সমকাম নিয়ে আমেরিকান সাইকিয়াস্ট্রিট এসোসিয়েশন এটা রোগ নয় বলে বিজ্ঞান সম্মত মতামত দিয়েছে বলে অহরহ রেফারেন্স শুনবেন কিছু মানুষের কাছে। আসলে কি সেটা বিস্তারিত জানতে চাইলেই দ্যাখবেন আপনি মূর্খ সুতরাং আপনার এসব নিয়ে কথা বলা বা আপনার সাথে এসব নিয়ে কথা বলার সময় সমকাম সাপুর্টাদের হবে না।
আসল ঘটনা হলো ঐ এসোসিয়েশনে এটা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। তাতে প্রায় ৫০০০ আর ৩০০০ ভোটের হিসাবে তারা একটা রেজুলেশন নেয় যে সমকাম বিষয়টা মানসিক রোগ না মর্মে এসোসিয়েশন বলবে। এখন প্রশ্ন হলো ভোটাভুটি করে বিজ্ঞান কি চলে? ছোট্ট উত্তর না। গবেষণা লব্ধ হলে এই ৩০০০ এর অধিক বিজ্ঞানি না বলতে পারতো না। তার মানে গবেষণাতে এটা স্বীকৃত না। হতে পারে এটা মানসিক রোগ না, আবার হতে পারে এটা রোগ, চান্স দুটোই রয়ে যায়, এসব হাইপোথিসিস।
যারা প্রচারে নেমেছে এটা রোগ না তাদের জানবার আগ্রহ শেষ ধরেই নেওয়া যায় কারন তারা সিদ্ধান্তে উপনিত। তবে তাদের এটাকে বিজ্ঞান বলে উপস্থাপন বিজ্ঞানকে একটু কচলিয়ে দেবার মতো বিষয়। প্রাণির আচরণ গত কন্ডিশনাল রিফ্লেক্স নিয়ে পাভলভ সাহেবের গবেষনার সাথে তাদের পরিচয় আমার মতে নাই। আচরণ গত ফ্রয়েডিয় মতবাদ কে উপজিব্য করে পশ্চিমা যে বর্ণনা করবার চল সেটার সাথে তাদের প্রচারের মিল প্রচুর।
অবশ্য তারা সব জানে, আমি শিখছি এখনও। সমকামের মতো বিষয় জিনগত, এটাও শুনবেন। জিনগত হলে কোন জিন, কোথায় গবেষণা করে কে পেয়েছে এসব থাকবার কথা তাই না! সেটা নাই, না থাকা জিনিসও এসব বিজ্ঞানিরা জানে! তর্কও করে বেরায় বেশ হাবভাব নিয়ে, সাথে ডাইভারসিটির কথাও বলে, যদিও সেটা করতে গিয়ে গায়ের চামড়ার সাথে আচড়নগত বিষয় দিয়ে খিচুড়ি পাকায় লজিকের বাপ মা এক করে!
এলজিবিটি একটা কমিউনিটি বিভিন্ন দেশে। তাদের টাকার জোরও বেশ আছে বুঝা যায়। লবিং ক্ষমতাও বেশ! এটার একটা ইফেক্ট আছে প্রচারে। তা এতো প্রচারের কি? পশ্চিমের অনেকখানে এমনিতে তো তাদের বাধা নেই তবে বিয়ের অধিকারের জন্য আন্দোলনের তোড়জোর কেনো?