমার চৌদ্দগুষ্টির কেউ লেখালেখি করছে কিনা  - তার কোন ইতিহাস নাই। স্কুলে থাকতে মুখুস্থ বিদ্যার উপর রচনা - চিঠি লিখছি । বানাইয়া বানাইয়া কিছু লেখি নাই - অনুপ্রেরনা পাই নাই বাবার কাছ থেইক্যা । খালি কইত - পুত্রধন মুখুস্থ কর। তখন বুঝছি , আমার চৌদ্দগুষ্টিতে কোন সাহিতি্যক জন্মাই নাই। আমি কেমতে কেমতে এই জগতে যে আইস্যা পড়ছি, ভাবতে ও অবাক লাগে । চিন্তা করছি মনে যাই আসে তাই লিখমু । কারো ভাল লাগলে লাগুক , না লাগলে নাই । লিখতে লিখতে আমি ও যে একদিন মহাকবি শফিকুলের মতন হব না তার কি গ্যারান্টি আছে ? আমি লিখব - ভুল হোক শুদ্ধ হোক । যারা আমার লেখায় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে ভেবে নেব উনারা আমার প্রতিভা দেখে হিংসায় জ্বলে মরছ । 

এখানে সবাই লেখে আনন্দে , শখে । যেখানে আনন্দ নাই - সেখানে শখ নাই । দুনিয়া চলে আনন্দের উপর - তা ভালই হোক আর খারাপ হোক । আনন্দের কোন ভেদাভেদ নাই ।  ওর গল্পটা ভাল লাগছে , কবিতা ভাল লাগছে - নেন ভাই টাকা নেন । কোন পাগলে আজ পর্যন্ত এই মন্তব্য করে নাই । মন্তব্য দেয় - " ভাল লাগল" "পড়ছি" "চালাইয়া যান " । আমি এই যে রাত জাইগ্যা জাইগ্য মন্তব্য দিতাছি - আনন্দে , ভাল লাগে। একজনরে কইলাম - ভাই আপনি "কবি" । সে কয়-  না না আমি কবি নই - যেন লজ্জা পাইছে । যেন কবি হওয়া অপরাধ। কবিতা লেখেন কেন ? কয় - ভাল লাগে ? এই তো লাইনে আইছেন - আপনি লেখতে লেখতে অনেক দূর গেছেন , আমি শুরু করছি - সমস্যা কি ? আপনি ভার্সিটির ছাত্র আর আমি স্কুলের - সমস্যা কি ?  

এডমিন ভাই ভালই ভালই কইতাছি - এই সব প্যাচ খেলা বন্ধ করেন । এখানে বইস্যা বাটি চালান দিমু , আপনি বিলাতে নেংটা হইয়া হাটা শুরু করবেন - সাবধান ,  মনে রাইখেন । এখন যাবার আগে একখান কথা কই - আপনি সবাইরে ডাকেন - মোলাকাত করি - মিডা মিডা কথা কই - সবাই মিইল্যা মাঝে মাঝে আড্ডা দেওয়া ভাল । অদৃশ্য ভাবে সবার ভিতর একখান মনের টান তৈরি হোক । চিন্তা কইরেন না - চা - নাশ্তা খাওয়াইতে কমু না - ইমো ইমো খেলুম ।             

ছবি
সেকশনঃ কৌতুক
লিখেছেনঃ সত্যজিৎ দাশ তারিখঃ 13/09/2013
সর্বমোট 30123 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন