মাদ্রাসা থেকে কেন ভালোকিছু হতে পারে না
সাইয়িদ রফিকুল হক
একটা সময় এই বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে, কাছাকাছি থেকে, পাশাপাশি বসত করে নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলেছিল। তখন, একই পাড়ায়, একই গ্রামে হিন্দু-মুসলমান একত্রে-একসঙ্গে-পাশাপাশি বসবাস করতো। আর তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল ভাই-ভাই। কিন্তু এই ভারতবর্ষ থেকে ইংরেজদের বিদায়ের প্রাক্কালে একটা আস্ত শুয়োরের বাচ্চা ও সাম্প্রদায়িক নরপশু ‘মোহাম্মদ আলী জিন্না’র দ্বিজাতিতত্ত্ব ঘোষণার পর থেকেই ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা’র সূত্রপাত। মূলত ভারতবর্ষে একটা জিন্নাই সাম্প্রদায়িকতার জনক ও ধর্মের নামে শয়তানীর অন্যতম প্রধান পুরোহিত। তারপর এই ভারতবর্ষে (বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ) জন্ম নেয় আরও কিছু সাম্প্রদায়িক শুয়োরের বাচ্চা মোল্লা, কাটমোল্লা, মৌলোভী ও স্বঘোষিত মাওলানা। এরা জিন্নার উত্তরসূরী ও তার জারজপুত্র। এরাই এখন ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ভুটান, মালদ্বীপসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ইসলামের আত্মস্বীকৃত নেতা ও অভিভাবক!
বর্তমানে ভারতবর্ষে (বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ) হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি বিনষ্টের মূলে তথা অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে রয়েছে মাদ্রাসাগুলো। ইংরেজ-আমলে ইংরেজদের হাত ধরে বিকৃত মানসিকতার মাদ্রাসার জন্ম হতে থাকে। কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা (প্রতিষ্ঠাকাল: ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ) ও দারুল উলুম দেওবন্দ (প্রতিষ্ঠাকাল: ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দ)। এদের অনুসরণে পরবর্তীকালে ভারতীয় উপমহাদেশে একের-পর-এক ‘আলিয়া ও খারিজী’ধারার কওমী মাদ্রাসা গড়ে উঠতে থাকে। আর এই সকল মাদ্রাসার জন্ম হওয়ার পর থেকে শুরু হয় ধর্মের নামে ফতোয়াবাজি, ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যা, কুরআনের বিকৃত তাফসির, আর ইসলামের তথাকথিত ও মনগড়া ধর্মমাহাত্ম্য বর্ণনা। এখান থেকে যারা সামান্য আরবি-উর্দু ও ফারসি শিখে নিজেদের আলেম দাবি করতে থাকে—তাদের প্রায় সবাই ছিল জাহেল ও শয়তানের অনুসারী। এই মাদ্রাসাশিক্ষার মাধ্যমেই ভারতবর্ষে ধর্মের নামে অধর্ম কায়েম হতে থাকে। আর এভাবে ইসলামের নামে শুরু হয় ভিন্নধর্মের মানুষহত্যা, জাতিগত দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হিন্দু-মুসলমানের বিভিন্ন রায়ট ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। আর আজও তা বিদ্যমান।
আগের মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা কম থাকলেও তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প এখনকার তুলনায় অনেক কম ছিল। কারণ, তখন এত মাদ্রাসা ছিল না। তাই, তৎকালে মানুষের স্বভাব-চরিত্র কিছুটা ভালো ছিল। কিন্তু ইংরেজদের হাতে ভারতবর্ষে মাদ্রাসাপ্রতিষ্ঠা ও জিন্নার দ্বিজাতিতত্ত্ব ঘোষণার পর থেকে ভারতীয় ও বঙ্গীয় মুসলমানসমাজের একটা অংশ এখন সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে আজ জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝুঁকছে। আর এই শ্রেণীর মুসলমানের কোনো আত্মপরিচয় কিংবা জন্মবংশপরিচয় নাই। এরা অতিশয় নিম্নশ্রেণীর ও নিম্নবংশের কুসন্তান ও কুলাঙ্গার। এই শ্রেণীটিই মাদ্রাসা থেকে সামান্য ও অতিসস্তা যেকোনো একটা ডিগ্রী নিয়ে আজ নিজেদের আলেম-উলামা দাবি করছে! কিন্তু এদের না-আছে জ্ঞান, আর না-আছে স্বভাব-চরিত্র। তবুও এরা শুধু চাপাবাজির জোরে সস্তা ও সাধারণ নিম্নমানের লোকদের কাছে আলেম সেজে বসেছে! এমন আজব ও বিস্ময়কর ঘটনা শুধু আমাদের বাংলাদেশেই সম্ভব।
মাদ্রাসা থেকে সাধারণ একটা দাখিল-আলিম-ফাজিল-কামিল পাস মোল্লা ও মৌলোভীরা নিজেদের নামের আগে মাওলানা, মুফতি, মুহাদ্দিস, শায়খুল হাদিস, মুফাসসির, মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা ইত্যাদি আত্মস্বীকৃত বিশেষণ লাগিয়ে নিজেদের বিরাট একটা আলেম ভেবে বসে আছে! এই শুয়োরগুলো নিজেদের ধর্মব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য বিনা উস্কানিতে মসজিদে, মাদ্রাসায় ও মাঠেঘাটে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষদের কাফের, নাস্তিক, মুরতাদ, মুশরিক ও ইসলামের শত্রু বলে গালিগালাজ করছে। বিশেষত এই মাদ্রাসাপাস পশুশ্রেণীটি বিনা কারণে মসজিদে কিংবা মাদ্রাসায় বসে কিংবা যেকোনো ওয়াজের মাঠে হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও হিন্দুধর্মাবলম্বীদের গালিগালাজ করতে থাকে। এরা এখন ফতোয়াবাজি করছে যে, ‘মুসলমানের ভাই শুধু মুসলমান। কোনো হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ অপরাপর ধর্মের মানুষদের কখনো প্রতিবেশী-আপনজন কিংবা প্রতিবেশী-ভাই ভাবা যাবে না। এদের সঙ্গে কখনো বন্ধুত্ব করা যাবে না কিংবা কোনোরকম সম্পর্ক রাখা যাবে না!’ এরা আরও বলে থাকে: ‘এই পৃথিবীতে মুসলমানই একমাত্র জাতি—যারা আল্লাহর মনোনীত।’ তাই, এরা মনের সুখে মসজিদে-মাদ্রাসায় কিংবা মাঠেঘাটে বসে ওয়াজের বা ধর্মীয় আলোচনার নামে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি, শিখ ইত্যাদি ধর্মের মানুষদের গালিগালাজ করতে থাকে। জানি, এসব এদের মনগড়া ধর্মবাণী। এভাবে, এরা আজ জাতিগত সংঘাতসৃষ্টি করছে। এরাই সাধারণ ও মুর্খ লোকদের জঙ্গি বানানোর অকাজে নিয়োজিত। এদের ওয়াজ নামক আওয়াজের কারণে এদেশীয় একশ্রেণীর বন্য শূকর ও শূকরছানা (এরা সাধারণ স্কুলে-কলেজে পড়লেও চিন্তাচেতনায় এখন আদিম শুয়োর) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি, শিখ ইত্যাদি ধর্মের মানুষদের দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণীর মানুষ মনে করে থাকে। আর যারা এসব বলে—তারা মুসলমান-নামধারী হয়ে সারা দিনরাত মদ খেয়ে, মাগীবাজি করে, নিয়মিত বেশ্যার বাড়িতে যাতায়াত করে, মানুষখুন করে, পরের জায়গাজমি দখল করে, পরের স্ত্রী-কন্যা দখল করে, হিন্দুর জায়গাজমিসহ নারী দখল ও ভোগ করে, সরকারি টাকাপয়সা লুট করে, ঘুষ খেয়ে, সুদ খেয়ে, বেশ্যাবৃত্তি ইত্যাদি করেও নাকি মুসলমান ও মানুষ! এইরকম একটি বেজন্মা নীতি প্রচার করছে মাদ্রাসাপাস হুজুর ও পাতিহুজুররা। এই শুয়োরগুলো নিয়মিত মাদ্রাসাছাত্রদের মলদ্বারে নিজেদের পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে যৌনসুখে লিপ্ত হয়েও নাকি আলেম! হায়রে আলেম! হায়রে ধর্ম! বেশ্যাও এখন ধার্মিক! আর বেশ্যাও নাকি এখন পূর্ণ সতী!
ভারতবর্ষের (বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের) মাদ্রাসাগুলোর একমাত্র কাজ হচ্ছে—সাম্প্রদায়িকতাসৃষ্টি, ইসলামধর্মের নামে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতিবিনষ্ট ও ইসলামের নামে মুসলমানদের জঙ্গি বানানো। আর এই মাদ্রাসাগুলোতে সরকারি টাকা ঢালছে বাংলাদেশের বিকৃত মানসিকতার সরকারগুলো। এরা এই শুয়োরের বাচ্চাদের ভোটের আশায় ধর্মের জিগির তুলতে সামান্য লজ্জাবোধও করছে না। অথচ, এই মোল্লা নামক শুয়োরগুলো অতীতে কখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দেয়নি। আর বর্তমানে ও ভবিষ্যতেও এরা কখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিবে না। তার কারণ, এই মাদ্রাসাপড়ুয়া মোল্লাদের শতকরা ৯৮ভাগই পাকিস্তানের জারজসন্তান। এরা হয়তো নিজেদের লোভ ও লাভের হিসাব মিলাতে আজ আওয়ামীলীগ-সরকারের সঙ্গে লোকদেখানো ভাব-সখ্যতা জমাতে পারে। কিন্তু ভিতরে-ভিতরে এরা আজও সেই পাকিস্তানী নরখাদক ও হায়েনা। উদাহরণ হিসাবে ফেনীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার যৌনসম্রাট ও অধ্যক্ষ নামক একটা সিরাজউদ্দৌলার কথা বলা যেতে পারে। এই বেজন্মা রক্তমাংসে রাজাকারি বীজের ফসল হয়েও সে নিজের পাপের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ও তা রক্ষার জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের টাকার বিনিময়ে বশ করে রেখেছিল। বাংলাদেশে এখন একশ্রেণীর টাকালোভী বেজন্মা রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ভিতরে সিরাজের মতো এরকম বহু বেজন্মা এখন আওয়ামীলীগার সেজে বসেছে! কিন্তু এই বেজন্মারা কি কখনো আওয়ামীলীগের নৌকায় ভোট দিবে? কক্ষনো না। না, না, এবং না। তবে এই বেজন্মাদের কেন আওয়ামীলীগ প্রতিপালন করছে বা করবে? এর উত্তর আজ কে দিবে?
বর্তমানে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে খুবই নিম্নমানের পরিবারের বা নিম্নজীবী লোকের সন্তানসন্ততি। এখানে, প্রায় বিনা পয়সায় পড়ালেখা করার সুযোগ আছে। তার কারণ, মাদ্রাসাগুলোতে দেশের সর্বস্তরের পাপী, ব্যভিচারী, ঘুষখোর, সুদখোর, জোচ্চোর, টাউট-বাটপাড়, চোরাকারবারি, চোর-ডাকাত, লুচ্চা-বদমাইশ, পরের জায়গাজমি-দখলকারী, সরকারি অর্থ-আত্মসাতকারী, মানুষখুনীসহ বিভিন্ন সমাজবিরোধী-দেশবিরোধী তাদের পাপের অর্থ হালাল করার জন্য দান-খয়রাত করে থাকে। এককথায়: দেশের মাদ্রাসাগুলো চলছে হারাম-টাকার লোকদের হারাম-দানের মাধ্যমে। এরা নিজেদের হারাম-টাকা হালাল করার জন্য জাকাত, ফিতরা, সাদকাহ ও মোটা অঙ্কের অর্থদান করছে। এক্ষেত্রে, সওয়াবের আশায় হাজারে দুই-একজন ভালোমানুষও তাদের বৈধ টাকা এখানে দান করছে। তবে অধিকাংশই তাদের পাপের সম্পদ জায়েজ করার জন্য এখানে দানসাদকাহ করে থাকে। আর এই পাপীদের পাপের অর্থে নিয়মিত দেহকে পরিপুষ্ট ও নধরকান্তি করে তুলছে মাদ্রাসার সাধারণ-কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। হারাম-লোকের হারাম-টাকায় খেয়ে-পরে এইসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কীভাবে আলেম হবে? এদের যারা ওস্তাদ—তারাও এভাবে পরের টাকায় খেয়ে-পরে মানুষ। এরাও আলেম হতে পারেনি। হারামের টাকায় গড়ে উঠেছে এদের জীবনের ভিত্তি। এরা হয়েছে শুধু হুজুর আর পাতিহুজুর। তাই, এরা আলেম হবে কীভাবে?
মাদ্রাসায় এখন পড়ছে কারা? রিক্সাওয়ালার ছেলে-মেয়ে, ভ্যানচালকের ছেলে-মেয়ে, চা-ওয়ালার ছেলে-মেয়ে, কুলি-মুটে-মজুরের ছেলে-মেয়ে, কাজের বুয়ার ছেলে-মেয়ে, দারোয়ানের ছেলে-মেয়ে, গাড়ির ড্রাইভারের ছেলে-মেয়ে, দোকানদারের ছেলে-মেয়ে, মাইক্রোবাস-চালকের ছেলে-মেয়ে, গাড়ির হেলপার-কন্ডাক্টরের ছেলে-মেয়ে, কতিপয় মসজিদের কিছুসংখ্যক ইমাম-মুয়াজ্জিনের ছেলে-মেয়ে, আরও কিছু হুজুরের ছেলে-মেয়ে, তরকারিওয়ালার ছেলে-মেয়ে, বিহারীর সন্তানসন্ততি, আওড়া-জাউড়া-মাউড়া-ভাউড়ার ছেলে-মেয়ে, গ্রামের দরিদ্র কৃষকের সন্তানসন্ততি, আরবদেশে (সৌদিআরব, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ইরাক, ওমান, লিবিয়া, মিশর, মরক্কো ইত্যাদি সহ) কামলাখাটা সাধারণ শ্রমিকের ছেলে-মেয়ে ইত্যাদি। এই তালিকা দেখে কেউ-কেউ আঁতকে উঠতে পারেন—মাদ্রাসাপড়ুয়া সবাই তাহলে গরিব! আসলে, তা নয়। কিন্তু বেশিরভাগই এই শ্রেণীর। তবে এখানে খুব নগন্যসংখ্যক ধনীলোকের সন্তানসন্ততিও পড়ালেখা করে থাকে। তার সংখ্যা নেহায়েত অপ্রতুল। যেমন—মাদ্রাসায় আজকাল ঘুষখোর পুলিশ কিংবা পুলিশ-অফিসারের ছেলে-মেয়ে, কালোবাজারি কিংবা অবৈধ ব্যবসায়ীর ছেলে-মেয়ে, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি-কর্মকর্তার সন্তানসন্ততি, কোনো-কোনোক্ষেত্রে আরও উচ্চপদস্থ সরকারি-লোকদের সন্তানসন্ততিও হাজারে দুই-একটা দেখা যায়। আর এরা পাপ ও ঘুষের টাকা হালাল করার জন্য এসব করে থাকে।
জীবনযাত্রায় হালালের সংমিশ্রণ ও সংশ্লিষ্টতা না থাকায় মাদ্রাসার হুজুর ও শিক্ষার্থীরা ইসলামের সঠিক পথে না গিয়ে জঙ্গিপনা, অপরাজনীতির অপতৎপরতা, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-কৃষ্টি-কালচার ও সভ্যতাবিরোধী আগ্রাসন চালাচ্ছে। এরা এখনও আধুনিক মানুষ ও মুসলমান হতে পারেনি। এরা শুধু হুজুর হয়েছে মাত্র।
পরিশেষে, বলতে পারি: এসকল কারণে মাদ্রাসার হুজুর, পাতিহুজুর ও শিক্ষার্থীরা ভালো হয় না। ভালো হতে পারছে না। তারা মানুষ হতে পারছে না। মানুষ হতে চাচ্ছে না। তারা দেশপ্রেমিক হতে চায় না—দেশপ্রেমিক হতে পারে না। এরা শুধু একটুখানি আরবি শিখে একলাফে মুসলমান হতে চাচ্ছে। এদের থেকে ভালোজাতের ও ভালোমানের মুসলমান কখনো তৈরি করা সম্ভব নয়। এজন্য আজ সমাজে মুসলমান-নামধারী জঙ্গি, সেমি-জঙ্গি, আর নিদেনপক্ষে মনে মনে নীরব-জঙ্গি তৈরি হচ্ছে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
২২/০৪/২০১৯