ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

ধারাবাহিক উপন্যাস: ঈশ্বরের রহস্যময় হাসি (পর্ব—৮)




















ধারাবাহিক উপন্যাস:

ঈশ্বরের রহস্যময় হাসি (পর্ব—৮)
সাইয়িদ রফিকুল হক

 
থানা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে ইয়াসিন একটা ফোন-রিসিভ করলো। সে বুঝতে পারলো: এটি প্রডাকশন-শাখার সহকারী ম্যানেজার অরুণ কুমার ভদ্রের। ইয়াসিন তাকে ফ্যাক্টরির আশেপাশে  একটা নিরাপদ-জায়গায় দাঁড়াতে বলে নিজের কাজে মন দিলো।
খুব দক্ষতার সঙ্গে ড্রাইভিং করে ড্রাইভার মমিনুল দ্রুত ফ্যাক্টরির মেইন-গেটের কাছে গাড়ি এনে দাঁড় করালো। ইয়াসিন নামার আগেই মমিনুল গাড়ি থেকে দ্রুত নেমে গাড়ির দরজা খুলে বললো, “স্যার, আমি কি আপনার সঙ্গে ভিতরে আসবো?”
ইয়াসিন একটু থমকে দাঁড়িয়ে কিছু-একটা ভেবে বললো, “আসুন।”
 
ফ্যাক্টরির ভিতরে ঢোকার সময় ইয়াসিন দেখলো এখনও গেটে দারোয়ান নাই। এতে সে ভয়ানক বিরক্ত হয়ে সামনের দিকে হাঁটতে লাগলো। দারোয়ানটার স্পর্ধা ও ধৃষ্টতা দেখে ইয়াসিন আপনমনে লজ্জিত ও সংকুচিত হলো। আর ভাবলো: এরা মানুষ না জানোয়ার? এভাবে কেউ কাজ ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে? এদের রোজগারের অর্থ হালাল হবে কীভাবে?
 
ম্যানেজারের রুমে ঢুকে ইয়াসিন দেখলো, সে এক এলাহী কাণ্ড! এখানে, ম্যানেজারের নেতৃত্বে গোপনীয় মিটিং চলছে। তাকে দেখেই সবাই কেমন যেন মনমরা হয়ে গেল। তবে কেউই তাকে বিশেষ একটা পাত্তা দিলো না। তাদের চোখেমুখে একধরনের বিদ্রুপের ছাপ। আর তাদের হাবভাবেও রয়েছে বিরাট এক মাস্তানির চিহ্ন।
এদের মধ্যে একটা বেঁটেখাটো মতো মোটাতাজা-লোক তাকে উদ্দেশ্য করে হঠাৎ বললো, “ও আপনেই ইয়াসিন কবির। তা ভাই এখানে এসে এতো হম্বিতম্বি করছেন কেন? আর আমারেই বা এতো খুঁজছেন কেন? আপনার কাজ করে আপনে ঢাকায় ফিরে যান। নাকি বড়সাহেব আপনাকে এই ফ্যাক্টরি আপনার নামে লিখে দিছেন?”
 
ইয়াসিন অনুমানে বুঝলো—এটিই ম্যানেজার। তবুও ইয়াসিন মুখে কিছু বললো না। সে শুধু রুমের লোকজনকে দেখছে। এখানে বর্তমানে সর্বসাকুল্যে লোকসংখ্যা পাঁচ। কিন্তু বাকী দুজন কে?
সে ম্যানেজারের কথা পাত্তা না দিয়ে তার অচেনা ওই লোক দুটোকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে ম্যানেজারের দিকে ইশারা করে বললো, “এরা কারা?”
ম্যানেজার এবার বেশ ভারিক্কিচালে বললো, “আমার সামনে বামদিকে বসা ইনি এখানকার হিসাবরক্ষক আর ডানদিকের জন ফ্যাক্টরির ফোরম্যান।”
ইয়াসিন বললো, “এদের নামটা জানতে পারি?”
ম্যানেজার এতে একটু বিরক্ত হয়ে বললো, “হিসাবরক্ষকের নাম মোবারক আলী আর আমাদের দক্ষ ফোরম্যানের...।”
ইয়াসিন তাকে বাধা দিয়ে বললো, “থাক-থাক, আপনাকে আর বলতে হবে না। ওর নামটা আমার এখন মনে পড়েছে। অফিসের খাতায় দেখেছিলাম। ওর নাম ইউনুস মোল্লা।”
ম্যানেজার খুব অহংকারের ভঙ্গিতে বললো, “তা আপনে আমাদের এতো নামধাম জেনে কী করবেন? আপনে গোয়েন্দা নাকি?” কথাটা শেষ করে লোকটা তাচ্ছিল্যভরে হাসতে লাগলো।
ম্যানেজারের সঙ্গে তালমিলিয়ে অন্যান্যরা হাসিতে যোগ দিলেও একমাত্র হিসাবরক্ষক লোকটি নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো। বুঝা যাচ্ছে, সে এদের হাবভাবে খুব বিরক্ত। কিন্তু এদের ভয়ে তা সে প্রকাশ করতে পারছে না। আর সে হয়তো দায়ঠেকে এখানে এসেছে।
ইয়াসিনের মনে হলো: হিসাবরক্ষক লোকটি বুদ্ধিমান। কিন্তু দারোয়ানের পৈশাচিক হাসি দেখে তার পিত্তি জ্বলে গেল।
তবুও ইয়াসিন রাগ করতে পারলো না। এতে সে কোনো কথা না বলে শুধু কালক্ষেপন করতে লাগলো। ইতোমধ্যে সে ওসিসাহেবের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন তাদের শুধু আসতে বাকী।
 
ইয়াসিন ভাবছে: এখন এদের কিছু বললে এরা পালিয়ে যেতে পারে। আশেপাশে যে জঙ্গল! তখন তার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। তাই, সে আপাততঃ কিল খেয়েও কিল চুরির পক্ষে।
সে দেখলো, হিসাবরক্ষক বাদে আর বাকী চারটি প্রাণি তাকে নিয়ে খুব বিদ্রুপ ও হাসাহাসি করছে। তারা ইয়াসিনকে এইমুহূর্তে হয়তো একটা সঙই ভাবছে। বিশেষ করে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য অবহেলা করে এখানে এসে ম্যানেজারের সঙ্গে আড্ডা জমানো সেই দারোয়ান এখন ভয়ানক খুশি। সে কী বলবে আর কী করবে তা যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। তাই, সে একটু পর-পর অকারণে হাসতে লাগলো।
 
ইয়াসিন বুঝতে পারলো—পুলিশের গাড়ি আসছে। এমন সময় সে মমিনুলকে ইঙ্গিত করলো তাদের এখানে নিয়ে আসার জন্য। মমিনুল বাইরে চলে যেতেই ইয়াসিন জীবনের সেরা সাহসসঞ্চয় করে হঠাৎ সকলের উদ্দেশ্যে বললো, “আমি আপনাদের সঙ্গে একটি মিটিং করতে চাচ্ছি। বর্তমানে আমি তানজিলা গ্রুপ-অব-কোম্পানির ডিরেক্টর অব এডমিন। আমি এই ফ্যাক্টরির দুর্নীতিদমন করতেই আজ এখানে এসেছি। আর তাই, এখনই আমাদের মিটিং শুরু হয়ে গেল। সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনুন।”
 
ইয়াসিনের মুখের এই সামান্য কথা কয়টি শোনামাত্র রুমের সকলের মুখ কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেল। কারও মুখে আর-কোনো কথা নাই। আর কোনো মুখে হাসি নাই!
ওরা কিছু বলার আগেই ইয়াসিন পুনরায় বলতে লাগলো: এই ফ্যাক্টরিতে দুর্নীতির দায়ে আমি ম্যানেজার মহব্বত আলী শিকদার, সহকারী ম্যানেজার রুহুল সেখ, ফোরম্যান ইউনুস ও দারোয়ান লিয়াকত গাজীকে এইমুহূর্তে বরখাস্ত করছি। আর সঙ্গে-সঙ্গে দায়িত্ববান সহকারী ম্যানেজার অরুণ কুমার ভদ্রকে কোম্পানির বৃহৎস্বার্থে এই ফ্যাক্টরির ম্যানেজারের দায়িত্বঅর্পণ করছি। বাকী সবার অবস্থান আগের মতোই থাকবে।
 
ওরা কিছু বুঝে উঠার আগে পুলিশের বাঁশির শব্দ শুনলো, এবং কোনো কথা বলার আগেই রুমে প্রবেশ করলো পুলিশ। ওদের চোখেমুখে এবার ভয়ানক আতঙ্ক।
পুলিশ প্রত্যেকের নাম জিজ্ঞাসা করলো। আর নাম ধরে ডেকে-ডেকে ওদের প্রত্যেকের কোমরে রশি বেঁধে গাড়িতে তুললো।
পুরা ঘটনাটি ‘সত্যবাণী’ নামের একটি প্রাইভেট-টিভিচ্যানেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার করলো। আর দেখতে-দেখতে আরও কয়েকটি চ্যানেল এখানে এসে পড়লো। এরা ঘটনাটি চমৎকারভাবে তুলে ধরতে লাগলো। সেইসঙ্গে তারা ওসি ইমাদুল কায়েস ও ইয়াসিনকেও বারবার দেখাতে লাগলো।
ওসিসাহেব গাড়িতেই বসা ছিল। তার নির্দেশমতোই সবকিছু হচ্ছে। এসআই হায়দার হোসেনের তদারকিতে কয়েকজন পুলিশ ফ্যাক্টরির বিভিন্নস্থানে ঝড়োগতিতে তল্লাসি-অভিযান চালাচ্ছে। ইয়াসিনও এদের সঙ্গে রয়েছে। পুলিশদল নানারকমের আলামত জব্দ করতে লাগলো। কারখানার শ্রমিক ইদ্রিসও পুলিশকে নানাভাবে সাহায্য করতে লাগলো। ইয়াসিনকে কাছে পেয়ে অন্যান্য শ্রমিকরাও উৎসাহিত হচ্ছে। পুলিশদল অনেককিছু জব্দ করে বাক্সবন্দি করতে লাগলো। আর এসকল আইটেমের নাম লিখে রাখলো ইয়াসিন। এমনকি সে সঙ্গে-সঙ্গে এসব আলামত ভিডিও করে রাখলো। সে জানে, পরে এগুলো খুব কাজে লাগবে।
ইয়াসিন ওসিসাহেবের কাছে এসে বারবার তাকে ধন্যবাদ জানাতে লাগলো। সে আন্তরিকভাবেই স্বীকার করছে, লোকটার সহায়তা না পেলে এইরকম জঘন্য অপরাধীদের ধরা তার একার পক্ষে কখনও সম্ভব হতো না। তারউপরে সদ্যো বরখাস্তকৃত ম্যানেজার মহব্বত আলী শিকদার আবার স্থানীয় লোক। এদের দাপটই আলাদা!
ওসিসাহেব স্মিতহাস্যে বললো, “আপনি ভালোমানুষ। আপনাকে সাহায্য করাটা কর্তব্য মনে করেছি। তাছাড়া, এগুলো আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। মামলার তদন্তে আবার আমাদের দেখা হবে। ও হ্যাঁ, এই মামলার সঙ্গে জড়িত কামাল-সু-ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধেও আমি এখনই প্রয়োজনীয় সবরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপনি এব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন। টিভিচ্যানেলগুলোও আমাদের সঙ্গেই থাকবে।”
ইয়াসিন বললো, “আমাকে ‍কি আসতে হবে?”
ওসিসাহেব একটু হেসে বললো, “তার আর দরকার নাই। সবখানে আপনার ফেইচ না করাই ভালো। আফটার অল এটা একটা ক্রিমিন্যাল কেস!”
ওসিসাহেবের কথার গুরুত্ব ইয়াসিন সঙ্গে-সঙ্গে বুঝতে পারলো। সে এব্যাপারে আর-কিছু বললো না।
 
টিভিচ্যানেলের লোকগুলো একসময় ওসিসাহেবকে ঘিরে ধরলো। লোকটি সংক্ষেপে তার দুর্নীতিবিরোধী মনোভাবের কথা জানিয়ে দিলো। আর একইসঙ্গে এই ঘটনার সকল কৃতিত্ব ইয়াসিনকে প্রদান করে সে তার ভূয়সী প্রশংসা করলো। এতে ফ্যাক্টরির লোকজন খুশি হলো।   
আসামীদের নিয়ে পুলিশের একটি বিশেষ দল থানায় চলে গেল। আর অপর দলটি গেল পার্শ্ববর্তী কামাল-সু-ফ্যাক্টরিতে। সেখানে তাদের আরও কাজ বাকী আছে।
এরপর টিভিচ্যানেলের লোকগুলো ইয়াসিনের একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারগ্রহণ করলো। ইয়াসিন খুব সাহসিকতার সঙ্গে আর খুব সহজে আসামীদের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে সবশেষে কোম্পানির ঐতিহ্য তুলে ধরলো।
একটাপর্যায়ে টিভির লোকগুলোও চলে গেল। ফ্যাক্টরিতে নেমে এলো আবার পীনপতন নিস্তব্ধতা। শ্রমিকরা যে যার কাজে চলে গেল।
 
ইয়াসিন তখন ফ্যাক্টরির সবাইকে নিয়ে মিটিং শুরু করলো। সবাই মানে অফিসিয়াল লোকজন যারা ছিল তাদের নিয়ে সে বৈঠকে বসলো।
অরুণ কুমার ভদ্র গুরুত্বের সঙ্গে নিজের দায়দায়িত্ব বুঝে নিতে লাগলো।
একপর্যায়ে ইয়াসিন তাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো, “এবার থেকে আপনাকেও সাহসী হতে হবে। কারও মামুলি হুমকিধমকিতে আর চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া চলবে না। পৃথিবীটা শয়তানের হাতে ছেড়ে দেওয়াটা পাপ। শয়তানের ‍বিরুদ্ধে আমাদের প্রত্যেককে লড়াই করতে হবে। এরা সমাজের মুখোশধারীশয়তান। বাইরে এদের ধার্মিক চেহারা দেখে বুঝার কোনো উপায় নাই যে, এরা কতবড় অপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও শয়তান। কিন্তু এদের কার্যকলাপ কাছে এসে একটুখানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেই বুঝা যায়—এরা আসলেই ভণ্ডশয়তান। এদের হাত থেকে শুধু আমাদের একটা ফ্যাক্টরি নয়—সমগ্র দেশটাকেই বাঁচাতে হবে। আমরা এই দেশে সর্বস্তরের দুর্নীতির অবসান চাই। আর দুর্নীতিই আমাদের প্রধান সমস্যা। তাই বলছিলাম, নতুন ম্যানেজার হিসাবে দুর্নীতিপ্রতিরোধে আপনাকে সাহসী হতে হবে—আর সাহসের সঙ্গে এখন থেকে সবকিছু মোকাবেলা করতে হবে। আর কোম্পানি আপনার সঙ্গে রয়েছে।”
নতুন ম্যানেজার অরুণ কুমার ভদ্র বললো, “স্যার, আপনাকে তবুও কিছুদিন আমাদের পাশে চাই। আপনি মাঝে-মাঝে এখানে আসবেন। আপনার মতো লোককে পাশে পেলে আমাদের পথচলা সহজ হবে।”
 ম্যানেজারের পাশে বসা হিসাবরক্ষক মোবারকসাহেব এতে সায় জানিয়ে কথাটার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিলো।
 ইয়াসিন বললো, “কোম্পানির প্রয়োজন হলে আমি আবার আসবো। এমনকি প্রয়োজনে মাঝে-মাঝে আসবো। আপনারা কাজ করুন। আর হ্যাঁ, ফ্যাক্টরির মেইন-গেটের সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে এই ফ্যাক্টরির একজন ওয়ার্কার ইদ্রিসকে আজ-এক্ষুনি নিযুক্ত করুন। আমার মনে হয় সে বিশ্বস্ত আর সাহসী। আর সে যথেষ্ট আন্তরিকও বটে। তাকে কাজে লাগান। আর ইদ্রিসের মতো আর-একজন বিশ্বস্ত শ্রমিককে এখনই খুঁজে বের করে তার বেতন কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে তাকে আজ থেকে এই ফ্যাক্টরির নাইটগার্ড হিসাবে নিয়োগ করুন। বিষয়টি অতীব জরুরি। আর বাকীটা পরে আমি দেখবো। আর আজ থেকে চিরতরে কামাল-সু-নামক বাটপাড় কোম্পানির সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধেও আমরা যে মামলা দিয়েছি তারও কার্যক্রম চলবে। এব্যাপারে আপনারা হুশিয়ার থাকবেন। এখন থেকে আপনারা শুধু আন্তরিকভাবে দাদা-সু-কোম্পানির নামে জুতা তৈরি করবেন। এখন সবাই যার-যার কাজে লেগে পড়ুন। আর ধন্যবাদ সবাইকে।”
 
সবাই তৎক্ষণাৎ যে যার কাজে লেগে যাওয়ার পর ইয়াসিন নতুন ম্যানেজারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হলো। এখানে, ইয়াসিন খুব সংগোপনে নতুন ম্যানেজারকে তার যাবতীয় ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে লাগলো।
 
 
(চলবে)
 
 
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
 
 

ছবি
সেকশনঃ সাহিত্য
লিখেছেনঃ সাইয়িদ রফিকুল হক তারিখঃ 18/09/2017
সর্বমোট 4178 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন