কাঁপিছে ধরণি ত্রাহি ত্রাহি রবে
চতুর্দিকে, অগ্নিস্ফুলিঙ্গ আর অস্ত্রের খঞ্জনে।
হিংসা-প্রতিহিংসার দহনে পুড়িছে বিশ্ব
মানুষ, মানুষের মাংস খাবলে খাচ্ছে হায়নার মত।
বিপন্ন জনতার কর্তিত মস্তক তুলে
বিভৎস শয়তানেরা আজ উল্লাসে কাঁপে।
নর পিশাচের বিকৃত উন্মাদে
লুন্ঠিত আজ মানবতা অস্ত্রের মুখে।
অবনি ঘামে কম্পনে
পিতার সম্মুখে আত্মজার বলাৎকারে!
ধরণি আজ অরুণি
নিবীর্য জনতার রক্তপানে।
দেশ কি বিদেশ, সর্বত্র রক্তের পিপাসা
সাবিত্রির কোলে সত্যবান রক্তমাখা!
শশ্মান হয়েছে সমুদ্র, সন্তানের লাশে
অবনিপতি ভাবিত মহাকালের ত্রাসে
সন্তানের শব যে আজ পিতার স্কন্ধে!
মহাকাল খেলছে সাপলুডু
নাটাই হাতে তার কোঁচকানো ভ্রু!
কার আছে হিম্মত হোক সম্মুখ
গ্রাস হবে সব পাপিষ্ঠ, মহাকাল উন্মুখ।
হোক বলবান শয়তান, কিংবা ক্ষমতার দাপুটে
কংসও হয়েছে ধ্বংস, কৃষ্ণের সুদর্শনে।
রাবণ মৃত্যু করেছে বরণ, রামের হস্তে
নৃসিংহ হয়ে মহাকাল, শ্রান্ত হয়েছে মানুষের রক্ত পানে।
সতীর আত্মহননে-
অবনি দেখিল মহাকালের প্রলয় নৃত্য
দ্যুলোক-ভূলোক কাঁপিল
প্রকম্পিত দক্ষ, যঞ্জ হল পন্ড।
দেহাছিন্ন হল সতী, বিছিন্ন তার ৫১ অঙ্গ।
মহাকাল হয়ে নটরাজ ঘটালো এই খন্ড বিধ্বংস।
দূর্যোধন, শকুনির ছলে, মাধব আসিল কুরুক্ষেত্রে
পরমাত্মা, সবাইকে বশিলো ছলনার কৌশলে।
কুরু বংশ হইল নির্বংশ ভীমের হস্তে
দ্রোপদি কেশ করিল ধৌত দুঃশাসনের রক্তে।
এভাবেই কোন কালে,
নিস্তার পাইনি কোন কিছু, রাম, রহিম কিংবা যীশু
এসেছে যাহা কিছু পৃথিবীতে অস্তিত্ব নিয়ে
একে একে সব গেছে মহাকালের গ্রাসে।
পাপ, পূর্নের বিচারে, পাপির হয়েছে সাজা
সত্য তাই পেয়েছে স্বর্গ, মহাকালের বিচারে।
ওরে পাপিষ্ঠ, চোখ খুলে দেখ্ ,বার্ধক্যও ওই দুয়ারে।
দেহান্তরে মহাকালের যমও আছে ওৎপেতে!