আমি ব্যক্তি জীবনে একটা সূত্র মেনে চলি আর তা হলো আমার অপছন্দের ব্যক্তির বন্ধুকে আমি আমার বন্ধু বানাই না ও যদি ঐ ব্যক্তি আমার অপছন্দের ব্যক্তির সাথে বলার পরও বন্ধুত্ব বজায় রাখে তবে শুভ বিদায় বলে দেই। একজন আমার সাথে খারাপ হয়েছে বলে সে সবার সাথে খারাপ হবে এটা আমি মনে করি না, আমি নিজেও সবার কাছে ভালো না। তবে এই ক্ষেত্রে আমি এই বিষয়টা বুঝেই আমার আচড়ণ ঠিক করেছি। যাকে বাদ দেবো তার পুরোটাই বাদ আমার কাছে, এক্ষেত্রে একটু আধটু কম্প্রোমাইজ আমি ব্যক্তি জীবনে করি না।
আমার কাছে অভিযোগ করেছে এমন ব্যক্তিকেও আমি দেখেছি অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে খাতির টাতির রেখে চলতে, আমার কথা যদি বাপু খাতির টাতির রাখবাই তবে আবার অভিযোগ কেনো? তোমার অভিযোগ শুনতে আমার তো সময় লেগেছে ! আমার তো সময়ের দাম আছে নাকি! আবার যে লোকের সম্পর্কে মন্দ কথা বলিলা ঐ লোকতো আমার চোখে খারাপও না , তবে কেনো হুদাই খারাপ বানাইলা তারে ! ??? এইটা আমার চোখে ইতরামি এবং আমার সম্পর্কেও যে তুমি অন্যকাওকে কিছু বলে বেড়াও না তার নিশ্চয়তা আমাকে দেয়না। সুতরাং আমার থেকে দুরে থাকো।
এই তুমি টা কোন ব্যক্তি তুমি না । এটা আমার চারপাশ ঘিরে থাকা মানুষরা। আমাকে কাজ করে খেতে হয়, চলতে হয়। নিজের পড়ালেখা আছে, কিছু দায়িত্বও পালন করতে হয় ভালো কিছুর আশাতে যাতে আমার ব্যক্তিগত লাভ নাই , কম ঘুমালেও আমার পছন্দের কাজ ঘুমানো, সেটার জন্যও সময় বের করতে হয়। আজাইরা সময় নাই আসলে। হয় তুমি ভালো না হয় খারাপ! মাঝামাঝি বলে কিছু নাই আমার কাছে।
দীর্ঘদিন মার্কেটিংয়ে চাকরী করেছি, একেবারে মাঠ পর্যায় থেকে ইউনিট প্রধান হিসাবে কাজ করতে গিয়ে চেষ্টা করবো শব্দটা পরিহার করেছি। হয় হবে বা হবে না, চেস্টা করবো বলে কোন শব্দ নাই। আমার এক্সিকিউটিভদের প্রথমদিনই বলে দিতাম, চেস্টা করবো বললে ফায়ারড হইবা, হয় পারবা বা না পারবা। না পারলে কেনো না, তার কারণ জানতে হবে। তবেই পারবার কারণ জানা যাবে।
এটা বাইনারী চিন্তা। আমার চিন্তা বাইনারী টাইপ। বাইনারী মানে ০ বা ১ তথা না বা হা। একজন লোক কে খারাপ বলতে বলতে আপনি বলতে পারেন না লোকটা সুন্দর। যদি বলেন সুন্দর তবে আমি বুঝবো লোকটাকে আপনি খারাপ ভাবেন না। লোকটি সুন্দর বা বান্দর যাই হোক না কেনো।
পাভলভের নাম শুনেছেন! মনস্তাত্বিক ছিলেন এই বিজ্ঞানী। কন্ডিশনাল রিফে্লক্স নামে উনার বিখ্যাত তত্বও আছে। মানে অবস্থা তৈরী করে প্রাণীর আচড়ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সুন্দর কন্ডিশন দিয়ে খারাপ কে সুন্দর লাগার বিষয়টি তেমনই। ইতর প্রাণীর বৈশিষ্ট এটা যা প্রমাণিত। আপনি ইতর জানবার পর আপনার সাথে খাতির রাখবো ! আমিতো ইতর না।
বি.দ্র: এটা আমিময় লেখা। আপনি , তুমি, তুই নিজের উপড়ে নিবেন না। তবে নিলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমাকে কামলা দিয়েই খেতে হবে।