ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

বাংলাদেশের একটি প্রাইমারি-স্কুল পৃথিবীর সকল মাদ্রাসার চেয়ে উত্তম




বাংলাদেশের একটি প্রাইমারি-স্কুল পৃথিবীর সকল মাদ্রাসার চেয়ে উত্তম

সাইয়িদ রফিকুল হক
 
পৃথিবীর কিংবা বাংলাদেশের সমস্ত মাদ্রাসা আমাদের একটি প্রাইমারি-স্কুলের সমতুল্য নয়। কথাটি শুনে অনেকে হয়তো আঁতকে উঠতে পারে। কারণ, এরা ধর্মব্যবসায়ী আর এই ধর্মব্যবসায়ীদেরই দালাল কিংবা তাদের বেতনভুক্ত মুখপাত্র। এখানে, হয়তো মাদ্রাসার পোষ্যকোটার দালাল সলিমুল্লাহ খানরা নাকগলাতে পারে। কিন্তু এই দালালদের এই সত্যটি উপলব্ধি কিংবা হৃদয়ঙ্গম করার মতো যোগ্যতা, মেধা ও সৎসাহস নাই।
যাক, বলছিলাম—পৃথিবীর কিংবা এই বাংলাদেশেরই সমস্ত মাদ্রাসা বাংলাদেশের সামান্য একটি প্রাইমারি-স্কুলের সঙ্গে মানে, মননে, মেধায়, শিক্ষাদীক্ষায়, চরিত্রে, সততায় আর দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে টিকতে পারবে না। এমনকি এর ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। এর কারণগুলো এবার খুব সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করছি:
 
জন্মের পর প্রথম স্কুল—প্রাইমারি-স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীরা শিখছে—
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। অর্থাৎ, দেশকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি-জন্মভূমি। এই স্তরের প্রতিটি শিক্ষার্থী তা-ই বিশ্বাস করে, এবং নিজের দেশকে ‘মা’ কিংবা ‘জন্মভূমি’ জেনেই তারা বড় হতে থাকে।
তারা পরমভক্তিতে গাইছে স্বাধীন-বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত: আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...।
বাংলাদেশের প্রাইমারি-স্কুলের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা দেশের প্রতি এভাবে ভালোবাসা নিয়ে বড় হতে থাকে। তারা গড়ে ওঠে দেশের সুনাগরিক হিসাবে।
প্রাইমারি-স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থী দেশের পবিত্র ‘জাতীয় পতাকা’কে সম্মান করতে শিখছে। তারা এর মর্যাদা যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারছে। কারণ, এখানরা শিক্ষকরা প্রায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের এটিই শিক্ষা দিচ্ছেন। প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ‘জাতীয় পতাকা’কে নিজেদের পতাকা বলে মানে এবং ভক্তি করে।
প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। তারা ভক্তিসহকারে বাংলাদেশের ‘ভাষা-শহীদদিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাদিবস’, ২৬-এ মার্চ ‘মহান স্বাধীনতাদিবস’, ১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয়দিবস’, পহেলা বৈশাখ জাতীয় ও সার্বজনীন উৎসব—‘বাংলা-নববর্ষ পালন’ করে থাকে।
আমাদের প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধাবনতচিত্তে শহীদমিনারে যায়। সেখানে তারা শহীদদের উদ্দেশ্যে বেদীতে ফুল দেয়, শ্রদ্ধা জানায়। তারা মহান বিজয়দিবসে ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে’ যায়। তারা বাংলা-নববর্ষে আনন্দে উদ্বেলিত হয়।
এভাবে, আমাদের দেশের প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা শিশুকাল থেকে নিজেরা দেশপ্রেমিক ও বাঙালি হিসাবে গড়ে ওঠে। তাদের মানুষ হতে সাহায্য করছে আমাদের এই প্রাইমারি-স্কুলগুলো।
দেশের প্রাইমারি-স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থী এই স্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এরা আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করে। এই প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ করতেও রাজী আছে। তারা দেশের জন্য যেকোনোসময় জীবন দিতেও প্রস্তুত।
 
দেশের প্রতিটি প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্যারেড-সমাবেশে দেশকে ভালোবাসা ও দেশগড়ার শপথবাক্যপাঠ করানো হয়। এইসব কথা তাদের জীবনে বিরাট রেখাপাত করে থাকে। এই শপথবাণী   এদের সারাজীবনে জীবনচলার পাথেয় হিসাবে কাজ করে। 
প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশের সকল ভাস্কর্যকে দেশীয় ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। এসব ঐতিহ্যকে তারা সম্মান করে থাকে। এগুলো তাদের কাছে ইতিহাসবিষয়ক শিক্ষণীয় নিদর্শন। এইসব জাতীয় ঐতিহ্য আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় প্রেরণাদায়ক।
 
এরা আমাদের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসিমউদ্দীন, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তসহ সকল ধর্মের সকল দেশের কবি-লেখক-সাহিত্যিকদের লেখা পড়ে, তাঁদের ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। আমাদের প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-নির্বিশেষে সকল মানুষকে ভালোবাসতে শেখে। এদেরই কেউ-কেউ একদিন মানবতার মহাবাণীকে বুকে ধারণ করে মহামানবে পরিণত হবে। আর তারা দেশের ও জাতির কাজে আত্মনিয়োগ করবে।
আমাদের প্রাইমারি-স্কুলের শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠছে অসাম্প্রদায়িক-চেতনা নিয়ে। এরা দেশের ও দশের এমনকি জাতির ভবিষ্যৎ।
 
পক্ষান্তরে, বাংলাদেশের আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা (সকল শ্রেণীর ও সকল পর্যায়ের) বেড়ে উঠছে সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক ও উগ্রবাদী চিন্তাভাবনা ও বিজাতীয় চেতনা নিয়ে। এরা আজও আমাদের দেশটাকে আপন ভাবতে শেখেনি। এদের শিখতে দেওয়া হয়নি। আর দেওয়া হচ্ছেও না। তার কারণ, এখানকার হুজুর ও পাতিহুজুররা এখনও পাকিস্তানের দালাল। এদের জন্যেই দেশের আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীরা আজও—
 
বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। এরা বাংলাদেশের চেয়ে আজও বেশি ভালোবাসে পাকিস্তান কিংবা সৌদিআরবকে। আর এরা মনে করে থাকে: পাকিস্তান আর সৌদিআরব ইসলামীদেশ!
এরা আমাদের দেশকে ভালোবাসে না বলেই—এরা আমাদের দেশের পবিত্র ‘জাতীয় সঙ্গীত’কেও ভালোবাসে না। এরা আরও বেআদবের মতো বলে থাকে: “এটি হিন্দুর লেখা জাতীয় সঙ্গীত! আর অমুক-তমুক হিন্দু-কবি! হিন্দু-লেখক!” এরা জন্মের পর থেকে সাম্প্রদায়িক-বিষাক্ত চিন্তাভাবনা নিয়ে বড় হতে থাকে। আর এগুলোই তারা জীবনে-মরণে ধারণ করে থাকে।
 
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের ‘জাতীয় সঙ্গীত’ ভালোবাসে না। দেশের কোনো-কোনো বা হাতেগোনা কয়েকটি আলিয়া-মাদ্রাসায় হয়তো জোর করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হতে পারে। আর এখানে হয়তো মাঝে-মাঝে ‘জাতীয় পতাকা’ও উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এগুলো শুধু সরকারি-বেতন-ভাতা চালু রাখার জন্য। কিন্তু দেশের অধিকাংশ আলিয়া-মাদ্রাসায় এবং সকল কওমীমাদ্রাসায় কখনও আমাদের ‘জাতীয় সঙ্গীত’ গাওয়ানো বা পরিবেশন করা হয় না।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমাদের ‘জাতীয় পতাকা’কে সম্মান করতে জানে না, এবং এদের এগুলো সম্মান করতে শেখানোও হয় না। কারণ, এখানকার অধিকাংশ মোল্লা-মৌলোভীই এই পতাকাকে আজও নিজেদের পতাকা বলে স্বীকার করে না, বিশ্বাস করে না। তারা এগুলো মানে না এবং ভক্তিও করে না। তাই, এখানকার শিক্ষার্থীরা এসব শিখবে কীভাবে?
দেশের সকল কওমীমাদ্রাসা আমাদের দেশের ‘জাতীয় সঙ্গীত’ ও ‘জাতীয় পতাকা’র প্রধান শত্রু। এরা কখনও এগুলো সম্মান করতে জানে না। এদের সে যোগ্যতাই নাই।
 
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দেশের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার আর মিথ্যাচার বুকে ধারণ করে বড় হচ্ছে। এখানকার হুজুর নামক পাতিহুজুরগুলো শিক্ষার্থীদের নৈতিক চরিত্র সমূলে ধ্বংস করছে। এরা আজ কোনোভাবেই আধুনিক ও মানবিক হতে পারছে না। এরা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক, জঙ্গি কিংবা সেমিজঙ্গি।
 
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আজও দেশের জাতীয় সঙ্গীত গায় না, জাতীয় পতাকাকে সম্মান করে না, মানে না। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ‘ভাষা-শহীদদিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাদিবস’, ২৬-এ মার্চ ‘মহান স্বাধীনতাদিবস’, ১৬ই ডিসেম্বর ‘মহান বিজয়দিবস’, পহেলা বৈশাখ জাতীয় ও সার্বজনীন উৎসব—‘বাংলা-নববর্ষ’ ইত্যাদি পালন করে না। এরা এসব দিবসপালন না করার জন্য দেশের ভিতরে নানারকম শয়তানী-ফতোয়াবাজি করে থাকে।
এরা কখনও শহীদমিনারে যায় না, জাতীয় স্মৃতিসৌধে যায় না। সেখানে ফুল দেয় না। এরা আমাদের এসব আচারপ্রথার বিরুদ্ধে ইসলামধর্মের নামে আবার শয়তানী-ফতোয়াবাজি করে থাকে। এরা দেশের আচারপ্রথা ও নিয়মকানুনকে নাজায়েজ, হারাম, বিদআত ইত্যাদি শয়তানী অপবাদে বিশেষিত করতে থাকে।
 
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আজও বাংলাদেশ চেনে না। আমাদের প্রাণের বাংলাদেশকে এখনও মানে না! এই বাংলাদেশকেই নিজের একমাত্র স্বদেশ ভাবে না! এরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গায় না! আর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পছন্দ করে না! এরা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে হিন্দুর লেখা বলে অবজ্ঞা করে। আর এর বিরুদ্ধে কুরচিপূর্ণ ফতোয়াবাজি করে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতীয় পতাকাকে মানে না। এ-কে দেশের পতাকা বলে এরা মনে করে না। এরা মনে করে: পাকিস্তান আর সৌদিআরবের পতাকাই তাদের পতাকা! তার কারণ, পাকিস্তানের পতাকায় চাঁদ-তারা খচিত রয়েছে—আর সৌদিআরবের পতাকায় আরবিতে কালেমা লেখা আছে। তাই, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শুধু এগুলোকেই পতাকা মনে করে থাকে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতিসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্বাস করে না, এগুলো মানে না। কিন্তু এরা বাংলাদেশের কুখ্যাত স্বৈরাচার ও সামরিকজান্তা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিজেদের একমাত্র ‘খলিফাহ’ হিসাবে স্বীকার করে জীবনভর তারই অপআদর্শ লালন করে থাকে। এরা কখনও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসে বিশ্বাসী নয়। এগুলো এরা পড়েও না, আর বিশ্বাসও করে না। বরং এরা জিয়ার অপআদর্শে বিশ্বাসী হয়ে জাতির সামনে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতভাবে তুলে ধরার অপচেষ্টা করে থাকে।
এদের এসবকিছু দেখে মনে হয়: এরা যেন বাংলাদেশের নাগরিক নয়। আর আসলেই কি এরা বাংলাদেশের নাগরিক?
এদের দেশপ্রেমের কোনো শপথবাক্যপাঠ করানো হয় না। আর যদিও বা এদের কোনো শপথবাক্যপাঠ করানো হয়—তবে তা কোনো ‘ইসলামী’ বা ‘জঙ্গি’ রাষ্ট্রগঠনের শপথ। আর এসব আমাদের এই বাংলাদেশরাষ্ট্রের স্বার্থপরিপন্থী।
 
এরা দেশের কোনো ভাস্কর্যশিল্পকে মানে না বা গ্রহণ করে না। শুধু এদের কাছে এদের পাকিস্তান ও সৌদিআরব বাপের ভাস্কর্য ও স্থাপত্যশিল্প সবসময় জায়েজ ও হালাল মনে হয়।
 
মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ শুধু লোকদেখানো নামাজই পড়ে। এদের চরিত্রে আর-কিছু নাই। এদের মধ্যে সততা, মানবতা, মনুষ্যত্ব, মনুষ্যত্বের জাগরণ, আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা বলতে আজ তেমনকিছুই নাই। এখানে, দেশ নাই, দেশের মানুষও নাই। মাদ্রাসাশিক্ষা আজ শুধুই অন্তঃসারশূন্য একটি দেশবিরোধী-অপশিক্ষা মাত্র।
 
এইসব মাদ্রাসা দিয়ে আমাদের কী হবে? দেশের একটি প্রাইমারি-স্কুল দিয়ে দেশের বা রাষ্ট্রের যে উপকারসাধিত হয়—সেই তুলনায় দেশের সমগ্র (হাজার-হাজার) মাদ্রাসা দিয়ে এর একভাগও উপকার হচ্ছে না। এটি আজ প্রমাণিত সত্য। বরং এতে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও কৃষ্টি আরও বিকৃত হচ্ছে। মাদ্রাসার সাধারণ কাটমোল্লারা আজও দেশের বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত। আর এইসব পাতিহুজুরের সোহবতে-সংস্পর্শে থেকে এখানকার শিক্ষার্থীরাও সাম্প্রদায়িক ও দেশবিরোধী গাদ্দারেই পরিণত হচ্ছে। তাহলে, এইসব মাদ্রাসা দিয়ে রাষ্ট্রের কী লাভ হবে? এর চেয়ে দেশের একটি প্রাইমারি-স্কুল অনেক বেশি উত্তম।
 
দেশে আর-কোনো মাদ্রাসা নয়—আরও বেশি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতির প্রয়োজনে অনতিবিলম্বে দেশে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে।
 
 
 

সাইয়িদ রফিকুল হক
(মানবাধিকারকর্মী)
পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
২১/১০/২০১৭

 

ছবি
সেকশনঃ ইতিহাস
লিখেছেনঃ সাইয়িদ রফিকুল হক তারিখঃ 11/11/2017
সর্বমোট 3993 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন