দেশের ক্রান্তিলগ্নে সবার সচেতন হওয়া অনেক জরুরী।জরুরী সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা।আল্লাহ ভরসা'র সাথে সাথে নিজেকে ও পরিবারকে ঘড়ে রাখা। মৃত্যুর মিছিল আস্তে আস্তে ভারী হচ্ছে। সেদিকে খেয়াল রাখবেন ভাই।আল্লাহকে আমরাও বিশ্বাস করি, তিনি হায়াত -মউতের মালিক।তিনি কিন্তু আত্মহত্যাকে মহাপাপ ঘোষনা করেছেন।বর্তমান পরিস্থিতি অযথা বাইরে ঘোরা,নিজের মৃত্যুকে আমন্ত্রন জানানোর মত
।আমি ধর্মীয় বিষয়গুলো এড়িয়ে কথা বলতে চাই কারণ আমি ধর্মীয় ব্যাপার অত বুঝি না।
গত মাসের শেষের দিকে যখন সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করল(এখানে সরকারের কিছু অস্পষ্টতা বিশেষ ভাবে দেখা যায়,যার দায়ভার সরকার কখনো এড়াতে পারবে না)।তখন শহরে শহরে বিশেষ করে পোষাক শিল্প অধ্যাষিত এলাকায় ঈদি আমেজ বিরাজ করল।দলে দলে শ্রমজীবী মানুষরা ছুটল ঘরে।হয় গেল জগা খিচুরি (সোস্যাল ট্রান্সমিশন)।আবার চার তারিখে কারখানা খোলার ঘোষনা অতপর বন্ধ ঘোষনা এই যে একটা কড়া স্বাদের ঝাল মুড়ি মাখানো হলো এর দায় ভার কে নিবে।সরকার নাকি শ্রম শাসক।
আমিও সবার সাথে সুর মিলিয়ে এনাদের দোষ দেই।গালমন্দ করি।আমার জীবন নিয়ে খেলছেন কেন?
আমরা কি আমাদের জীবন নিয়ে খেলি নাই।
আমিও শ্রমজীবী মানুষ। শ্রম বেঁচে পেট চালাই।আমারও পরিবার আছে।আমিও মানুষ,আমারো মন চায় পরিবারের সানিধ্যে থাকতে।কই আমি তো ছুটে গেলাম না আমার পরিবারের কাছে।গেলাম না কেন?জানেন।
আমি বোঝার চেষ্টা করেছিলাম পরিস্থিতি। সরকার তো বারবার ঘড়ে থাকার ঘোষনা দিচ্ছে।পোষাক-কারখানা ছুটি দিলো যাতে আপনি ঘড়ে নিরাপদ থাকেন।আর অাপনি খুশিতে ছুটলেন গ্রামে। সাথে নিয়ে গেলেন করোনাকে।গ্রামে শনাক্তকৃত বেশির ভাগ রোগীই ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত কিংবা এদের সংস্পর্শে আসা আত্মীয় স্বজন।আপনার আবেগ আর ভালোবাসা আপনার সাথে আপনার পরিবারকে বিপদে ফেলল।
কাকে দোষ দেবেন আপনি।
প্রথম দিকে সরকারের অস্পষ্টতা থাকলেও এখন তো নেই।তাহলে কেন শুনছেন না, মানছেন না।বাস বন্ধ করলে ট্রাকে ছোটেন।কভার্ড ভ্যানের মত বন্ধ বাহনে ছুটতে আপনাদের দ্বি্ধা হয় না। ইউরোপে যাওয়ার মত দৃশ্য চোখে পড়ে।পিকআপ ভ্যানে মাছের ড্রামের মধ্যে যান।আহ!আপনি কত চালাক।আপনার চালাকি কিন্তু আপনাকে বিপদে ফেলবে,সাথে আমাদের।
রাত নিশিতে ট্রাক বোঝাই করে কিংবা নদীপথে নৌকা বোঝাই করে রোহিঙ্গাদের মত ছুটছেন।কেন ভাই।আপনাকে কি যেতেই হবে।এ শহরে কি আপনাকে না খেয়ে মরতে হবে, তাই।এখন যে খেয়ে দেয়ে পরিবারসহ মরছেন,এতে কোন আপত্তি নাই।আমিও তো শহরে আছি,একবেলা খাচ্ছি আর না হয় একবেলা খাচ্ছি না,তবুও তো আমি নিরাপদে ঘড়ে থাকার চেষ্টা করছি।আমার পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করছি।আপনিও পারতেন,আপনি অনেক আবেগ প্রবন। আবেগকে দমিয়ে রাখতে পারেন নি।এ আবেগ আবার গলার ফাস হয়ে ঝুলছে।
জেলার পর জেলা লক ডাউন ঘোষনা হচ্ছে।নিরাপদে ঘড়ে থাকার আহবান জানাচ্ছে সরকার।তখনও আপনার আল্লাহ ভরসা।
আমি নিজে বাপ-মা ছেড়ে দুরে থাকি।মন খারাপ লাগে।
মনকে বলি,শোন এখন ঘড়ে থাকো।আবার স্বাভাবিক হলে পুরো পরিবার একসাথে আকাশ দেখবো।
লাখো তারার মাঝে এক ফালি চাঁদ আবার হাসবে।আমিও দেখব।সাথে থাকবে বাবা মা ভাইবোন আমার সন্তান আমার সহধর্মিণী।