উপযোগ জিনিসটা মজার। সমাজে, রাষ্ট্রে অবাধ ও বামেরা উপযোগিতা হারাইছে ঘিলু কম থাকার কারণে। সামগ্রিক অর্থনিতী ও প্রযুক্তিগত কারণে যা তাদের পক্ষে যাচ্ছে সেটাকে নিজেদের সাফল্য ভাবছে এরা। শাসক শ্রেনীর সাথে বড্ড মিল এখানে। অন্যদিকে ধর্ম নিয়ে রাজনিতীর নামে পেট নিতী করারাও একই ভাবে সাফল্য দাবী করছে তবে এরা এডভান্স অনেকটা, দাবী করে বসে থাকছে না, দখল নিতে মাঠেও থাকছে।
প্রগতিশীলদের চাইতে প্রতিক্রিয়াশীলেরা বেশী দুরদর্শিতা তথা মেধার পরিচয় দিচ্ছে অকাট্য ভাবেই। তবে উপযোগ না বুঝবার কারণে প্রগতিশীলেরা কোটেড বাণি ও স্যুডো মুখের চোরাবালিতে আটকা পরছে।
শাহবাগের আন্দোলনের পর এটাকে ক্যাপিটাল করে বাম ও অবাধেরা আইকনিক রাজনিতীতে ঢুকতে চেয়ে পারেনি কারণ উপযোগ ছিলো না। ডিমান্ড ও একটা ইউনিক মালের সাপ্লাই ছিলো ঠিকই। লক্ষ্যনীয় শাসক এবং অবাধ ও বামেরা নিজ নিজ সাফল্য দাবী করে এটাকে। অপর পক্ষে কিন্তু এটার বিরোধীতাকারীরা বইয়ের সিলেবাস পাল্টানোর সাফল্য অর্জন করেছে। এই অর্জনে বাম, অবাধ ও শাসক গোষ্ঠীর অবদান প্রচুর।
উপযোগ জিনিসটা লজিকের মতো। প্রয়োজন সলিড ভিত্তি। আপনি লজিক দিলে সেই লজিকেই যদি আপনাকে ধরা যায় তবে সেটা কোন লজিকই না। উপযোগেও প্রয়োজন তেমন একতরফা ব্যবস্থা। তা না হলে কি হয় তার ফলাফল চোখের সামনে।
আয়োডিন এখন দামী না। রোজ খাওয়া দরকার। বই পড়ার গল্প না করে বইয়ের সার টা মগজে রাখা দরকার।