অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বা আসুর নেতৃত্বে আশির দশকে (1985) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর তৎকালীন রাজীব গান্ধি সরকার তথা ভারতিয় কংগ্রেস নাগরিক পঞ্জি তৈরী বা হালনাগাদ করতে সম্মত হয়। সেই সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "আমরা কখনই বাঙালি বিরোধী নই, আর এই প্রক্রিয়াটাও হিন্দু বিরোধী বা মুসলমান বিরোধী নয়। এটা অবৈধ বাংলাদেশীদের চিহ্নিত করার একটা প্রক্রিয়া। বহু অসমীয়া মানুষেরও নাম প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ গেছে।"
All Assam Students' Union or AASU is a students' organisation in Assam, India. It is best known for leading the six-year Assam Movement against illegal immigrants from Bangladesh. The leadership, after the historic Assam Accord of 1985, formed a political party Asom Gana Parishad (AGP), which formed government in Assam twice from 1985 to 1989 and from 1996 to 2001.
In 1940, a student union named Asom Chattra Sanmilani (Assam Students' Association) divided into the All Assam Student Federation and the All Assam Students' Congress. A decade later the two recombined as the All Assam Students' Association, which was later renamed All Assam Students' Union in January 1967.[1][2] In August 1967, the Union "established itself as a formal organisation and adopted its Constitution". (WIKI)
Party leader Prafulla Kumar Mahanta served as the Chief Minister of Assam for two terms, first from 1985 to 1990 and then again from 1996 to 2001. Asom Gana Parishad was a part of the National Front (NF) government from December 1989 to November 1990.
National Front (NF) was a coalition of political parties, led by the Janata Dal, which formed India's government between 1989 and 1990 under the leadership of N. T. Rama Rao, popularly known as NTR, as President of national front and V. P. Singh as Convener. The coalition's prime minister was V. P. Singh later succeeded by Chandra Shekhar. The parties in the Front were: Janata Dal at national level, Telugu Desam Party of Andhra Pradesh, Dravida Munnetra Kazhagam of Tamil Nadu, and Asom Gana Parishad of Assam and Indian Congress (Socialist). They were supported from outside by the Left Front and the Bharatiya Janata Party. The Leader of the Opposition, P. Upendra was a General Secretary of the Front at its formation.
নাগরিক পঞ্জী তৈরী করার দায়িত্বে রয়েছেন আসামের যে কর্মকর্তা, সেই প্রতীক হাজেলা বিবিসিকে চূড়ান্ত খসড়া তালিকার ব্যাপারে কিছু তথ্য দিয়েছেন:
• প্রায় তিন কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ নাগরিক পঞ্জীতে নাম তোলার আবেদন জানিয়েছিলেন। সঙ্গে জমা পড়েছে সাড়ে ছয় কোটিরও বেশী নথি। সমস্ত নথিই স্ক্যান করে ডিজিটাইজ করা হয়েছে।
• ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাচাইয়ের জন্য ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার নথি পাঠানো হয়েছে। ৩৭টি দেশেও নথি গেছে তথ্য যাচাইয়ের জন্য।
• ৪৮ হাজার কর্মী - অফিসার ২০১৫ সাল থেকে এই নাগরিক পঞ্জী প্রস্তুতের কাজ করছেন।
• বৈধ নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য ৫৯ টি ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে।
নাগরিক পঞ্জী প্রকাশ নিয়ে যে অশান্তি ছড়াতে পারে, সেই আশঙ্কা করছে পুলিশ।
তাই ২২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যে। সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। রয়েছে পুলিশী নজরদারীও।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এর আগে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আসু) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। নাগরিক নিবন্ধনের দাবি জানিয়ে তিনি তখন গৌহাটি আদালতে আবেদন করেন। এরই পরিপেক্ষিতে ২০০৫ সালে দেয়া রায়ে হাইকোর্ট নাগরিক নিবন্ধন নবায়নের আদেশ দেন। বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে মামলা, পাল্টা মামলা, আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নিবন্ধনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। আসামের কট্টরপন্থী রাজনীতিকরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কথিত বাংলাদেশিদের উপস্থিতিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশকে তারা নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনে জেতার পরই সোনোয়াল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সরকারের প্রথম কাজই হবে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্ত সিল করে দেওয়া। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া নেই, আসাম সরকার মনে করে, অনুপ্রবেশকারীরা এই পথ দিয়ে আসামে অনুপ্রবেশ করছে। গত ৩০ বছরে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই ‘বাংলাদেশি’ বলে ধরা হয়। ৭০ লাখ কথিত বাংলাদেশিদের মধ্যে মুসলিমের সংখ্যাই বেশি। এর মধ্যে তিন লাখ হিন্দু বাঙালিও আসাম থেকে বহিষ্কারের মুখে রয়েছেন। নতুন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ১৯৮৫ সালে প্রয়াত রাজীব গান্ধীর কংগ্রেস সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত ‘আসাম চুক্তি’ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর যেসব বিদেশি অবৈধভাবে আসামে অভিবাসী হিসেবে ঢুকেছে, তাদের শনাক্ত করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০ বছর পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় অহমীয়াদের মধ্যে জমছিল ক্ষোভ ও হতাশা। এ কারণে কট্টর অহমীয় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অসম গণপরিষদ এবং বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে জেতার পর বিজেপি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারছে না। গত ১৫ বছর আসামের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক ছিল না এমন ধারণাই বদ্ধমূল ছিল আসামের ভূমিপুত্রদের মনে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল এটাও বলেছেন, এক্ষেত্রে হিন্দু বা মুসলিমের কোনো প্রশ্ন নেই। ভারতের বৈধ নাগরিকত্ব থাকতে হবে। বিষয়টি রাজ্যস্তরীয় নয়, এটা জাতীয় ইস্যু। শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি)। এরপর অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে। (অমিত গোস্বামী)
আসামের নাগরিকত্ব নিয়ে মামলা ও আসুর (অসুর হলেই নামটা একদম সঠিক হতো) উগ্র জাতিয়তাবাদী ও অমানবিক আন্দোলনের ফল এই নাগরিকপঞ্জি। বাংলার তথা বাংলাদেশের বিবেকদের দ্যাখি হামেশা বিজেপিকে গালাগালি করতে এই ইস্যুতে কিন্তু আসল কালপ্রিট আসুর বিষয়ে কোন কথা নেই ! আপনারা হয় অজ্ঞ এই বিষয়ে নতুবা মতলব আছে কোন ! কংগ্রেস ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও এই বিষয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি উপরন্তু ১৯৮৫ সালে চুক্তি করে আইনি ভিত্তি দিয়েছে এই অমানবিকতার যার ফলাফল আদালতের রায় এর প্রেক্ষিতে নাগরিকপঞ্জী করে বিতারণ ব্যবস্থা। তথাকথিত বাংলাদেশী বিতারণ এই কাজের মুখ্য উদ্দেশ্য যে সেটা রাখঢাক করে বলা হচ্ছে না, প্রকাশ্যেই বলা হচ্ছে সর্বোচ্চমহল থেকে।
বাংলাদেশের সুশীল ও তথাকথিত মানবতার লেজ ধারীরা চুপ, ৪০ লাখ মানুষ বাস্তু হারানোর শংকাতে আজ! মানবতা কোথায় তবে? অবশ্য পশুবাদীদের কাছে প্রকৃত মানবতা আশা করাও যায় না , যা যায় সেটা হলো ধান্দাবাজীর মানবতা।