দিয়াছি পারি পঞ্চাশৎ বৎসর,
ক্ষয় হইয়াছে পঞ্চকোষাবরণ।
পঞ্চপিতার আশীর্বাদে হইয়াছি পঞ্চবায়ুর
সাধক।
করি নাই আমি ধর্মের পঞ্চযজ্ঞ,
করিয়াছি মানবতার ত্রীযজ্ঞ।
আমি নহি পঞ্চবানে আহত পঞ্চজন,
যেই ছিলো পঞ্চমহাপাতক!
আমি কী পঞ্চোপাসক?
পঞ্চতিক্ত পানে করি উপোস? নাকি
পঞ্চপল্লবে সুশোভিত ঘট স্থাপিয়া করি
পঞ্চদেবতার পূজো?
নাকি আমি তা করি নাই?
আমি নহি পঞ্চগুনাধার,
নহি আমি পঞ্চোপাসক,
আমি পঞ্চতপা!
পঞ্চবটীর আশ্রয়ে করি পঞ্চকর্ম,
মানবতারই খাতিরে।
পড়া হয় নাই মোর পঞ্চবেদ,
ঘাটি নাই পঞ্চোপচার,
পঞ্চাশৎ আমি গাইয়াছি গান সাম্যের,মানবতার।
তিন বেলা পঞ্চামৃত, পঞ্চতত্নের
ভান্ডার,সৌন্দর্যে পঞ্চমী!
কীসের লালসা দেখায় নাই তাহারা?
পরন্তু আমি পঞ্চবানে আহত নাহি
আমি চলি সত্যের পানে সত্যেরই গান গাহি।
তাহারা করিয়াছিলো প্রহার, তাহা ফিরায়েছি
আমি।
লাগে নাই মোর পঞ্চায়ুধ।
কী ভাবিতেছো?
রক্ষার জন্য করিয়াছি আমি পঞ্চাননের বন্দনা?
অগ্নি দেবকে উৎসর্গ করিয়াছি পঞ্চপিত্ত?
খাইয়াছি পঞ্চগব্য গোমাতার তুষ্টিতে?
চাটিয়াছি পা পঞ্চমকার তান্ত্রিকের?
কিছি করি নাই,
করিয়াছি কেবল মনুষত্ব্যের বন্দনা।
পঞ্চত্বের ভয়ে,
পঞ্চগৌড়ে স্নান করিয়া,
পঞ্চতীর্থ ভ্রমনের নাহি প্রয়োজন
মানুষেরে করিও আপন,
দেয়াইয়ো না কামের তাপন
করিও মনুষত্ব্যরে বরণ।
দেখিও তোমায় নাহি ঘায়েলিবে পঞ্চবান,
তবেই দেখিবে তোমার দুয়ারে পঞ্চনদী বহমান।