ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের।

বেতন বৃদ্ধি সহ সরকারি সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত কর্মী বাহিনী সিএইচসিপি গণের পরিশ্রম ও সৃজনশীলতায় কমিউনিটি ক্লিনিক আজ বিশ্ব নন্দিত। বাংলাদেশ সরকারের সফলতম প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার কেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছানোর লক্ষে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালে টুঙ্গিপাড়া গীমাডাঙ্গায় স্থাপন করেন কমিউনিটি ক্লিনিক। ২০০১ সাল পর্যন্ত ১০হাজারের অধিক সিসি নির্মিত করা হয় সারা বাংলাদেশের ওয়ার্ড পর্যায়ে। ২০০১ সাল পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এই জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান টি ২০০৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুনরায় সরকার গঠন করেই শুরু করেন রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে। RCHCIB প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে নতুন ক্লিনিক নির্মাণ ও কর্মী নিয়োগ দিয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের অক্টোবর মাস হতে। কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের পদবীর নাম কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডা সংক্ষেপ সিএইচসিপি। দেশের একঝাঁক তরুণ তরুণী স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ৫২% নারী ৪৮% পুরুষ কর্মজীবন শুরু করেন। প্রকল্প চাকরি হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অঘাত আশা ও বিশ্বাস থেকে স্ব স্ব এলাকায় নিয়োগ কৃত কর্মী তাদের সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে সেবাদান কাজ চালিয়ে যান। তারই ধারাবাহিকতায় সর্ব প্রথম চাকরি রাজস্বকরণের স্বপ্নের বীজ বপন করেন সিএইচসিপিদের মনের ভিতর তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মাখদুমা নার্গিস, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক আরসিএইচসিআইবি (কমিউনিটি ক্লিনিক)। ২৯/০৭/২০১৩ ইং সালের স্মারক নং-আরসিএইচসিআইবি/কনঃ/শৃঙ্খলা -৯৭/২০১২/১০০৭ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সকল জারিকৃত চিঠিতে বলা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ সিএইচসিপি দের চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রসঙ্গে। এরই ২ মাস পর ১৯/৯/২০১৩ ইং তারিখে ডাঃ মোঃ শাহ নেওয়াজ, পরিচালক (প্রশাসন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা। মহাপরিচালকের পক্ষে দেশের সকল সিভিল সার্জনদের কে অবহিত করে একটি চিঠি ইস্যু করেন। স্মারক নং-স্বাঃঅধিঃ/প্রশা-৩/২০০৮/৪৬৬৮। চিঠির বিষয় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি) দের চাকুরী স্থায়ী করণ প্রসঙ্গে। সেই থেকে সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার কর্মী চাকরি রাজস্বকরণের আশা আরো তীব্রতর হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে নতুন প্রকল্প শুরু হলো। সেই প্রকল্প শেষ হয়ে ৪র্থ প্রকল্প সিবিএইচসি প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করল কিন্তু কর্মীদের চাকরি রাজস্বকরণের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না। কর্মীদের বেতন ভাতা কনসুলেটেড হিসাবে প্রদান করা হয় সরকারি কোন সুবিধা তারা এখনও অবধি পান নাই। শুরু হয় স্মারকলিপি প্রদান, মানব বন্ধন,মহা সমাবেশ কর্মসূচি সহ সর্বশেষ ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দীর্ঘ এক মাস টানা অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দেন।একই বছর ৮ ই অক্টোবর জাতীয় সংসদে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন পাশ হয় এবং গেজেট প্রকাশিত হয়। উক্ত আইনের ২৪ ধারায় কর্মীদের সরকারি চাকরির ন্যায় সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সাথে আইনটি কার্যকর হওয়ার দিন হতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের সকল কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনে পরিচালিত বিধান রাখা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন বাস্তবায়ন হতে দেরী হওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয় স্বাক্ষরিত চিঠি যার স্মারক নং-৪৫.০০.০০০.১৭৩.০০২.০৪০.১৮২৪ তারিখ ২৮/১/২০১৯ ইং খ্রিস্টাব্দে জারিকৃত চিঠিতে নির্দেশনা জারি করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮ এর ধারা ৪(২)২৪ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে। উক্ত নির্দেশনার পরও আর একটি বছর অতিবাহিত হতে যাচ্ছে তবুও আইনটি বাস্তবায়নে গড়িমসি হচ্ছে কর্মকর্তাদের। দীর্ঘ ৮ বছর একই বেতনে চাকরি করে বর্তমান দ্রব্য মূল্যর বাজারে কর্মীদের জীবনযাপন কষ্টকর। এমতাবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকের জননী বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমাদের চাকুরী নিশ্চয়তা সহ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের মনোনিবেশ করে কাজের পথ সুগম করার। এদিকে দিন দিন কর্মী অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক দায়িত্ব পালন কালে ৫০ জনের অধিক সিএইচসিপি অকাল মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু সরকার বা প্রকল্পের পক্ষ হতে কর্মীর পরিবারকে কোন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় নাই। শুধু মাত্র একটি শোকবার্তা চিঠিতে সীমাবদ্ধ। আন্দোলন বন্ধ করতে সিএইচসিপি সংগঠনের ৮ জন নেতা কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কৃত করে রেখেছেন যার প্রত্যাহার করছেন না কর্তৃপক্ষ ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে করুন ভাবে দিনযাপন করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন একই বেতনে চাকুরী করায় সেবাদান কাজের প্রতিও অনীহা দেখা যাচ্ছে সকল কর্মীদের। আইন অনুযায়ী সরকারি সকল সুবিধা দ্রুত প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বৃন্দ।

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ মাজেদুল হক তারিখঃ 29/12/2019
সর্বমোট 4819 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন