ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

ট্রাইবাল নির্যাতন না দুর্বলের উপর সবলের জুলুম?

বাংলাদেশে তথাকথিত সুশীল ও প্রগতীমনারা পাহাড়ে কিছু হলেই প্রথমে একটা সোরগোল বাধানোর চেস্টা করে এই বলে যে পাহাড়ের নারী শিশুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে তারা পাহাড়ী বলেই। কারণ তাদের ভাষার ব্যবহারে পাহাড় ও আদিবাসী শব্দদুটো বেশ প্রাধান্য পায় বারংবার। তাদের সমালোচনার নামে প্রোপাগান্ডার ফোকাস পয়েন্ট মুলত আদিবাসী ও পাহাড় । এখানে আদিবাসী ও পাহাড় বলা হচ্ছে কারণ আক্রান্তের প্রতি যদি নুন্যতম দায়িত্ববোধ থাকতো তবে এই প্রতিবাদী শ্রেনীদের প্রতিবাদের ভাষা অনুযায়ীই তথাকথিত জুলুমবাজদের সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং অবশ্যই আর্থিক বিষয়ে অসহযোগীতার কথা ছিলো কিন্তু আমরা আনন্দের সাথে তাদের অংশগ্রহণ দেখি প্রতিনিয়ত। 

বাংলাদেশের সমতলে আমরা দেখি প্রতিদিন নারী ও শিশু নির্যাতিত হচ্ছে। শুধু নারী বা শিশু নয় পুরুষও সমান ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে নানান ভাবে। শারিরীক , মানসিক ও আর্থিক নির্যাতন হামেসাই ঘটছে সমাজে। আমরা যদি বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক সারাংশ টুকু দেখি তবে দেখতে পাই - ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে ৬৫% মানুষ ১৫-৬৪ বছরের মধ্যে, ২৮% মানুষ ০-১৪ বছরের আর মাত্র ৬% মানুষ ৬৫+ বছরের। এখানে ০.৯৭ জন পুরুষের বিপরীতে আছে ১ জন নারী। ৯৮% মানুষ বাঙালী, ১.১% মানুষ ট্রাইবাল ও অন্যান্য বাকী অংশ। জন্মহার ১.০৪%। গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর (উইকি)। অপরাধ চিত্র যদি দেখি তবে দেখতে পাই 



Source: ​https://www.numbeo.com/crime/country_result.jsp?country=Bangladesh

ড্রাগের ভয়াবহতাও এদেশে বেপক। প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ ড্রাগে আক্রান্ত যার অর্ধেক ইয়াবাতে। (সুত্র: ​https://bdnews24.com/bangladesh/2018/05/21/bangladesh-has-7-million-drug-addicts-over-half-of-them-are-addicted-to-yaba)। 



সূত্র: ​http://www.theindependentbd.com/printversion/details/105660

এই নারী নির্যাতনের উৎস মোটামুটি একটু বুদ্ধি থাকলেই বুঝবার কথা আমাদের এখন। পাহাড়ে তো অরাজকতা আরো বেশী কম জনবসতির ঘনত্ব, চলমান রাজনৈতিক বৈপরিত্য ও প্রভাব বলয়ের কারণে। সমতলেও আক্রমন প্রচুর নারীর প্রতি। এটা ক্রমশ বাড়ছে ড্রাগ ও রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে নারীকে ব্যবহার করবার কারণে। গণস্বাস্থ্যের জাফরুল্লার একটি অডিও আলাপে আমরা দেখি এর বাস্তবতা। যদিও সুশীল ও তথাকথিত বাম মানবতাবাদীরা এক্ষেত্রে চুপ বরাবরের মতোই তাদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে। 

পাহাড় আর সমতল বলে আসলে কোন কথা নেই। নারী নির্যাতিত হয় ও হচ্ছে। তবে এক শ্রেনীর সুবিধাভোগী নারীদের পক্ষে দাড়ানোর নাম করে আখের গোছানো সহ রাজনৈতিক গুটি হিসাবে নারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করবার প্রয়াস করে যাচ্ছে। সদ্য হয়ে যাও য়া কোটা আন্দোলনে এদের মুখোস সংস্কার চাই এর আড়ালে বেড়িয়ে পড়েছে কুৎসিত ভাবেই। এদের লোভ, নারী ও পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি এদের কুম্ভিরাশ্রুটা একটু হলেও প্রকাশিত হয়েছে। 

ড্রাগের ক্ষেত্রেও এই শ্রনীর একটা বড় রকম অংশগ্রহণ রয়েছে এদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদি আপনি খেয়াল করেন তবে দেখবেন। এদের এই নারী ও শিশু নিয়ে , ট্রাইবালদের নিয়ে মায়া কান্নার আন্দোলন আসলে কি সেটা বুঝবেন একটু ইতিহাস চর্চা করলেই। বিগত সময়ে কাওকে দেখবেন না আপনি নারীদের মডেল, শোপিস, ভোগ্য বস্তু, নাটকের নায়িকা, গায়িকা সহ মনোরঞ্জক কাজ ব্যবতীত কোন নারীকে স্বনির্ভরশীল হবার জন্য সহায়তা মুলক কোন কাজে সত্যিকার অর্থে সহায়তা করতে। এনজিও গুলো সহায়তার নামে কি করে সেটা এনজিওগুলোর শতকোটি টাকা দামের প্রাসাদ ও হোটেল ব্যবসার মতো ট্রেনিং সেন্টার গুলো দেখলেই বুঝা যায়। 

মুলত এটা পরিস্কার যে পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ঘটে না। জাতিগত বিদ্দ্যেশের দায় পাহাড়ী বাঙালী নির্বিশেষে। এটা পরিস্কার যে সুযোগ পেলে দুপক্ষই দুপক্ষের মাথা কাটবে সেখানে যার আভাস মিলে পাহাড়ীদের দু গ্রুপের লাশের রাজনিতীর খবরেই। এখানে সেনাবাহিনী রয়েছে বলেই আপাত শান্তিটা আছে। প্রতিদিন বা প্রতি মাসে আমাদের খারাপ সংবাদ শুনতে হয় না। যদিও প্রতিবাদী শ্রেনী প্রতিবাদের নামে বরাবর আংগুল তুলতে প্রয়াসপায় ঐদিকেই, এতে করে অবশ্য তাদের অভিপ্রায়টা বুঝতে সমস্যা হয় না। 

দুর্বলের উপর সবলের এই জুলুম বন্ধ করতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস যার শুরুটা হতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে। এই শিক্ষা হবে মানুষ কে মানুষ হিসাবে দেখা। নারী বা পুরুষ বাদের মতো বিষয়গুলো ঠেলে দিতে হবে দুরে। সেই সাথে প্রপাগান্ডা ও ভ্রান্তি ছড়ানো এসব ভন্ডদের আইনের আওতায় আনতে হবে কঠোর বিচারের ব্যবস্থা সহ। নারীর প্রতি অবমাননাকারী তথা যে কোন মানুষের প্রতি অবমাননা ও জুলুমের যেনো স্বল্প সময়ে বিচার হয় এবং তাতে যেনো দীর্ঘসূত্রিতা না থাকে তার জন্য স্পেশাল আদালত ও বিচারক নিয়োগ করা প্রয়োজন। যে আইনজীবি এই বিচারকে দীর্ঘ করতে প্রয়াস নিবে তাকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে নারীদের চিন্তাতেও পরিবর্তন জরুরী। শরীর কেন্দ্রিক চিন্তা থেকে বের হয়ে এসে কর্মে মনোনিবেশ করতে হবে। বিনোদন দায়িনিদের আদর্শ মেনে না চলে প্রকৃত বিজ্ঞান বুঝতে হবে। যৌন ও জরায়ুর স্বাধীনতাই কোন নারীকে মুক্ত করে না এটা বুঝতে হবে, এতে করে শুধু নারী সেই ভোগ বিষয়ক বিষয়েই আটকে যায় সেটা অনুধাবন করতে হবে। তাদের পরিত্যাগ করতে হবে ভন্ড নারীবাদি ও তথাকথিত প্রগতিবাদীদের। 
 

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ দুরন্ত.. তারিখঃ 09/11/2018
সর্বমোট 1021 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন