ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

বন্ধন পর্ব ১১ ও ১২

মোঃ এনামুল হক পর্ব ১১ ***************************** আলম সাহেব আর নীলিমার আগে সাগর আর তন্বী উঠে গেছে ঘুম থেকে। কেননা আলম সাহেব বলেছেন াজজ সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। সেই মোতাবেক তিনি গাড়ি রেডি করে রেখেছেন। সকাল দশটায় গাড়ি আসবে। সাগর আর তন্বী তাদের মা বাবাকে ডেকে তুলল। আনন্দে তাদে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে। সকারে উঠে মা বাবাকে ডেকে তাদের দাদা দাদীর কাছে গেলো। তাদেরকে ডেকে তুলল। মোতালীব বললেন কি হলো দাদুরা আজ এতো তাড়াতাড়ি। গ্রামে যাবো। উঠো। সবার আগে তোমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। হ্যাঁ উঠো। তারপর তারা নিজেরা ব্রাশ করে তৈরি হতে লাগলো । নীলিমা বলল দেখেছো এদের অবস্থা। হ্যাঁ এখন তো ওদের আনন্দ দেবার সময়। শুধু পড়ালেখায় থাকলে চলবে না। মনের আনন্দ চাই। হ্যাঁ। পরিবারিক বন্ধন, প্রকৃতি, সমাজ থেকে এরা শিখবে। ভাল কাজ ধরে রাখতে হবে। আর মন্দ কাজকে দুরে সরিযে দিতে হবে। সেজন্য আমরা যেমন আছি তেমনি আছেন শিক্ষকরা। ঝগড়া ঝাটি আমরা যাই করি না কেন সন্তানদের সামনে করা যাবে না। হ্যাঁ। তাহলে সামাজিক ভাবে ওদের মনে খারাপ প্রভাব পড়বে। বাবা মা কে দেখেছো তারা এখনো ভালবাসায় পরিপূণ্য একজন আরেকজনের কাছে। আমরাও তেমনি থাকতে চাই। এতো কিছুর পর আবির নষ্ট হয়ে গেলো কিভাবে। লোভ। লোভে সব ধ্বংস হয়। সাগর আর তন্বী এসে বলল কি ব্যাপার বাবা মা। তোমরা রেডি হবে না। এই তো হবো। দাদা দাদী। উনাদের রেডি করে আমরা রেডি হবো। দেরি করছো কেন? ারর দেরি হবে না বাবা মা। নীলিমা আর আলম মিলে মোতালীব আর আমেনা বেগমকে রেডি করলেন। পরে সবার জন্য নাস্তা তৈরি করলেন। সবাইকে নাস্তা করিয়ে তারা তৈরি হলেন। গাড়ি চলে এসেছে। আলম আর নীলিমা মোতালেব আর আমেনা বেগমকে ধরে গাড়িতে বসালেন। গতকাল থেকে আরিয়ান তার বাবার বদরে যাবার কাহিনী লক্ষ্য করছে। এতকাল দেখে এসেছে তার মা বাবাকে বকাঝকা করলে তিনি কোন প্রতিবাদ করেন নি। ফলে সে বাবার মতো ধৈর্যশীল হবার চিন্তা করেছিলো। কিন্তু গতকার তার বা্া তার মায়ের সাথে যে আচরন দেখেছে তাতে তার মনে বাবার মতো হবার সব স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেয। তার মনে বিরুপ প্রভাব পরে। আবির সারাঘর তন্ন তন্ন করে সিগারেট খুজে বেড়াচ্ছেন। বেনসন সিগারেটের প্যাকেট। তিনি স্বপ্নাকে বললেন আমার সোগারেটের প্যাকেট দেখেছো। না। তাহলে কোথায় গেলো।সারাঘর তন্ন তন্ন করে খুজছি। কোথায রাখো তার কি কোন ঠিক আছে। আরে বালিশের নিচে সবসময় থাকে। তুমি সিগারেট কোথা থেকে খাও। তোমার ওখান থেকে। তাহলে প্যাকেট গেলো কোথায়। খুব নেশা ধরেছে। আমি কাছে আছি তবু নেশা ধরে না। আর সিগারেট কাছে নেই নেশা ধরে গিয়েছে। প্লীজ দেখো না সিগারেট কোথায়। হঠাৎ করে খেয়াল হলো বেলকনি থেকে সিগারেটের ধোঁযা দেখা যাচ্ছে। আবির ারর স্বপ্না সেদিকে চুপি চুপি গেলেন। যা দেখলেন তাতে আশ্চর্য না হয়ে বাররেন না। কেননা তাদের ছেলে বেলকনির ইজি চেয়ারে বসে সিগারেট টানছে। কি বলবেন তাকে। ারর কি বা বলার আছে। তবুো আবির াররিযানের সামনা সামনি হলেন। আরিযান বলল বাবা তোমাদের কিএটুকু কমনসেন্স নেই। তোমাদের ছেলে সিগারেট খাচ্ছে আর তুমি সামনা সামনি হলে। সিগারেট খাচ্ছ কেন ? কেউ শখের বসে, কেউ নেশার বসে আর আমি মনের জ্বালা মিটাতে। মনের জ্বালা মানে তোমরা আসলে খুব খারাপ। এতোটা খারাপ জানতাম না। সিগারেট টানছি সামনে এসেছো, কেন খাচ্চি কৈফিয়ত চাচ্ছ। তোমাদের মেন্টালিটি খুব খারাপ। কোন কথা না বলে তারা চলে এলো। আরিযান মনে মনে বলছে এই তো আমার জীবন। মা সিগারেট টানে, বাবা টানে আমি টানছি। তাদের দেখে দেখে আমি শিখিনি। আমার ভাল লাগতো না। কিন্তু আমার মতো ছেলেটা বলেছে এগুলো খেলে মনের জ্বালা মিটে। তাই সে এগুলো নিয়েছে। বাবার সিগারেট চুরি করে খেয়ে শেষ করেছে। আরো কযেক প্যাকেট সিগারেট কিনে এনে বেলকনির ইজি চেয়ারে বসে একটার পর একটা টানতে চলেছে। আবির আর স্বপ্না নিজেদের রুমে এসে আলাপ করছে। আবির বলল ওর ভবিষ্যত অন্ধকার। অন্ধকার হবে কেন। আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে উজ্জল করবো। েসসব কিছু তার জন্য নাকি। টাকা দিয়ে সব করা যায় না স্বপ্না। টাকা দিযে কিনতে পেরেছো শিস্টাচার, ন্যায় বিচার, ভদ্রতা, নৈতিকতা। টাকার কাছে এগুলো বেমানান। আর এজন্য আমাদের ছেলেটা এই ছোট বয়সে আমরা ঘরে আছি জেনেো সিগারেট প্রকাশ্য টেনে চলেছে। পেরেছো কি ছেলেকে নৈতিকতা আর আদর্শকে কিনতে। দেখো এটা ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড।তোমাদের ফ্যামিলিতে এসব ছিলো না। তাই তোমাকে ধারাতে আমার অনেক সময় লেগে গিযেছে। তাি তো ামমার জীবনটার স্রোতটা স্বার্থবাদীতে পরিনত হয়েছে। দারুন ভাল আছো । আমার বাবার অফিস পেযেছো, ডিরেক্টর শীপ পেয়েছো, বাসা পেয়েছো, টাকা পেয়েছো, আমাকে পেয়েছো, এককথায় রাজ্য সহ রাজকণ্যা পেয়েছো । ভাবছি ওকে নিযে এখন থেকে পার্টিতে নিয়ে যাবো। আমরা চলে গেলে ওকে এসব মেনে চলতে হবে। এখন থেকেপরিক্ষিত হয়ে উঠা ভাল। পার্টিতে নিয়ে কি শেখাবে? আমি যা করি তাই করবে। যা ইচ্চা খুশি করো। আবির আর কথা না বাড়িয়ে বের হলেন। সাগর ারর তন্বী গাড়ি করে যাচ্ছে। বাহিরের পরিবেশ দেখছে। তন্বী সাগরকে বলছে দেখ দেখ ভাইয়া সবকিছু আমাদের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। হ্যাঁ রে। তারা গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছান। আলম সাহেবের চাচাতো ভাই তাদের গাড়ি দেখে এগিয়ে আসেন। ওরা গাড়ি থেকে নেমে দিলো দৌড়। আর পায় কোথায়। ভাইয়া মুক্ত পাখির মতো ওরা দৌড়াচ্ছে। অনেকদিন পর এসব খোলা জায়গা পেয়েছে। শহরে চারদেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে হয়। একেবারে কয়েদির মতো করে। তা ঠিক বলেছো। শহর আর গ্রামের পার্থক্য অনেক। শহরে যেখানে তোমরা বন্ধী আমরা স্বাধীন। তোমরা গাদির কালো ধোঁয়াযুক্ত বাতাস গ্রহন করো আর আমরা ফ্রেস বাতাস। হ্যা রে অনেকদিন পর মুক্ত বাতাসে এসে নিঃশ্বাস নিলাম। আলম সাহেব গাড়ির ভাড়া মিটিয়ে দিলেন। নীলিমা আমেনা বেগমকে আর আলম মোতালীব সাহেবকে ধরলেন। আর কামাল ব্যাগপত্র নিযে বাড়ির দিকে এগুলেন। ঘরে আসার পর কামালের স্ত্রী তার চাচাতো শ্বশুড় শ্বাশুড়িকে সালাম করলেন। তারপর আলম সাহেবকে করলেন। নীলিমাকে করতে যাবেন নীলিমা ধরে ফেললেন করছো কি তুমি? কেন ভাবী। আরে বোকা মেয়ে। আমাকে লাগবে না। তা তোমার মেয়ে কোথায়? আর বলো না ভাবী। সারাদিন ধরে রাখা যায না। বাদরের মতো এখানে ওখানে লাফালাফি করে। আর বলো না। আমার দুটো আমরা ঘুম থেকে জাগার আগে সে জেগে গিয়েছে। োররাই আমাদের ঘুম থেকে তুলেছে। ারর সময় তেয় নি। তাড়াহুড়ো করে এসেছি। আসলে ওরা যে গ্রাম দেখবে এই যে আগ্রহ তাদের কে বেশি উৎসাহিত করেছে।ভাবী আপনারা সবাই হাতমুখ ধোয়ে নেন। আমি আপনাদের নাসরতার ব্যবস্থা করছি। সাগর আর তন্বী দৌড়াদৌড়ি করছে। এখানথেকে ওখানে যেকানে পারছে দৌড়াচ্ছে। মাটিতে গড়াগড়ি করছে। তন্বী বলল ইয়া বড় বড় মাঠ। হ্যাঁরে। শহরে আসরা খেলতে পারি না। সারাদিন গাড়ির হর্ন আর কালো ধোযা খারাপ লাগে। দেখ দেখ ছেলেমেয়েরা কিভাবে খেলছে। মেয়েদের দর থেকে একজন বেড়িযে এসে বলল তোমরা কোথায় থাকো। শহরে। এখানে কোথায এসেছো। এ তন্বী আমরা কার বাসায় এসেছি। সবাইকে ছেড়ে আমরা দৌড়ে এলাম। জানি না। মেয়েটি সুমি মনে মনে বলছে আমাদের বাসায মেহমান আসার কথা। তাহরে কি ওরা এসেছে। এসো আমার সাথে। সুমি ওদেরকে নিযে তাদের বাসায় রওয়ানা হলো। পেছনথেকে রান্না ঘরে ঢুকলো । নীলিমা রান্না ঘরে ছিলো। সাগর তন্বী তাদের মাকে দেকে মা বরে জড়িযে ধরে। রুপালী বললেন এই তোর বড় মা। সুমি সালাম করলো। সালামের জবাব দিলো নীলিমা। এদের কোথায পেলে মা। ওরা যা দুষ্টুমি করছিলো। আমাদের পাড়ার সবাই ওদের দেখে হাসছিলো। কেনো ? ওরা যা বাদরামী করছে। দেখেন না ওদের পোষাকের অবস্থা। তাই তো দেখছি মা। আম্মুউনি কে ? তোমাদের আপি। আস্ত একটা পাগল। বন্ধন মোঃ এনামুল হক পর্ব ১২ *************************** গ্রামের পথ ধরে সবাই হেটে চলেছেন। গায়ের আকাবাকা পথ ধরে চলেছেন। ঘন সবুজের বুকে অবারিত ছায়ায় চলেছেন সবাই। মুক্ত বিশুদ্ধ বাতাসে মন জুড়াচ্ছে সকলের। সামনের সারিতে সাগর আর তন্বী। মধ্যসারিতে মোতালীব আর আমেনা, পেছনে আলম আর নীলিমা। মোতালীব বললেন প্রথম সারিতে ভাই বোনের বন্ধন। দ্বিতীয় সারিতে তাদের দাদা দাদীর বন্ধন আর শেষে ওদের মা বাবার বন্ধন। প্রত্যেকের জীবনে এই বন্ধনটা প্রয়োজন। সবার প্রয়োজন নেই। তোমার ছোট ছেলের এসবের প্রয়োজন নেই। নেই বলে তো মানুষ হতে পারলো না। জীবনে কোনদিন শান্তি পাবে না। শান্তি পাচ্ছে কি। সারাক্ষণ ঝগড়া ঝাটি এগুলো লেগে আছে। আলম আর নীলিমা প্রকৃতির সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছেন। শাহেদ আছেন আলম আর নীলিমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে। একটু আগে তিনি তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। নীলিমা বললেন মা বাবাকে অনেক আনন্দ দিতে পারছি আমরা। সত্যি তুমি আমার জীবনে না এলে সবকিছু অধরা থেকে যেত। আমি না এলে অন্য কেউ করতো। করতো না। সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহ তোমাকে আমকর জন্য দিয়েছেন। তা না হলে মা বাবার কপালে অনেক দুঃখ ছিলো। বলতে পারবো না। আমার মা আমাকে যা আদেশ করেছেন আর তুমি যা আদেশ করেছো আমি তা পালন করেছি মাত্র। কতটুকু পেরেছি জানি না। আদেশ দিয়ে কিছু হয় না। যদি তোমার সুন্দর মন না থাকতো আর সে মনে ভালবাসা না থাকতো তাহলে তুমি কিছু করতে পারতে না। আমার মতে পরিবার হচ্ছে বন্ধনের আসল মাধ্যম। আমার মা চাচীকে আমি দেখেছি আমকর দাদা দাদীকে সেবা যত্ম করতে। তাই আমার দাদা দাদী অনেক মা চাচীকে অনেক ভালব্সতেন প্রাণ ভরে দোয়া করতেন। তখন থেকে আমার ইচ্ছে ছিলো আমার মা চাচীর মতো আমার শ্বশুড় শাশুড়িকে সেবা করবো। আল্লাহ তোমারর আশা পূরণ করেছেন। এরপর বলছি আমার মা বাবা তোমাকে অনেক সময় অনেক কষ্ট দেন তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। কি বললে তুমি? আমি কি কখনো তোমার মা বাবাকে শুধু আমার শ্বশুড় শাশুড়ি মনে করেছি। আমার মা বাবা মনে করি নি। থাকো তুমি তোমার। আমি চললাম। নীলিমা রাগ করে চলে যাচ্ছেন। আলম নীলিমা কে ডেকে চলেছেন। মোতালীব আর আমেনা বেগম পেছন থাকালেন। আমেনা বললেন এদের আবার কি হলো? দেখো আমাদের নিয়ে কথাকাটি হলো কিনা। ওরা কি চায় আমরা আলাদা হয়ে যাই। আরে না। তোমার ছেলেকেতো চিনো নিশ্চয় কিছু একটা বলেছে। আলম নীলিমাকে ডেকে ডেকে থামালেন। কি বললেন বোঝা গেলো না। আবার তারা হাঁটতে লাগলেন। আমেনা বললেন দুটো বাচ্ছা পেয়ে গেছে তারপর ঢং গেলো না। এর নামিতো বন্ধন। কিছু খুনসুটি, কিছু রাগ অভিমান আর ভালবাসা এইতো স্বামী স্ত্রীর বন্ধন। কেন তোমার সাথে আমি এমন করি নি। বয়স কি আর আছে। এখন যাবার পালা। যেতে হবে তবে ভেতরটা আজো চির যৌবনা রয়ে গেছে। হয়েছে হাঁটো। সাহর আর তন্বী তাদের চাচার সাথে হেঁটে চলেছে। সাগর কৃষিকাজে লাঙ্গল দিয়ে মাটি চাষ করা হচ্ছে। সাগর বলল এটা কি চাচ্চু। লাঙ্গল দিয়ে মাটি খুড়া হয়। মই দিয়ে নিড়ানী দেয়া হবে। ঐ দেখো মই। বইয়ের মধ্যে দেখেছি। তন্বী দেখ। দেখছি। আরো অনেক কিছু তারা দেখলো। পাকা ধানের মাঠ, নদ নদী। সাগর তন্বী দুজনে নদীতে গোসল করতে চাইলো। শাহেদ ওদেরকে গোসল করালেন। ভিজা কাপড় পরে ওরা বাসায় ফিরলো। বাসায় ফিরে কাপড় চোপড় পরিবর্তন করলেন। দুপুরের খাবার খেলেন। খেয়ে আলম আর মোতালীব একটিেগাছের নিচে বসে আলাপ করছেন কি ভাবছো তুমি? কিছু না। আসিফের কথা ভাবছো। হ্যাঁ। মানুষ করতে পারলাম না। মানুষ হয়েছে। তবে মানুষের মতো না। শয়তানের মতো। কিছু করার নেই। আল্লাহ চাইছেন তাই হয়েছে। যেমন ছেলে আমার তেমনি বউ পেয়েছে। একজন আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে আরেকজন মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছে। আরে তাদের কাছে মা বাবার ভালবাসার কোন মর্যাদা আছে। তাদের একা একা সবকিছি দরকার। যার ফলে এদের সন্তান নিসঙ্গতা, একাকিত্বে বড় হয়ে এরাধ্বংস হয়ে যায়। ভয় নাতিটার জন্য। আমাদের সাথে মিশতে দেয় না । মিশলে নাকি অসুস্থ হবে। ভালবাসা বুঝতে পারে না। পারবে কি করে এদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন নেই। আমাদের নাকিটাকেও এরা নষ্ট করে ছাড়বে । মাঝে মাঝে মনে হয় ওকে আমাদের কাছে নিয়ে আসি । বড় হোক একটা শক্ত বাধনের মধ্যে। মা বাবার ঝগড়া, ঝাটির কারণে আমাদের নাতিটাও সম্পর্ককে একটা বাঝে ধারণা নিয়ে বড় হচ্ছে । হ্যাঁ। পরিবার ভালবাসা, ভরসা, সহনশীলতা নির্ভরতা এরা কিছুই বুঝে না। আর বুঝবে কিনা কে জানে । আরিয়ান সিগারেট খেতে খেতে পাক্কা সিগারেট বাজ হয়ে গিয়েছে। বাবা মা কেউ থামাতে পারেন না । বা থামানোর চেষ্টা করেন না। মা বাবার মতো সেও পার্টি আ্যারেন্জ করে বাড়িতে। ধনী পরিবারের সবাইকে নিয়ে সে পার্টির আয়োজন করেছে। আর বাস্তবতা হলো এখন সে পানি খাওয়া শিখে ফেলেছে। সবকিছুর পরও পড়াশোনা ধরে রেখেছে। বিভিন্নরকম পার্টিতে তার আনাগুনা বেড়ে গিয়েছে। সময়ের স্রোতে ওরা বড় হয়েছে। আরিয়ানও বড় হয়েছে। সাগর তন্বী দুজনে বড় হয়েছে। দাদা দাদী মারা গিয়েছেন। আজ সংসারে আছেন নীলিমা, আলম, সাগর, তন্বী। আর আসিফ, সাম্মী আর আরিয়ান। সাগর কলেজে আর তন্বী এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আরিয়ানও কলেজে রয়েছে। আরিয়ান প্রায় সময় মেয়েদের নিয়ে ঘুরে। বড় লোক বাবার ছেলে। তাই টাকা পয়সার কোন সমস্যা নেই। সাগরের তা ভাল লাগে না। সবকিছুর পর ও সে আরিয়ানকে ভাই বলে পরিচয় দেয়। অনেকে সাগরকে বলে আরিয়ান তোর ভাই কি করে? আমার চাচাতো ভাই। কি বলছিস? হ্যাঁ । কিন্তু তোর আর তোর ভাইয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক। কোথায় তুই আর কোথায় সে। কেউ এসে সাগর কে বলল আরিয়ান কে কারা মারছে। সাগর গিয়ে মারামারি থামালো। সবার কাছে তার হয়ে মাফ চাইলো । সাগর বলল আরিয়ান আর কত এমন করবি। কেন আসিস তুই। কি করবো । আত্মীয়তাকে ভুলতে পারছি না। কেন মনে রাখিস। একটা খারাপ মানুষের সাথে সম্পর্ক না রাখা ভাল। বাসায় যা । যাচ্ছি। সকগর কিছু বললে তা মনোযোগ দিয়ে শুনে। October 3, 2018 at 1:00 PM · Public

ছবি
সেকশনঃ সাহিত্য
লিখেছেনঃ Md Enamul Huq তারিখঃ 04/05/2020
সর্বমোট 970 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন