ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

বিএনপি’রা জাতীয় নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজছে

বিএনপি’রা সবসময় সুযোগসন্ধানী আর ধূর্ত শিয়ালের মতো লোভী। এরা সবসময় গায়ের জোরে আর ছলে-বলে-কলে-কৌশলে নির্বাচনে জিততে চায়। এদের পাপের ইতিহাস তা-ই বলে। এরা অন্ধকারে আর ষড়যন্ত্রের পথে চলতে খুব পারদর্শী।  
 
২০১৪ সালে, তারা বুঝতে পেরেছিলো, তাদের পরাজয় অত্যাসন্ন। তাই, এরা নানাঅজুহাতে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়, এবং সেই সময় দেশের এই জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা স্মরণকালের ভয়াবহ নাশকতাসৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। তাদের যাবতীয় সন্ত্রাসের মধ্যেও সেদিন সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে বিএনপি-জামায়াত রাজাকারজোট ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দলই অংশগ্রহণ করে।
বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, সন্ত্রাস ও নাশকতার কারণে এই নির্বাচনে ভোট তুলনামূলকভাবে কম পড়লেও তা ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু। অবশ্য বিএনপি-জামায়াত এই নির্বাচন নিয়ে এখনও নানারকম মিথ্যাকথা বলে থাকে। এর সঙ্গে সত্যের কোনো সংশ্রব নাই।
 
একসময় এই নির্বাচন খুব সহজেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও লাভ করে। বাংলাদেশের রাজাকার-অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতজোট এতে ভয়ানক বিপদে পড়ে যায়। তারা মনে করেছিলো, আন্তর্জাতিক অঙ্গন তাদের পক্ষে থাকবে। কিন্তু বিশ্ববাসী তাদের অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক দাবির প্রতি বিন্দুমাত্র সমর্থন করেনি। তা সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত নামক অপরাজনৈতিক দলটি পরের বছর ২০১৫ সালের ৫ই জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সমাবেশ করে। এরা নিজেদের অন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ২০১৫ সালের ৫ই জানুয়ারি থেকে একটানা ৯৩ দিন লাগাতার আগুনসন্ত্রাস (পেট্রোল-বোমা) পরিচালনা করেছিলো। কিন্তু দেশবাসী ও বিশ্ববাসী তাদের এই দাবির প্রতি বিন্দুমাত্র সমর্থন দেয়নি।
 
বিএনপিদের দাবি—তাদের মনোনীত তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ-নির্বাচন দিতে হবে! যাতে তারা অতিসহজে ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের ভোটচুরির নির্বাচনের মতো আমাদের দেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করে নিতে পারে। এখনও তারা তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের অগ্রহণযোগ্য দাবি নিয়ে খুব লাফালাফি করছে। তারা জেনে গেছে, তাদের জনসমর্থন এখন নির্বাচনে জয়লাভের মতো নয়। এতে তারা ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। আর ২০১৪ সালের মতো আবার “শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়”, “আওয়ামীলীগ-সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়”, “তত্ত্বাবধায়ক-সরকার চাই” ইত্যাদি ভুয়া শ্লোগান তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনাগ্রহণ করছে। আসলে, জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি’রা এখন জাতীয় নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজছে!
 
বিএনপিদের একাধিক সিনিয়র নেতার কথা শুনলে মনে হয় তারা ভয়ানকভাবে আগ্রাসী। তারা যেকোনোভাবে রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করতে চায়। আর তারা যে মুখে-মুখে নির্বাচনে আসার কথা বলছে তা নির্ভরযোগ্য নয়। তাদের মনমতো তত্ত্বাবধায়ক-সরকার ব্যতীত তারা কখনও নির্বাচনে জিততে পারবে না। তাই বলছিলাম, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিএনপি’রা এখন ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারলেই বাঁচে। তাতে অন্তত তাদের পরাজয়ের গ্লানি বহন করতে হবে না। তারা এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে নানারকম টালবাহানাও করছে। আর তাই, বিএনপি’রা এখন জাতীয় নির্বাচন থেকে পালানোর পথ খুঁজছে।
 
 
 
আমি মিয়াবাড়ির ছেলে
মিয়াবাড়ি, পাবনা।
 
 
 

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ আমি মিয়াবাড়ির ছেলে তারিখঃ 08/01/2018
সর্বমোট 2078 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন