ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

নিন্দুকের মুখে ফুলচন্দন ছিটিয়ে আপনি লিখুন আরও বেশি



















 
 
আমাদের সবার প্রিয় এই মুক্তচিন্তা-ব্লগে একজন ব্লগার লেখা একটু বেশি দিচ্ছেন বলে কারও-কারও চোখে যেন ঘুম নাই। তিনি লেখেন বেশি—তাই লেখাও একটু বেশি দেন। এতে সমস্যা কোথায়? এটি তো ভালো লক্ষণ। এটি তো ব্লগের জন্য সুসংবাদ। এককথায় এটি শুভব্লগিং। আর বর্তমান যুগের আধুনিক-ব্লগে যে যত বেশি নতুন লেখা দিবেন—ব্লগের সাধারণ পাঠককুল তত বেশি নতুন লেখার স্বাদে লেখাপাঠে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন। এতে আপনাদের ভয় কীসের? আপনি খুব বড় লেখক হলে সবাই আপনার লেখাই পড়বে। আপনার অহেতুক ভয়ের কোনো কারণ নাই। ব্লগে কাউকে জোর করে কোনোকিছু পাঠ করানোর কোনো সুযোগ নাই। এখানে, সাধারণ পাঠককুল সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় যে-কারও লেখা পাঠ করে থাকেন। আর পাঠকদের যার যে লেখা ভালো লাগে তিনি সেই লেখাই পড়েন। এখানে কোনো জোরজবরদস্তি নাই।
 
আজকালকার ব্লগে কাউকে টাকাপয়সা দিয়ে লেখাপাঠ করানো সম্ভব নয়। কিংবা কেউ-কারও লেখা পাঠ করানোর জন্য এখানে কোনোপ্রকার প্রচার বা পাবলিসিটির আশ্রয়গ্রহণও করতে পারেন না। কারণ, এখানে তেমনটির কোনোপ্রকার সুযোগ নাই। এখানে যে যার মতো লেখা জমা দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন কিংবা ব্লগে লেখা পড়ে সময় কাটান।
 
আমাদের মুক্তচিন্তা-ব্লগে সম্মানিত পরিচালক রয়েছেন। তিনি বা তাঁরা মডারেশনের মাধ্যমে লেখাগুলো সাধারণতঃ ব্লগে প্রকাশ করে থাকেন। আমার জানামতে, এখানে কোনো ব্লগার নিজের ইচ্ছেমতো যখন-তখন নিজের লেখা প্রকাশ করতে পারেন না। এটি ভালো বা উত্তম পদ্ধতি। এতে কারও দ্বারা কোনোপ্রকার আপত্তিকর লেখা প্রকাশ করা সম্ভবপর হয় না। আর সম্মানিত ব্লগপরিচালকগণ ব্লগের স্বার্থেই নিয়মিত নতুন-নতুন লেখা প্রকাশ করে থাকেন। কারণ, যেকোনো-ব্লগে সাধারণ পাঠক খোঁজে নতুন লেখা। এখানে একটা লেখা দিয়ে কারও একমাস বসে থাকার কোনো সুযোগ নাই। ব্লগে প্রতিদিন নতুন লেখা প্রকাশ করা চাই। এতে ব্লগের মানবৃদ্ধি পায়। এতে সম্মানিত সাধারণ পাঠক বা ভিজিটরগণ লেখাপাঠে আরও বেশি উৎসাহিত হয়ে ওঠেন।
 
একজন একটু বেশি লেখেন বলে কোথায় তাকে ধন্যবাদ জানাবেন—তা না করে কেউ-কেউ তার পিছে লেগেছে। এটি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে বলেই—মদীয় এই পোস্টের অবতারণা। এসব দেখে আমি ভীষণভাবে লজ্জা পেয়েছি আর ভেবেছি—আমাদের মুক্তচিন্তা-ব্লগে এসেও কেউ-কেউ হয়তো এখনও মুক্তচিন্তার দিশারী হতে পারেননি। তারা কারও একটু বেশি লেখালেখি করার এই সামান্য বিষয়টা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছেন। এটি আধুনিক মানুষের বৈশিষ্ট্যের মধ্যেও পড়ে না। আমাদের পরশ্রীকাতর হওয়া চলবে না। আমাদের সবসময় পরমতসহিষ্ণু হতে হবে।
 
আমাদের প্রিয় মুক্তচিন্তা-ব্লগ তো বিশাল আর সবার লেখাপ্রকাশের ক্ষেত্রে অবারিত ও উন্মুক্ত। আপনার লেখার ইচ্ছে ও ক্ষমতা থাকলে আপনিও লিখুন। আর লিখুন—যত খুশি তত। কে আপনাকে নিষেধ করেছে?
 
কিন্তু নিজে লিখতে পারেন না—আর কেউ-একজন আমাদের হয়ে লিখছেন—দয়া করে তার পিছনে লাগবেন না। আর কারও লেখা ভালো কিংবা মন্দ কিনা তা পাঠকই বিচার করবেন। এই নিয়ে আপনার অযথা মাথা না ঘামালেই চলবে। আর মনে রাখবেন: আমাদের মুক্তচিন্তা-ব্লগের আইনানুগ অভিভাবক রয়েছেন। ব্লগারদের লেখালেখির এসবকিছু দেখভাল তাঁরাই করতে পারবেন। আর বেশি প্রয়োজন মনে করলে আপনি নিজের নামে একখান প্রাইভেট-ব্লগ খুলে বছরে একবার করে একখান লেখা দিয়ে ঘুমায় থাইকেন। আপনার ব্লগ জমবে ভালো।
 
একজন ব্লগার হঠাৎ তিন-বছর পরে ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছেন! তাও আবার একজন নিয়মিত ও সম্মানিত ব্লগারের বিরুদ্ধে! আর তিনি রাগে, ক্ষোভে আর হয়তো কারও প্ররোচনায়—যিনি একটু বেশি লেখেন—তার নামে এই ব্লগের নাম পরিবর্তন করতে বলেছেন! কিন্তু কেন? আপনাদের উদ্দেশ্য কী? ব্লগে কি শুধু আপনারা কয়েকজন লিখতে চান নাকি? এখানে, যার যত খুশি তিনি তত লিখবেন। এতে আপনাদের এতো মাথাব্যথা কেন? মনে রাখবেন: মুক্তচিন্তা-ব্লগের গার্জিয়ান আছে।
কারও কথায় আমাদের মুক্তচিন্তা-ব্লগের নাম পরিবর্তন করা হবে না। তার আগে আপনি পরিবর্তিত হন। আর আপনার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটান। দেখবেন, সবকিছু সুন্দর আর সহজ মনে হবে।
এদের আজাইরা প্যাচাল দেখে এখন মনে হচ্ছে: ব্লগে এসে কেউ কিছু লিখলেই তিনি মুক্তচিন্তক বা মুক্তচিন্তাবিদ হতে পারবেন না। এজন্য আগে মুক্তমনের প্রয়োজন। সবার আগে নিজে পরিবর্তিত হন। আর কারও পিছে না লেগে নিজে আগে মুক্তমনের অধিকারী হয়ে উঠুন।
আরও অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, দুই-একজন পুরাতন-ব্লগার আবার এই বিদ্বেষপ্রসূত, একপেশে, আর মাত্র কয়েক লাইনের অপ্রয়োজনীয় ও অতিসস্তা লেখাটাকে সমর্থনও করেছেন! কিন্তু কেন? আপনারা কি ওই একজনকে ভয় পান? আপনাদের এতো ভয় কীসের?
এদের এসব কাণ্ডকারখানা দেখে আমার এখনও হাসি পাচ্ছে।
 
আমাদের সমাজে একশ্রেণীর লোক আছে—যারা ‘নিজের নাক কেটে হলেও পরের যাত্রা ভঙ্গ করে। এরাও হয়তো তাদেরই একজন। নইলে, নিজে লিখতে পারে না বলে—আরেকজনের লেখা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে! হায়রে বিধি, এরা কাদের প্রতিনিধি?
 
পরিশেষে, যিনি একটু বেশি লেখেন—তিনি আরও বেশি লিখবেন। আপনার লেখালেখি হয়ে উঠুক আমাদের সমাজপরিবর্তনের হাতিয়ার। আর আপনার লেখালেখিতে আরও জমজমাট হয়ে উঠুক আমাদের প্রিয় মুক্তচিন্তা-ব্লগ।
 
আবারও বলছি: নিন্দুকের মুখে ফুলচন্দন ছিটিয়ে আপনি লিখুন আরও বেশি।
 
 
 
অপর্ণা সেন
০৮/১১/২০১৭
 
 

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ অপর্ণা সেন তারিখঃ 08/11/2017
সর্বমোট 7308 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন