ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ গাফ্ফার কুতুবী

মোঃ আঃ গাফ্ফার কুতুবী

পরিচিতি

নাম   মোঃ আঃ গাফ্ফার কুতুবী
পিতার নাম   মৃত আজীম উদ্দীন মীর
মাতার নাম   মৃত ফাতেমা খাতুন
স্ত্রীর নাম   সুফিয়া খাতুন
মোবাইল   ০১৭১৫৭৬৯৪৫৪
গ্রাম   কুতুবপুর
ইউনিয়ন   কার্পাসডাঙ্গা
উপজেলা   দামুরহুদা
জেলা   চুয়াডাঙ্গা
বিভাগ   খুলনা
 

অন্যান্য তথ্য

মুক্তিবার্তা নং : ০৪০৬০৩০৩৫৮
ভারতীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট নং : নাই
বাংলাদেশ গেজেট নং : ৯৭১
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ের সনদ নং : ১০৭৮৫
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান কি না?   : yes
 

সন্তানদের নাম ও বয়স

নাম বয়স শিক্ষাগত যোগ্যতা
লায়লা কুতুব (শুভ্রা) ৩৩ বছর এম, কম
মোঃ রাজিস কুতুব ৩১ বছর ডিপ্লোমা
মোঃ গালীব কুতুব ২৮ বছর এম, বি, এ
 

যুদ্ধের ইতিহাস

আমি মূলতঃ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা ছাত্র, একই সংঙ্গে বগুড়া মিশন নাইট হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করি।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় আলীম পাশ করে ফাজিল এ অধ্যায়ন করি ও এইসএসসি পরিক্ষা দেই।মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে বিফল হই।তবে ছাত্রলীগ এর সাথে সংযুক্ত ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আমি আমার গ্রামে চলে যাই( বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহূদা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রাম ) একেবারে সীমান্ত ঘেষা গ্রাম। যুবকদের একত্রিত করে ইপিআর ক্যাম্প স্থাপন করি ও স্বরনার্থীদের সার্বিক সহযোগীতা করতে থাকি। অসংখ্য স্বরনার্থী এই কুতুবপুর সীমান্ত দিয়েভারত প্রবেশ করে।যাদের সার্বিক সাহায্য ও সহযোগীতা আমরা করেছি এর নেতৃত্ব দিতাম আমি। সাথে ছিল সাইফুল বিশ্বাস, লিয়াকত আলী বিশ্বাস, লিয়াকত আলী, জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, ওবেদুল মৌলানা, সুজাউদ্দিন, সহিদ বিশ্বাস।পরবর্তীতে ভারতে ডুমপুকুর ক্যাম্পে চলে যাই।প্রশিক্ষণ নেই সেই ক্যাম্পে থেকে। তৎকালীন এম,এস,এ এ্যাডঃ আলী আমাকে বি,এল,এফ এর প্রশিক্ষণের জন্য নিবাচন করেন এবং উত্তর প্রদেশ এর দেরাদুনে প্রশিক্ষণের জন্য চলে যাই।টান্ডুয়া ক্যাম্পের আমি ২য় ব্যাচ।প্রশিক্ষণ শেষ করে ব্যারাকপুর সেনানিবাসে চলে আসি।জনাব এ্যাড আঃ বারী এবং জনাব তোফায়েল আহম্মেদ আমাকে মেহেরপুর মহকুমার দায়িত্ব দিয়ে সীমান্তে পাঠিয়ে দেন।আমি লোকজন(ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও স্থানীয় ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত)নিয়ে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার বর্তমান মুজিব নগর থানার অর্ন্তগত আনন্দবাস গ্রামের সীমান্ত(ভারতীয় সীমান্ত) কাগমারী ও কাথলী কুতুবপুর গ্রামে ভারত সীমান্ত কাগজীপাড়া ক্যাম্প গড়ে তুলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ,প্রশিক্ষণ প্রদান, এস্ত্র সংগ্রহ ও জনমত তৈরীর কাজে লেগে যাই।জনাব মোফাজ্জেল হোসেন( মোফাজ্জল মাষ্টার) কে গাংনী থানার দায়িত্ব দিই। সমগ্র মেহেরপুর মহকুমাতে জনমত তৈরী,করিডোর প্রতিষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ সহ সম্মুখ যুদ্ধে ও আমি অংশগ্রহন করি।বাগোয়ান যুদ্ধ,ভাবরপাড়া প্রতিরোধ যুদ্ধ, বিডিআর সেনা ও বিএলএফ(মুজিব বাহিনী) এক সাথে করে থাকি। চুয়াডাঙ্গা মহকুমার আমার নিজ এলাকা ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের দায়িত্ব ও আমাকে, তোফায়েল আহমেদ ও এ্যাড আঃ বারি ভাই প্রদান করেন।১৯৭১ এর ডিসেম্বরের ৫ তারিখ এমরা মেহেরপুর শহরে ঢুকে পড়ি, ৬ই ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালন করি।মেহেরপুর শহরের একটা পরিত্যাক্ত বাড়িতে আমরা ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান করে গেরিলা পুলিশ সেনা বাহিনীর সাথে শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে গ্রানেড, বোম্ব, ককটেল সরানোর কাজে সকলে সম্পৃক্ত হই। অস্ত্র জমা(ঢাকা ষ্টেডিয়াম) দেয়ার পর আমর নিজ এলাকায় হাইস্কুল,মাদ্রাসা,হাট ও পোষ্ট অফিস প্রতিষ্ঠা করি।বর্তমান কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় , কুতুবপুর সীমান্ত হাট, কুতুবপুর মুন্সিপুর নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বাক্ষর বহন করে চলছে। আর ৭৫ এর পর পোষ্ট অফিসটা স্থানান্তর হয়েছে তবে একই গ্রামে আছে।১৯৭৩ সালে অর্থনীতিতে অনার্স করি এবং ফাজেল পাশ করি ১৯৭২ সালে। ১৯৭৫ সালে পট পরিবর্তনের পর দেশ ত্যাগ করি।১৯৭৯ সালে দেশে ফিরি আমি।যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে সরকার চাকুরী দেয়। ২০১১ সালে অবসর গ্রহন করি। বর্তমানে অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী এর সাথে আছি ও তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ছবি
সেকশনঃ ইতিহাস
লিখেছেনঃ MISC তারিখঃ 07/01/2018
সর্বমোট 988 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন