ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

যুক্তির যৌক্তিকতা

যারা দেশ জাতি উদ্ধার করতে চাও তারা প্রথমে লজিক জ্ঞান ঠিক করো। লজিক জ্ঞান ঠিক করবার কথা বলছি এই কারণে যে তোমাদের লজিক জ্ঞান আছে তবে যে কোন কারণেই হোক সেটা কাজ করে না ঠিক মতো।

ইংরেজীতে লজিক আর বাংলায় যুক্তি। আমাদের সময় মানবিক শাখার বন্দুদের যুক্তি বিজ্ঞান পড়তে দ্যাখতাম। একটু হাসাহাসিও করতাম ওদের প্রতি, ওদের যুক্তিবোধ নাই বলেই ওদের এই বিষয় পড়তে হয়। আমাদের সময় সাইন্স বা বিজ্ঘান বিভাগে পড়া একটা প্রেসটিজ ম্যাটার ছিলো কিছুটা হলেও। সচরাচর ক্লাসের প্রথম দিকের কেউ মানবিক বিভাগ নিতো না

যা বলছিলাম, সেখানেই ফিরে যাই - যুক্তি ঠিক করতে হবে তোমাদের। তোমরা লক্ষ্য করলে দ্যাখবা তোমরা যুক্তি দেবার পর বা কোন কাজ করবে কি করবে না ঠিক করবার পর তোমার সেই যুক্তিতেই তোমাকে ঘায়েল বা তোমার সেই কাজ করা ঠিক না বলে দেওয়া যায় অনায়াসে। এই যে ঘটনা, এটা হলো যুক্তির ভিত্তি না থাকা। এখনকার দিনে এটা ডাল ভাত হয়ে গ্যাছে। ডাল ভাত যদিও আজকালের দিনে সস্তা না। এইতো সেদিন রেস্তোরাতে খেতে গিয়ে ছোট একবাটি ডালের দাম ৫০ টাকা আর ভাত এক প্লেট ২০ টাকা দিয়ে আসলাম।

যুক্তির ভিত্তি থাকতে হয়। এই ভিত্তি তাহলে কই পাবে/! আকাশে? বাতাসে? মাটিতে? মহাশূণ্যে !!!!? মোটেও বিষয়টা তেমন না, এটা আমি না বললেও বুঝতে পারছো। এই ভিত্তিটা হচ্ছে বাস্তব আচড়ণ ও ফলাফল। একটু পরে একটা বা দুটো উদাহড়ণ দেবো , যদিও সত্যের মতো তেতো লাগতে পারে অনেকের কাছে তা। আমি ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য এসব পরোয়া করি না তেমন। তো যা বলছিলাম, সত্যতা ও ফলাফল মুলত যুক্তির ভিত্তি। তোমাদের কাজ কেহ কিছু বললেই সেটার প্রতি মোহগ্রস্থ না হওয়া, সেই সাথে সন্দেহ করা। হ্যা ঠিকই শুনেছো সন্দেহ। আমি যে যেচে যুক্তি শিখাচ্ছি এটাকেও সন্দেহ করতে হবে। সত্য ও বাস্তবের সাথে মিলাতে হবে। এই যে এতো মুনো বিজ্ঞান ভিত্তিক বা মুক্ত চিন্তা ভাবনার সমাজ এইটা যদি গঠন করতে যাও তবে প্রশ্ন ও সন্দেহ করতে হবে প্রবল ভাবে। বিশ্বাস এখানে একটা বিরাট লোহাড় দড়জা। একবার করে ফেললে সেটা আর সহজে তোমাকে মুক্ত হতে দেবে না।

তোমরা চারপাশে দেখবা নারী মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে একদল নারী পুরুষ। নারীর সমান অধিকার ও সম্মানের জন্য এরা সব করছে বলে এদের দাবী। কিন্তু লজিক বা যুক্তি কি বলে? আদৌ কি এরা তা করছে? যারা করছে তাদের রাজনৈতিক সংযুক্তি, জীবনাচরণ, পরিবার, পেশা ইত্যাদি দেখো। এদের এই আন্দোলন নামের বস্তুটি যতদিন থেকে এরা করছে এর ফলাফল দেখো। এদের আচরণ কি খুব যৌক্তিক লাগে তোমার কাছে? যে সব নারীরা বা যে সমাজের নারীরা মুক্তি পেয়েছে পুরুষ তন্ত্র থেকে তারা দেখো কিভাবে পেয়েছে - ছোট্ট করে দেখলে বিজ্ঞান চর্চা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারা। কাপড় বা আচড়ণের বিপ্লব দিয়ে নয়। কাপড় বা আচড়ণ কিন্তু কিছুটা হলেও সাংস্কৃতিক বিষয়। এরা বিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে কবে কি বলেছে যাচাই করো। নিজের লজিক ঠিক করো। অন্ধ হলে কিন্তু আলোতেও সব অন্ধকার ।

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ দুরন্ত.. তারিখঃ 11/12/2017
সর্বমোট 1902 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন