ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

একটি মিথ্যাচার ও তার জবাব

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহল বেশ সচেতন ভাবে আর উদ্দেশ্যমুলক ভাবে ভারত বিরোধীতা জাগিয়ে তুলতে চাইছে। ইস্যু হিসাবে এই বিষয়টি ১৯৭৫ এর পর থেকেই এই দেশে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরা খুনী ও লুটেরা শ্রেনীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এর পিছনে পাকিস্তানী খুনী ও ধর্ষক জনগণের প্রতিনিধি এবং খুন র্ধষনের হোতা পাকিস্তানী আর্মির মদদ আছে যে তা অনস্বীকার্য। আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী মহল তথা মুসলিমলীগ, জামাত ও চীন পন্থী বামেরা এই মতবাদের প্রচারক ও ধারক। অধুনা এর সাথে যোগ হয়েছে মডারেট ও কট্টর ধর্মপন্থী, স্বৈরশাসক এর দলবল (যারা আবার বর্তমান ক্ষমতার সুবিধাভোগী), উঠতি ইতিহাস বিমুখ ও পড়ালিখার চর্চা বিমুখ তরুণ শ্রেণী, লুটপাট ও বাটপার শ্রেনীর বাকপটু চেতনার সোল এজেন্টগণ এবং তথাকথিত সুশীল সমাজের সুবিধাভোগী ভন্ড সমাজ। 

কেনো এই ভারত বিরোধীতার ধুয়া তোলা? 
ভারত বিরোধীতার এই ধোয়া তুলবার পিছনে এই দেশ বিরোধী শক্তির মুল কাজটা হলো একটা মিথ্যা ইতিহাসের উপরে আগামী প্রজন্মকে দাড় করানো যাতে করে তাদের পেয়ারের দেশ পাকিস্তানের দোষ লাঘব করা যায়। যেনো বলা যায় পাকিস্তান হত্যা ও ধর্ষণ করেছে ঠিক তেমনি ভারতও লুটপাট করেছে। যাতে একটি দ্বীধাগ্রস্ত প্রজন্ম সহজেই সুষ্টি করা যায়। আর এটা অনস্বীকার্য যে একটি দ্বীধা গ্রস্থ প্রজন্মকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোটা অনেক সহজ। আরও বিষয় হচ্ছে যেহেতু ভারত আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে তাতে করে পাকিস্তানী পক্ষ ভারত বিরোধীতার মাধ্যমে একটি উগ্র ভারত বিরোধী গ্রুপ তৈরী করতে সক্ষম হলে সেখানে আগে থেকেই হা করে থাকা উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদের সহায়তায় অস্থরতার পরিবেশ তৈরী করা যাবে। এতে করে আমাদের ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা অর্থনিতীকে যেমন বন্ধ করা যাবে ঠিক তেমনি তাদের যুদ্ধে হারবার ও বাঙালীদের প্রতি ঘৃণার প্রতিশোধ নেওয়াও সম্ভব হবে। 

ভারত বিরোধীতার এই ধুয়া তুলবার জন্য বিভিন্ন ভুয়া রেফারেন্স ব্যবহারের প্রচেষ্টা ইদানিংকালে দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কতিপয় পচে যাওয়া তথাকথিত বাম ধারার সেলিব্রেটি ও বিভিন্ন গ্রুপের ভিতরে। অধুনা একটি প্রচার বেশ সারা ফেলেছে উক্ত অপপ্রচারকারী ও বিশেষ কারণে ভারত বিরোধিতাতে উৎসাহী সন্ত্রাসীদের মাঝে আর সেটা হলো ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের দেশ থেকে অনেক টাকা লুটপাট করেছে। এর সপক্ষে ভুয়া ছবি দিয়ে ভুল তথ্যকে সত্য হিসাবে প্রতিস্ঠাকরবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নীচে ছবিটি দেখুন। 



এই ছবির সুত্র ধরেই এর দেওয়া রেফারেন্স অনলাইনে অনেক খোঁজাখুজির পর দেখা যাচ্ছে উক্ত ১২ নম্বর পাতাতে এমন কিছুই নেই যা মিথ্যা প্রপাগান্তাতে ব্যবহার করা হয়েছে। নীচে ছবিটি যুক্ত করা হলো। 



মুল যেখানে এটা পাবলিশ করা হয়েছে তা নীচে 



এইসব মিথ্যা ও দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীদের প্রচারে বাধা দেবার জন্য আমাদের ডিজিটাল সরকারে কেউ যেমন নেই ঠিক তেমনি আমরা যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই তারাও আসলে শংকাগ্রস্থ যে আসলে হচ্ছেটা কি! অরাজকতায় দেশ ভরে যাচ্ছে। আপাতভাবে ভারত বিরোধীতার আড়ালে আসলে এক করা হচ্ছে পাকিস্তানী ভাবধারার একটি শ্রেনীকে এক পতাকার নীচে। এগুলো না থামালে অদুর ভবিষ্যতে আজকে যারা আস্থা রাখুন বলে গলা ফাটাচ্ছে তারাই চুপচাপ আরেকদিক দিয়ে ভাগবার পথ খুঁজবে। তবে ক্ষতি যা হবার তা হবে এই দেশের এই দেশের মানুষের। 


 

ছবি
সেকশনঃ রাজনৈতিক
লিখেছেনঃ দুরন্ত.. তারিখঃ 04/08/2017
সর্বমোট 6051 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন