মেয়েদের যদি কোন সাধারণ ছেলে ইনবক্স করে তাহলে তারা বিরক্ত হয়।--উফ অসহ্য
আর যখন সেলিব্রেটি নক করে,ভাইয়া...আমার যে কি ভালো লাগছে।--উফ অসাম
যখন কোন সাধারণ ছেলে ইনবক্সে কথা বলার পর নাম্বার চায় তখন ছেলে হয়ে যায় লুচ্চা।--উফ বিরক্তিকর
আর যখন সেলিব্রেটি ইনবক্সে কথা বলার পর নাম্বার চায় তখন, ভাইয়া আপনার নাম্বার দেন আমি ফোন দিচ্ছি।--উফ ফ্যান্টাসটিক
যখন কোন সাধারণ ছেলে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কল দেয় তখন ছেলে হয়ে যায় ইতর,বদামাইশ,ধান্ধাবাজ,নারীখেকো ইত্যাদি ইত্যাদি।--উফ ছাগলামী
যখন কোন সেলিব্রেটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মেয়েদের ভিডিও ফোন দেয়,হুম ভাইয়া কেমন আছেন,জানো ভাইয়া আমি তোমার অনেক বড় ফ্যান,তোমাকে যে আমার কি ভালো লাগে বলে বুঝাতে পারবো না।ভাইয়া তোমার ওই লিখাটা,কবিতাটা,ছবিটা,গানটা আরো কত্তকি যে আমাকে কাছে টানে।উফ ভাইয়া,বুঝাতে পারবো না তোমাকে।তারপর সেলিব্রেটি পুরুষ-আচ্ছা আপু তোমার মুখটা একটু দেখি।
-না ভাইয়া!
-আরে দেখাও না।
-হুম,দেখছ?
-হুম,এবার একটু মাফলার সড়াও।
-হুম,সড়াইছি, দেখা যায়?
-হুম,এবার উড়নাটা সড়াও।
-হুম,সড়াইছি।
-এবার তোমার জামাটা একটু নিচে নামাও।😘
-না!
-না,নামাও একটু প্লিজ লক্ষীটি।
-না,ছি: ভাইয়া তুমি এমন!
-ওকে নামাতে হবে না,টুট টুট।
তারপর আবার ইনবক্সে,সেলিব্রেটি,
-স্যরি,আসলে আমি ড্রাংক ছিলাম।
-তাই বলে এমন!
-আরে বাবা বললামতো স্যরি।আর জীবনেও এমন হবে না।
-ওকে,ঠিক আছে।সত্যি আর যেন না হয়।
-হুম,গড প্রমিজ হবে না।
-মনে রেখ কিন্তু কথাটা।
-ঠিক আছে।
দুইদিন পর আবার অন্য মেয়ের সাথে....
ধরা না খাইলে এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকে আর যখন ধরা খায় জায়গা মত তখন.....সেলিব্রেটি,
আমার মা/বাবা অসুস্থ,আমাকে ক্ষমা করে দাও,আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,আমাকে ফাসিয়ে মাফ চাওয়ানো হচ্ছে,আমি মরে যাব,সুইসাইড করবো,আমার এম্বিশন সব ধুলিসাৎ হয়ে যাবে বলে না বাহনা শুরু।কিন্তু কে শুনে কার কথা,স্ক্রীনশট বেরিয়ে পরে।কিন্তু সমস্যা হলো গিয়ে সমস্যা না,দুইদিন পর সব ভুলে সেলিব্রেটিকে আবার মাথায় তুলে নাচাবো আর তাকে সাপোর্ট দিবো।আর বাদ দেন ভাই,কে কেমন তা জানা আছে,মেয়ে সাড়া না দিলে সেতো আর এমন বলার সাহস পেতো না।অত:পর ভক্তকুলের ব্যাপার বুঝে আবার অনলাইনে বিচরন অত:পর নতুন মাইয়াকে ফাদে ফালিয়ে আবার নাটক শুরু ধরা পরলে আর না পরলেতো বাদশাই।তবে কথায় আছে না,চোরের দশদিন আর গীরস্থের একদিন।