সম্মানিত পাঠক, অনিয়মিত বিরতি দিয়ে আবার আপনাদের মাঝে এলাম। আশা করছি এই অধমের লেখায় খুব একটা গুরুত্ব দিবেন না।
.
.
.
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, খুব সহসাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেকনাফে নিহত হওয়া কমিশনার একরামুল হকের পরিবারকে গণভবনে ডাকবেন। যথেষ্ট মন খারাপ করে ছলছল চোখে জননেত্রী ক্যামরার সামনে দাড়াবেন। শাড়ীর আঁচলে চোখ মুছবেন। নিহত একরামের বৌকে জড়িয়ে ধরে ছল ছল নয়নে ক্যামেরার দিকে তাকাবেন। ভেষে উঠবে একটি করুণ সুর। খুবই ক্লোজ লেন্স ফোকাসে নিহত একরামের তিন নিষ্পাপ শিশুকে দেখানো হবে। তিনি এই অসহায় পরিবারের সকল দ্বায়িত্ব নেওয়ার ঘোষনা দিবেন। সন্তানের লেখাপড়ার সকল দায়িত্ব নিবেন। নিজের স্বজন হারানোর সৃতিচারণ করে তাদের স্বজন হারানোর সাথে একাত্বততা ঘোষনা করবেন। এক হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী দৃশ্যের অবতারণা হবে।
.
.
মিডিয়া একাট বেশ জোরালো নিউজ পাবেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো নতুন করে টক শো সাজাবেন। আমাদের রাজনৈতিক নেতাগন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁদের বিদ্যা জাহির করবেন। একটু ঝগড়া করবেন।
আমরা বিচার করতে বসবো কে ভালো বলেছে আর কে মন্দ বলেছে।
আমাদের প্রিন্ট মিডিয়াগুলো যথেষ্ট যত্নসহকারে অসহায় পরিবারের ছবি ছাপাবেন হয়তো চেষ্টা করবেন খুব কাছে থেকে চোখে পানির ছবি তুলতে। যথেষ্ট দরদ দিয়ে ফিচার লিখবেন।
কোন এক মেরুদন্ডহীন পরিচালক হয়তো এ নিয়ে নাটক বানাবেন। কোন এক ঈদে সে নাটক একরামুলকে উৎসর্গ করে দুপাইস কামানোর বেশ ভালো একটা সুযোগড় হাতিয়ে নিবেন।
আমারও কিছু দিন চো ছু উহ আহ করে হাপিয়ে উঠবো। আবার কোন নতুন ঘটনা নিয়ে সরব হবো। একরামুলের পরিবার হারিয়ে যাবে আমাদের হৃদয় থেকে। কষ্টটা তাদের মনে রয়ে যাবে চিরদিনের জন্য।
আর কত কাল এ ভাবে চলবে ? কবে আমরা স্বভাবিক ভাবে বেঁচে খাকার গ্যারান্টি পাবো।
সম্মানিত পাঠকগণ অভাজনের ভুল-ত্রটি আপন মহিমায় ক্ষমা করবেন