যখন ভাবি লিখবো
তুমি বল অল্পস্বল্প শিখবো
আচ্ছা, এতোসব শিখে কি হবে বলতো?
শিখে কি পারবো বাতাসের বেগ কিঞ্চিৎ কমাতে?
পারবো কি রোদ কে বলতে, একটুকু আঁচ কমাও না।
মন খারাপের বৃষ্টি কি হবে কোথাও, তোমার মন খারাপ হলে?
হয়তো এসব সত্য, হয়তো হয় এসব, হয়তো তুমি আছো এসবে।
কিন্তু এ শব কি এইসব দেখে যেতে পারে? পেরেছে কখনো ? কোনদিন?
প্রেমের ভাবনা নয় শুধু - ধুধু প্রান্তের ওরা ভালবাসা খুঁজেছে...
খুঁজেছে শব্দহীন কোন বিকেল শেষে এক কাপ চা আলাপ,
হেঁটেছি তোমারই হাত ধরে, ভাবিনি কেন, দিয়েছি বারিয়ে হাত।
আজ অন্য হাতের জীবন্ত আজ্ঞুল গুলোতে জ্বলন্ত সিগারেট,
পারছে ফুসফুস, মেঝেতে ছাই আর মৃত সিগারেটের কংকাল,
তোমার কথা জানান দিয়ে স্পষ্ট হয়ে আছে।
এখন আর জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখা হয় কি আকাশ?
সেদিন দুপুরে ছাইপাঁশ টেনে - তুমি ইজিচেয়ারে বসে বলেছিলে,
কি সব না বলা কথা, ধূয়োর ঘোরের সেসব কথা এখন আর মনে হচ্ছে না -
শুধু মনে আছে আচ্ছন্ন ভাবের তোমাকে।
তুমি চলে গিয়ে বলে দিয়েছ, স্মৃতিগুলো টুকে রেখো মনের কোন
গহীন অরণ্যে, যে অরণ্যে আখুনিক পা এখনও পরেনি। সে অরণ্যে,
গাছের গোরা আকাশ-মেঘ ভেদ করে ছুঁয়েছে অন্য কোন জগত, সে জগতে,
যে ঝরনার পাশের নদীর তীরে আজও তুমি হাঁটছো,
গুণ্যগুণ করে গাইছ গান, আনমনেতে বলছ কতো কথা।
ঝলমলে চাঁদ দেখছো হয়তো জোছনার ছলনাতে,
মনের ভেতরের অরণ্যতে তুমি আছ ~ আমি জানি।
জানলে কি হবে? কোন মহাপুরুষ আমাকে দেখাবে অরণ্যের পথ
শেখাবে বিপদসংকুল সে পথে হাঁটা তথা বিচরণ …
কে বলে দিবে, রাতের সূর্য যে আভা দেয় চাঁদে - সে চাঁদ তোমার
যে শিশিরের ছোঁয়া লাগে গাছে - সে গাছ যে শুধু তোমার
যে স্নিগ্ধ নগ্ন রৌদ ঘুম থেকে জাগায় - সে স্নিগ্ধতা যে তুমি
যে কবিটার অর্থ জানি কি জানি না - সে নাজানার অর্থ যে তুমি …
কোন মহাস্বত্ত্বা আমাকে ধ্যান শেখাবে ?
যুক্তি নির্ভর বিজ্ঞানের যুক্তিহীন জগত চেনাবে ?
সে যে ভালোবাসা আর ভালোলাগার পৃথিবী - অরণ্য আর সুনীল
কোন এক বটবৃক্ষের নীচে বসে তুমি তোমাতে বিলীন
আমার আমাতে আমি কি করে পারো ~ সেই সব লাল নীল
ক্রোধ আর ভালোবাসার একই রঙ তবুতো অমিল
আকাশের ঝাপ্সা মেঘ ছায়ার আড়াল তুবু ভিন্ন কতো নীল …
এখনও আকাশ দেখি ~ দেখি সহস্র কোটি তারা নক্ষত্রপুঞ্জ
দেখি ব্যস্ত শহরের প্রাণীহীন সব মানুষ,
তবে শহুরে আকাশে এখনও কিছু পাখির দেখা মেলে …
সকালের ব্যস্ততা কাকেদের বেশি, কিছু নেড়ি কুকুর দেখা যায় এখানে সেখানে
কিছু বেড়াল আছে অলিগলির এবাড়ি ওবাড়িতে , কিছু পশুপ্রেমি মানুষের অস্তিত্ব স্নেহে এখনও চোখে পরে ~ পথে বেরুলে কিছু হাসি মুখ আজও দেখি
আমাদের শহরে কিছু জীবন্ত আনন্দ আজও টিকে আছে ~ এসবের সব তুমি দিয়ে গেছো ~ আজ অন্য কারো জন্য তুমি হাত বাড়িও - দুহাতে জরিয়ে বুক ভরিয়ো …