ঐ কপালে একটু ছুঁয়ে দিতে চেয়েছিলাম,
জীবনের ছোট ছোট কিছু রজনী
ঐ হাতটি শক্ত করে ধরে রেখে কাটাতে চেয়েছিলাম
শত বাহানা আর ছুতোর আড়ালে
এইটুকুই ছিলো সুপ্ত বাসনা,
অথচ কি অদ্ভুত!
তুমি বলেই দিলে
আর নাকি ভালোই বাসো না।
মাঝে মাঝে রাজ্যের ঘুম তারা করে আমায়
নিঃসঙ্গ প্রতিটা মুহুর্তকেই খুব করে গ্রাস করতে চায় সে,
আড়ালে লুকিয়ে নেই নিজেকে।
দিনশেষে ভাবনাগ্রস্ত হই,
এভাবে আর কতদিন আড়ালে থাকা হবে?
অপূর্ণতায় পূর্ণতা খুঁজতে খুঁজতে,
আমি আজ হয়রান,
এ দেহ তো আজ খোলস মাত্র
তুমিই তো ছিলে প্রাণ।
দৃষ্টির সীমানা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে,
একাকীত্ব কঠিন থেকে কঠিনতরভাবে
জাপটে ধরছে দিনদিন,
অথচ দেখো,
এখনো আশা করে বসে আছি
এভাবে হয়তো গুটি কয়েক প্রজন্মান্তর ঘটবে
আশা কি তবে ফুরাবে না?
নিয়তির কালক্রমে
একদিন ঠিক হাড়াতে হবে আমায়,
সাজানো ফুলশয্যা তো সেই কবেই শুকিয়ে গেছে ।
এক সময় সুবাসগুলোও পরিণত হয়েছে
ভয়ানক দুর্গন্ধে।
এভাবে আমিও তো একদিন হাড়াবো।
অপূর্ণতায় নিমজ্জিত হয়েই কি তবে
বিদায় নিতে হবে এ সংসার থেকে?
হাসতে হাসতে এ বুকে ঠাই করে নেয়া
সেই তুমি কি কাঁদবে সেদিন?
চোখের মাঝে লুকায়িত সমুদ্রটার
বিশালতা নিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তামগ্ন হই,
এ সমুদ্র শুকাবে কবে?
তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে,
এখনো চোখ দুটো পানিতে টইটম্বুর।
কত ব্যাথা সাতার কাটলো এ সমুদ্রে
বিসর্জিত হলো কত জল,
অথচ এখনো জলে টলমল।
এ চোখের জল যেদিন ফুরাবে,
সেদিন আমার মৃত্যু হবে।