ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

আমি ধার্মিক দেখিনি—দেখেছি কতকগুলো আদিম-হিংস্র শূয়র! দেখতে চাইলে আসুন।


 

 

আমি ধার্মিক দেখিনি—দেখেছি কতকগুলো আদিম-হিংস্র শূয়র! দেখতে চাইলে আসুন।
সাইয়িদ রফিকুল হক
 

আমাদের দেশে এখন শুধু পহেলা বৈশাখ নয়—সবকিছুতেই আজকাল হিন্দুয়ানি খুঁজে বেড়াচ্ছে একটি শয়তানচক্র। আর এই শয়তানচক্রটি বাঙালি-জাতির অতীব আনন্দের পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সকলপ্রকার আচারপ্রথাসহ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লাগামহীন তথ্যসন্ত্রাস আর আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই চিহ্নিত-পশুচক্রটি বাংলাদেশরাষ্ট্রের চিরশত্রু। এদের নিজস্ব কোনো ধর্ম নাই। আর এদের বাপ-দাদা-পরদাদা সবাই ছিল লোকদেখানো বা শুনে-শুনে মুসলমান! এদের বলা হয় নামকাওয়াস্তে মুসলমান। বাংলাদেশের বর্তমান স্বঘোষিত-মুসলমানরাও সেই পথেরই পথিক। বর্তমানে এরা স্বঘোষিত-আত্মস্বীকৃত-মুসলমান সেজে মানবতাবিরোধী-অপকর্মে নিয়োজিত। এরা আজ রাষ্ট্রবিরোধী ও মানবতাবিরোধী শয়তানে পরিণত হয়েছে।

আমাদের সমাজের ফতোয়াবাজরা ‘পহেলা বৈশাখ’ নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি করছে। আর এদের বাড়াবাড়িটা আজকাল ধৃষ্টতার সীমাঅতিক্রম করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এরা আজ আমাদের সবকিছুতেই হিন্দুয়ানির গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে। আসলে, এদের নাকে লেগে আছে পাকিস্তানীদের মূত্রঘ্রাণ! তাই, এরা বাঙালি-জনসমাজের সবকিছুতেই হিন্দুয়ানির গন্ধ খুঁজে পায়, আর গন্ধ খুঁজে বেড়ায়। ওদের আদিপিতা পাকিস্তানীজেনারেলগণও বাঙালির সবকিছুতে হিন্দুয়ানির গন্ধ খুঁজে বেড়াতো। এরা তো তাদেরই বংশধর। নিজদেশের সমাজ, রাষ্ট্র, সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এরা আজ এতোটাই উন্মত্ত ও অসভ্য হয়ে উঠেছে যে তা ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ। আর এরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম-বাংলাদেশরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দিন-দিন খুব বেশি হিংস্র ও জংলী হয়ে উঠেছে। এদের চেয়ে বনের হিংস্র-হায়েনাও অনেক ভালো। আর এদের মুখোশউন্মোচনের জন্য আজ আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

ইউটিউব ঘাঁটলে দেখা যায়, কতকগুলো নরপশু কী-এক উন্মত্তনেশায় নিজ-দেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-কালচারের বিরুদ্ধে ইসলামের দোহাই দিয়ে এদেশের সাধারণ মূর্খ-মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। এগুলো দেখলে আমাদের যে-কারও মনে হবে: কতকগুলো আদিম-হিংস্র শূয়র বুঝি এইমাত্র খোঁয়াড় ভেঙ্গে আমাদের লোকালয়ে এসে পড়েছে। কী ভয়ংকর চেহারা এদের! আর কী উগ্র ও হিংস্র এদের কথাবার্তা! এরা নিজদেশে থেকে, খেয়ে-পরে সেই দেশকে পদাঘাত করছে, আর নিজেদের স্বল্পবুদ্ধির জোরে সাধারণ মূর্খ-মুসলমানদেরও তা-ই করতে বলছে! এদের ধৃষ্টতা, বেআদবি, সীমাহীন ঔদ্ধত্য, আর নজিরবিহীন শয়তানীর যেন কোনো শেষ নাই! এরা ইসলামের নাম-ভাঙ্গিয়ে নিজেদের নাজায়েজ-শয়তানী কথাবার্তাকে আজ কুরআন-হাদিসের কথা ও ব্যাখ্যা বলে অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাচ্ছে! এদের বক্তব্য শুনে আমার মনে হলো: এরা এদেশের মানুষ নয়—এরা পাকিস্তানের অন্তর্গত কোনো জঙ্গলের পশু।

বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’বিরোধী-পশুচক্রটি সমালোচনার ভাষা হারিয়ে যে হিংসাত্মকরূপে আর যে-ভাবে উগ্রমূর্তিধারণ করে তা দেখলে একনজরে যে-কারও মনে হবে এরা জঙ্গলের আদিমপশু। আর এই পশুদের কোনো ধর্ম নাই। কিন্তু সমাজে-রাষ্ট্রে এরা নিজেদের আধিপত্যবিস্তারের স্বার্থে মুসলমানপরিচয় দিয়ে থাকে।
আসুন, এই পশুগুলো এবার দেখি।

ভিডিওলিংক এখানে দেওয়া হলো:
https://youtu.be/qtI97_FLI7Y

https://youtu.be/M6wcMUUSjbg

এদেশের একশ্রেণীর লম্পট, বদমাইশ আর দুশ্চরিত্রবান-ভণ্ডও এখন কয়েক লাইন ‘অখাদ্য-গদ্য-পদ্য’ লিখে নিজেদের কবি-প্রমাণের চেষ্টায় সদাতৎপর। এই দলে রয়েছে: আব্দুল হাই শিকদার, শাহাবুদ্দীন নাগরী, আল মুজাহিদী ইত্যাদি। এরা সবাই বাংলাদেশবিরোধীচক্র জামায়াত-শিবির-বিএনপি’র দালাল। এই দলেরই চিরভণ্ড আব্দুল হাই শিকদার আমাদের দেশের পহেলা বৈশাখসম্পর্কে কী বলে তা একবার মন দিয়ে শুনুন।

ভিডিওলিংক এখানে দেওয়া হলো:
https://youtu.be/Fi7CIJ1PyoI

অতিসম্প্রতি হেফাজতিদের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক বৈঠক, এবং সেই একই বৈঠকে হেফাজতিদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্টচত্বর থেকে ‘লেডি অব জাস্টিস’-এর ভাস্কর্য সরানোর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমর্থন করেননি বাংলাদেশের বিবেকতুল্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন স্যার এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। ড. মুনতাসীর মামুন স্যার প্রধানমন্ত্রী-কর্তৃক কওমীমাদ্রাসার সনদকে ‘মাস্টার-ডিগ্রী’র সমমান-স্বীকৃতি দেওয়ারও বিরোধিতা করেছেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে একাত্তরের পাকিস্তানীদের গোলাম ও পরাজিত-দোসর জামায়াত-শিবিরচক্র। আর এই দেশবিরোধীগোষ্ঠী ড. মুনতাসীর মামুন স্যার ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফকে বাংলাদেশের ‘সবচেয়ে বড় নাস্তিক’ বলে তিরস্কার করেছে! ভেবে দেখুন, এরা কতবড় পশু! দেশের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তিতর্কে পেরে উঠতে না পেরে তাদের সরাসরি ‘নাস্তিক’ বলে ঘায়েল করতে চেয়েছে। আর এই শয়তানী-ভিডিওটি প্রচার করেছে এদেশের চিহ্নিত-পশুগোষ্ঠী জামায়াত-শিবিরের “তিতুমিরের বাঁশেরকেল্লা”।

ভিডিওলিংক এখানে দেওয়া হলো:
https://youtu.be/zARoZm3b720

যারা এইসব অপপ্রচার ও অপকর্ম করেছে, করছে, আর করবে—তারা নিজেদের মুসলমান বলে পরিচয় দিচ্ছে। আসলে, তারা কেউই মুসলমান নয়। এরা শুধুই ভণ্ড আর মানুষরূপীশয়তান। আর এরা নিজেদের ভণ্ডামি ও পশুত্বকে সবসময় আড়াল করার জন্য ইসলামধর্মকে ‘ঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করছে। কিন্তু এরা সবাই মুখোশধারীশয়তান।

এই চিহ্নিত-পশুগোষ্ঠী নিজেদের অপরাধ, পাপ, অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতন ইত্যাদি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাদের দেশের দুই প্রতিবাদীকণ্ঠস্বর ড. মুনতাসীর মামুন ও নাট্যব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকে আজ সাধারণ মানুষের কাছে নাস্তিকপ্রমাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই পশুগোষ্ঠী সবসময় এইধরনের অপকর্ম করে থাকে। এরা যখনই কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বুদ্ধিমত্তায়, চিন্তাচেতনায় ও সাহসিকতায় পেরে ওঠে না—তখন তাকে নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের ইত্যাদি বলে জনসমক্ষে ঘায়েল করতে চায়। আর এঁদের বিরুদ্ধে নিজেদের মনগড়া ও মিথ্যা অপপ্রচার চালায়।

প্রতিবাদীমানুষকে ঘায়েল করার জন্য সাম্প্রদায়িক-জঙ্গিগোষ্ঠী নানারকম জঘন্য মিথ্যাচারিতার আশ্রয়গ্রহণ করে থাকে। আর এরা মনে করে: তাদের দলের স্বার্থে মিথ্যা বলাটা সবসময় জায়েজ! কারণ, এই দেশে গোলাম আযম, সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদগং মিথ্যাচারিতার আশ্রয়গ্রহণ করেই রাজনীতি করেছিলো। আর এদেরই উত্তরসূরীরা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মমাফিক মিথ্যা বলে যাচ্ছে। আর প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। কিন্তু জাতি এই পশুগোষ্ঠীর সমূলে উৎখাত চায়।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৪/০৪/২০১৭

ছবি
সেকশনঃ সাম্প্রতিক বিষয়
লিখেছেনঃ সাইয়িদ রফিকুল হক তারিখঃ 24/04/2017
সর্বমোট 4032 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন