ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ দুঃসময়ের সারথি - পর্ব-১৮

হারবার্ট ফেইথ, অস্ট্রেলিয়া

       হারবার্ট ফেইথ মেলবোর্নে অবস্থিত মোনাশ ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৩০ সালের ৩রা নভেম্বর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জন্মগ্রহন করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে শরনার্থী হিসেবে বাবা-মার সাথে অস্ট্রিয়া থেকে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নে রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করলেও পিএইচডি সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে। পরবর্তীতে আবার মেলবোর্নের মোনাশেই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন, এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।


                                                                                                                                Herbert Faith

        বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানতেন না। একাত্তরে যুদ্ধ শুরু হলে, যখন হাজার হাজার বাঙালি শরনার্থী ভারতে আশ্রয় নিচ্ছিলো, তখন তাদের দুর্দশা দেখে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ জন্মে। নিজের শরনার্থী জীবনের পুর্ব অভিজ্ঞতা তো ছিলোই, এছাড়াও তার উদার মানসিকতার কারণে বাঙালি শরনার্থীদের সাহায্য করার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। তিনি নিজে আহ্বায়ক হয়ে গঠন করলেন ‘দি ভিক্টোরিয়ান কমিটি টু সাপোর্ট বাংলাদেশ’ এবং সহযোগীদের সমন্বয়ে শরনার্থীদের সাহায্যার্থে কাজ শুরু করলেন। তিনি বাংলাদেশের পক্ষে লেখালেখি ও বক্তৃতা শুরু করলেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ‘ফ্লিন্ডার্স লেকচার’। তার বক্তৃতা ও লেখালেখি বাঙালিদের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় জনমত গঠনে সহায়তা করেছিলো। সেপ্টেম্বরে দি ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় গড়ে ওঠা এশিয়ান স্টাডিজ তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লিন্ডার্স লেকচার ইন এশিয়ান স্টাডিজের জন্য আমন্ত্রণ জানালে ফেইথ তা গ্রহণ করেন। ফেইথ সেখানে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তার শিরোনাম ছিলো, ‘Asia's flashpoint, 1971: Bangla Desh’। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পাশ্চাত্যের লোকজনের মতো ছিলো না। তিনি কখনও পূর্ব পাকিস্তান লেখেননি, লিখেছেন বাংলাদেশ। তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্ট, যিনি বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিলেন। ফেইথ ‘সেভেন রিজনস ফর সাপোর্টিং বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যার বিশদ রূপ ছিলো সেপ্টেম্বরের বক্তৃতাটি। বক্তৃতায় ফেইথ বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থাদৃষ্টে পাকিস্তানের বিরোধিতা করে তিনি লিখেছিলেন,
‘It is now acknowledged that the Bangla Desh cause has real prospects of success over the last two months out side ovservers, and particularly Asianist in various countries (including Australia), have come to take the Bangla Desh idea much more seriously as a practical possibility.’
         তাঁর বক্তৃতায় অনেক বিষয় উঠে এসেছিলো। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টিকে থাকা, পাকিস্তানের বিভক্তি, বাংলাদেশে অবস্থানকারী সংখ্যালঘু পাকিস্তান সমর্থনকারিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছে, উত্তরে তিনি বলেছিলেন- বাংলাদেশ টিকে থাকবে।  কার্যকারিতা বিষয়টি প্রয়োগের উপর নির্ভরশীল, বাস্তবতার অনেক মানদণ্ডের বিচারে বিশ্বের তিন চতুর্থাংশ দেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি একটি কার্যকর দেশ? ফেইথ একে একে অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। তিনি বললেন, বাংলাদেশ আন্দোলন সংখ্যা গরিষ্ঠের, সংখ্যা লঘিষ্ঠের নয়। অন্য সব বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন যখন সংখ্যালঘুদের জন্য কথা বলে- বিয়াফ্রা, কাটাঙ্গা, সুমাত্রা, নাগাল্যান্ড, তিব্বত, দক্ষিণ সুদান এবং শীঘ্রই এটি একটি রাজ্যের জনসংখ্যার একটি স্পষ্ট অংশের কথা বলে। দ্বিতীয়ত এটি একটি পৃথকীকরণ, যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল; সম্ভবত একটি পরিষ্কার বিভক্তি হবে ... বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে প্রথম ঘটনা যেখানে একটি আঞ্চলিক সীমানা পরিবর্তনে একটি নিজেদের স্বাধীকারের আন্দোলন সফল হয়েছিল। সবশেষে তিনি বলেন,
‘I would like to end with hope that it will not take five or ten years of desperate terrorism from above and counter terrorism from below before the world finds ways of achieving a reltively human settlement in East Bengal or Bangladesh a settlement which makes it possible for at least sizable numbers of long suffering refuges to return to their homes.’
         একাত্তরে পশ্চিমা বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশের নামীদামী ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশীর পক্ষে কথা বলেছেন, বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছেন। তবে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বক্তৃতায় কিংবা লেখায় হারবার্ট ফেইথের মত জোরালোভাবে যুক্তিসহকারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলতে পারেননি কেউ। ২০০১ সালের ১৫ই নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একাত্তরে আমাদের এই দুঃসময়ের সারথি। বাংলাদেশের দুর্দিনে পরম বন্ধু হিসেবে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে রাস্ট্রীয়ভাবে ‘ফ্রেণ্ডস অব দি লিবারেশন ওয়ার’ সম্মানে ভূষিত করে।  
 
 
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যবাসীর ভূমিকা
        একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে বাঁচতে বিপুল সংখ্যক ভীতসন্ত্রস্ত বাঙালি শরনার্থী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত ভারতের ১৩৫০ মাইল তথা ২১৭৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা জুড়ে শরণার্থী ক্যাম্প গড়ে উঠেছিলো। পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে বাঙালি শরণার্থীরা ভারতের সীমান্তে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের সংখ্যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিলো। এ বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী জনগোষ্ঠীর জন্য বাসস্থান, খাদ্যসামগ্রী ও ঔষধের ব্যবস্থা করতে হিমসিম খেতে হয়েছিলো ওখানকার জনগন তথা সরকারকে।
        একাত্তরে ত্রিপুরার লোকসংখ্যা ছিলো পনেরো লাখের মত। কিন্তু সেই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ থেকে তাঁর চেয়েও বেশী উদ্বাস্তু গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। পাহাড়ি অঞ্চলে এই বিপুল সংখ্যক লোকের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা সহজ কাজ ছিলো না। তবে ত্রিপুরাবাসী বাংলাদেশকে সহায়তা করার ব্যাপারে ছিল যথেষ্ট আন্তরিক। সীমান্ত এলাকা জুড়ে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা চলছিল মার্চের শেষ দিনগুলো থেকেই। পাকিস্তান বাহিনী প্রতিশোধের নেশায় কামান ও মেশিনগানের হামলা চালাত এবং তা আঘাত হানত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর ও গ্রামে। এতে অনেক সম্পদ বিনষ্ট হতো, হতাহতের ঘটনা ঘটতো। কিন্তু ত্রিপুরাবাসী সব সহ্য করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশের জনগণের দুর্দিনে তাদের পাশে থাকতে হবে।
        সময়কাল একাত্তরের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলার সাথে লাগোয়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম এলাকা তখন শরণার্থীদের ভিড়ে উপচে পড়ছে। ক্যাম্পে অবস্থানরত মধ্যবয়সী এক নারী নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিনিধি সিডনি শনবার্গের কাছে তার ১৬ বছর বয়সী দুই যমজ মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য কাকুতি মিনতি করছে। মি. শনবার্গ নিউইয়র্ক টাইমসে লিখেছেন, ‘সেই নারীর চোখে মুখে ছড়িয়ে আছে আতঙ্ক, তিনি আমাকে বলছিলেন, পাকিস্তানী সৈন্যরা তার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। যখন তারা বের হয়ে আসছিল তখন পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের দুই মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেছে।’
         বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের সংযুক্ত হওয়ার পেছনে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহ।  বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি শচীন্দ্র সিংহের প্রচারে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছিল। ত্রিপুরায় পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে নেয়া এবং ত্রিপুরায় শরণার্থীদের আগমনের জন্য একটি সমাধান খোঁজা জরুরি প্রয়োজন ছিল। ১৯৭১ সালের ২৯শে মার্চ, ত্রিপুরার বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি অধিবেশন ডেকেছিল।
         ইতিহাসবিদ বিকচ চৌধুরী, তার ‘বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা’ বিষয়ক বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, শচীন্দ্র দাঁড়িয়েছিলেন এবং এটিকে উপেক্ষা করে বলেছিলেন, ‘বিচারের এই সময়ে আমাদের হৃদয় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল... আমি আবারও বলতে পারি যে,
আমরা গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে এই মহৎ ধারণার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর যে কোনো শক্তিকে আমরা নিন্দা জানাবো
                                                             শচীন্দ্রলাল সিংহ মেমোরিয়াল
          ৩০শে মার্চ ১৯৭১, জনাব শচীন্দ্রলাল সিংহ বিধানসভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যা ক্রস-পার্টিসান সমর্থন পায়। রেজুলেশনে ঘোষণা করা হয়- “This House extends its full support to the freedom-loving people of Bangladesh in their struggle to establish democratic rights and requests that the Government of India recognize the newly-formed Government of Bangladesh headed by Sheikh Mujibur Rahman and extend to the people of Bangladesh all kinds of help in their struggle for freedom.”
১৯৭১ সালে নয়াদিল্লি থেকে নির্দেশ পাওয়ার পাঁচ দিন আগে, শচীন্দ্রলাল সিংহ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা অভিযান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য একতরফাভাবে ত্রিপুরার সীমানা খুলে দেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে তখন আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ কূটনৈতিকভাবে যে বাংলাদেশের পক্ষে যে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন তা বাংলাদেশের বিজয়কে নিঃসন্দেহে ত্বরান্বিত করেছিলো।
         ত্রিপুরার বিলোনিয়া মহকুমার ‘চোত্তাখোলা’ নামক গ্রাম ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান। রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অনেক ঘটনা। এখানেই মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নাম্বার সেক্টরের ট্রেনিং ক্যাম্প করা হয়েছিলো। স্বাধীনতা যুদ্ধের কে ফোর্স-এর অধিনায়ক খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিলোনিয়ার চোত্তাখোলায় মুক্তিযুদ্ধ স্মরণে স্মারক উদ্যানে প্রতিষ্ঠিত কিছু ভাস্কর্য্যের ছবি নিচে দেয়া হলো।
 
 
ত্রিপুরা ভাষ্কর্য                                                                লিবারেশন মনুমেন্ট, ত্রিপুরা
 
           সংবাদিক বিকচ চৌধুরী তার একটি গ্রন্থে ত্রিপুরার তৎকালীন কয়েকজন নেতা ও সমাজ কর্মী, সাংবাদিক, লেখক ও শিল্পী এবং ত্রিপুরার প্রশাসনে কর্মরত অনেক ব্যবক্তিবর্গের নাম উল্লেখ করেছেন, যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা হলেন-
          শচীন্দ্রলাল সিংহ (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস), নৃপেন চক্রবর্তী (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস), দশরথ দেব (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সিপিএম), সরোজ চন্দ (কমিউনিস্ট নেতা), অঘোর দেব বর্মন (সিপিআই নেতা), ব্রজগোপাল রায়, বিদ্যাচরণ দেববর্মা, ক্যাপ্টেন বি আর চ্যাটার্জী, ড. রথীন দত্ত, ডঃ এইচ এস রায়চৌধুরী, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. সুজিত দে, দেবেন্দ্র কিশোর চৌধুরী (প্রাক্তন মন্ত্রী, কংগ্রেস), সাধনা চক্রবর্তী (গণতান্ত্রিক নারী আন্দোলন নেত্রী), বাসনা চক্রবর্তী (প্রাক্তন মন্ত্রী, কংগ্রেস), ধীরেন দত্ত, দৈনিক সংবাদ সম্পাদক ভূপেন দত্ত ভৌমিক (এই পত্রিকাটি তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রধান ভূমিকা রেখেছিলো), সাংবাদিক বিপুল মজুমদার ও ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মিহির কান্তি দেব, অধ্যাপিকা কবরী দেববর্মন, ড. নীলমনি দেববর্মন, ড. কার্তিক লাহিড়ী, সাহিত্যিক বিমল চৌধুরী, অধ্যক্ষ বিনয় নন্দী, অধ্যাপক সত্যরঞ্জন ভট্টাচার্য, কবি অনিল সরকার (পরবর্তীতে মন্ত্রী), প্রশাসনিক কৃষ্ণপদ দত্ত, আলোকচিত্র শিল্পী রবীন সেনগুপ্ত ও দিলীপ দেবরায়, সুরকার সুবিমল ভট্টাচার্য, সুরকার হীরালাল সেন, ত্রাণ অধিকর্তা উমেশ সাইফাল, শিক্ষা অধিকর্তা গোবিন্দ নারায়ন চট্টোপাধ্যায়, সীমান্ত বাহিনীর কর্ণেল ব্যানার্জী এবং পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত ত্রিপুরা জেলার জেলা প্রশাসক বদ্রীলাল ও সোনামুড়ার মহকুমা প্রশাসক হিমাংশু চৌধুরী।
বাংলাদেশ ত্রিপুরাবাসীর কাছে চিরঋণী।

চলমান

পূর্ববর্তী পর্বগুলো পড়তে চাইলে
এখানে ক্লিক করুন। 

ছবি
সেকশনঃ মুক্তিযুদ্ধ
লিখেছেনঃ নিভৃত স্বপ্নচারী তারিখঃ 26/09/2021
সর্বমোট 2727 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন