ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

"একুশ"র প্রণয়ের ফসল, ঘৃনা ভরে জানতে চায়, কে সেই লম্পট

"একুশ"র প্রণয়ের ফসল, ঘৃনা ভরে জানতে চায়, কে সেই লম্পট
“ত্রিবীদ”, হঠাতই মায়ের কাছে এসে বায়না ধরে, “বাংলাদেশের বই মেলা দেখতে যাবো। ছেলের বায়নায় মায়ের দু’চোখ জ্বলে ভরে উঠে। ত্রীবিদ মা’কে জড়িয়ে ধরে বললো, “থাক মা, “বই মেলায় যেয়ে কাজ নাই”।
অত:পর ত্রীবিদ ধীরে ধীরে তার পড়ার ঘরের চেয়ারে হেলান দিয়ে চুপচাপ বসে থাকলো।
মা “লক্ষ্মী” বাবার যে গল্প শুনিয়েছিলেন, “ বাবার সঙ্গে মায়ের পরিচয়, একুশের বই মেলায়। অত:পর পরিণয় ও বিয়ে। বাবা নাকি লেখক ছিলেন। আমার জন্মের পরেই বাবা সড়ক দুর্ঘনায় মারা গেছেন”। মা এখন অন্য ঘরে। এখানে আমার নতুন বাবা আর সংসার। বাবার আদর, মায়ের ভালোবাসার কোন কমতি নেই। কিন্তু একুশ আসলেই মনটা উদাস হয়ে যায়। বাবার পদচারনার পথের ধুলা পেতে চায়। বাবার অস্বিত্ব অনুভব করতে মন চায়। মৃত বাবার কথা নিয়ে মা’কে বিব্রত করতে চাইনি বলে চুপচাপ জীবন গঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছি।
মা “লক্ষ্মী” এখনো সেখানে মুখে আচল ঢেকে ঠায় বসে আছেন। কিংকর্তবিমুঢ় আজ তিনি। সন্তানকে বাংলা ভাষা শিখতে দেননি। বাংলায় অনেক কথা বলবে আর জানবে বলে। মা ভেবেছিলেন, বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস হলো, “কঠিন মিথ্যা বলা যায়না”।
কি করা উচিত, ত্রীবিদের মন স্থীর করতে পারছেনা। তার দু’চোখে জলে ভরে যাবার চেয়ে ক্ষীপ্র হয়ে উঠছে ক্রমশ:। হঠাৎ দ্রুতই, আবার মায়ের কাছে জেদ ধরে বলতে থাকে, “আমি বাংলাদেশে যেতে চাই। আমি বই মেলায় যেতে চাই। আমি সেই লম্পট লোকটিকে দেখতে চাই। আমি দেখতে চাই, আমি দেখতে চাই সেই লম্পট বাবা মুখোশ পরে আর কতজনকে বোকা বানাচ্ছে, মুখোশ পরে কতটা নির্লজ্জের মত বেঁচে আছে, আমি তার লোলুপ দৃষ্টি দেখতে চাই। সেই লম্পট বাবাকে দেখে আমার কতটুকু ঘৃনা আসে, তা আমি দেখতে চাই”। (কথাগুলো সরাসরি ত্রীবিদ তার মাকে ইংরেজীতে বলছিল।)
মা হতবাক, তবে নির্বাক। ছেলের কোন কথার উত্তর না দিয়েই বাড়ি থেকে বের হলেন। ছেলের জন্য ভিসা আর বিমানের টিকেট হাতে নিয়ে ছেলের সামনে ধরলেন।
ত্রীবিদ, অগোচরে মায়ের ডায়েরি পড়ে, ছবি দেখে জীবনের গতি থামিয়ে দিয়েছে। সে, তার মা’কে আদর্শ মা বলতে আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তার মনে শুধুই জিজ্ঞাস্য, “সেই লম্পট দেখতে ক্যামন?, আচ্ছা, তার লোলুপ দৃষ্টি কি এখনও তেমনই আছে ?
আজ ত্রীবিদের বয়স ২০ এ পা দিয়েছে। তাই, মায়ের চোখে চোখ রেখে দাবীর কথা বলছে।
রাতের আঁধারে ছাদের ওপর বসে মা (“লক্ষী’)উদ্বেগ আর ভাবনা। ছেলেকে মিথ্যে গল্প বলেছি। সে যাতে বাংলাদেশের কথা ভালোভাবে বলতে না পারে, বুঝতে না পারে, তাই তাকে বাংলা শিখাইনি। তাহলে কি ভুল হয়েছে? নাকি এটাই বাস্তবতা? মা, স্থীর করে ধরলেন যে, এটাই বাস্তবতা। তিনি ভুল করেছেন, ডায়েরির কথাগুলো না বলে। তিনি না বলে ভুল করেছেন যে, ২০ বছর আগে তার পিতা মারা গেছে, এই কথা বলে। ক্ষীপ্র সন্তানের চোখে আজ যে ঘৃনার জন্ম দিয়েছে, তারই ভরসায় হয়তো আরো আগেই বলা উচিত ছিল। বলা উচিৎ ছিল যে, আজ থেকে ২১ বছর আগে তোর বাবর সাথে দেখা হয়েছিল বই মেলায়। সেখানে অটোগ্রাফ চাইতে গিয়ে পরিণয়। ডায়রিতে অনেক সত্য কথা লিখা রয়েছে। গোপন, প্রকৃত সত্য ঘটনা পড়ার পরে ছেলের মনে যে ক্ষিপ্রতা, তাতে ডায়েরীতে খোলামেলা বাক্য চয়নের লজ্জা আজ স্পর্শ করছে না। অটোগ্রাফ চাইতে গিয়ে ত্রীবিদের জনকের তীব্র দৃষ্টিতে চোখে চোখ রাখার সাহস হয়নি। তবে এরকম একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নি:শ্বাস, চোখের ভাষায় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স (২১)। প্রণয়ের গভীরতায় এক সময় ত্রীবিদ জন্ম নেবার প্রথম পর্যায় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের প্রথায় অবিবাহিত নারীর সন্তান জন্মদান সর্বোচ্চ ঘৃনিত অপরাধ। বাবা-মা একঘরে হবেন, অনেক বদনাম হবে। এবার বিয়ের প্রসংগটি সেরে না নিলেই নয়। সদিনও প্রণয়ের উল্লেখযোগ্য দিন ছিল। লক্ষী তার বিখ্যাত লেখক প্রেমিকাকে বিয়ের কথা বললেন। হতবাক হয়ে সেই প্রেমিক মুখের উপরই না বলে দিলেন। বিয়ে আর প্রণয় এক নয়, ভালোবাসায় আবদ্ধ থেকে বিছানাতে কোন অপরাধ নাই।

২১ বছরের লক্ষী কোন কথারই প্রতিবাদ না করে, ধীর পায়ে নিজ গন্তব্যে পৌছে, বাবা-মা কে ঘটনা খুলে বলেন। ততক্ষনে ত্রীবিদকে হত্যা করার সময়ও পেরিয়ে গেছে। ধনী বাবার সন্তান। বাবার অনেক বদনাম হবে। তাই পরিবারকে বাঁচাতে বাবা-মাকে রাজী করিয়ে ২০ বছর আগ হতে অন্য ভাষাভাষির দেশে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়। হ্যা, সত্যিই তো, প্রণয় আর বিয়ে এক কথা নয়। প্রণয়ের কারণে, বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসও প্রতারক শব্দের পর্যায়ে পরেনা।

ডায়েরির পাতায় এর মাঝে অনেক পথ চলার কথা লিখা আছে। ত্রীবিদের বয়স যখন ৭। ত্রীবিদ জানতে চায় “আসলে বাবা দেখতে ক্যামন, তিনি কি আদর করেন, তিনি কি চকোলেট, আইসক্রীম আনেন?” বলতে হলো, পৃথিবীর সকল সন্তানের বাবারা ছেলের জন্মদাতা। মা জন্মদাতা-লালন কর্তা। অন্যান্যদের মত তারও বাবা ছিলেন। তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
ডায়েরির একটি স্থানে, লক্ষী উল্লেখ করেছে, “আমি ভেবে পাইনি, কিভাবে আমি এ লোকটার প্রণয়ে পরলাম। প্রণয় চলাকালীন কয়েকদিনের মধ্যে আবিষ্কার করেছিলাম, এই লোকটি আরও কয়েকটি মেয়ের প্রণয়ে পরেছিল। আমি অনেক আবেগী ছিলাম। সরল মনে বিশ্বাস করলাম যে, আমিই শেষ নারী হবো। আমি তা পারবো। ভালোবাসার সবটুকু উজার করে দিলাম। লেখকরা মিথ্যা বলতে ভয় পায়। তাই, বিশ্বাস করে নিলাম। কারণ সে নিজ মুখে বলেছে, আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হবে। ত্রীবিদ তখন গর্ভে ৪ মাসের। আমি সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে, আমি নাকি তার লেখার একটা অনুসর্গ হিসাবে কাজ করেছি। আমি নাকি তার কামনাকে ধারন করে, নিবারন করার কাজ করেছি। আমার মত আর সবাই আবদার করে কোন ফল পায়নি। আমার কানে আজো বাজছে, “ মহারথি, মনিষি, বিদ্যান, কবি, লেখক,” এরা কোন মিথ্যা বলেনা। অপমান আমায় সেদিন দগ্ধ করে ফেলেছিল। তারপরেও আমি সেদিন নিজর কাছে হার না মেনে গর্বই করেছি। আমার কাছে সেদিন মনে হয়েছিল, “লজ্জাস্থান মানেই চরিত্র নয়”। চরিত্র মুখে, মনে জ্বল জ্বল করে। আমি সেই লোকটির ভিতরে চরিত্রের কোন আলো পাইনি। সেই থেকে আমি কোন পাপ বোধে ভুগি নাই। বরং এটুকু শিক্ষা হলো, দেশ আজ কোন পথে যাচ্ছে। এ লোকটি একটা বড় সম্পর্ককে নিজের লজ্জাস্থানের মধ্যে নিয়ে এসেছে। সরকার, জনগন মুখোশের আড়ালটা দেখতে পায়নি। এ লোক যে, সমাজে অরাজগতার কাজে নিয়োজিত, নষ্টের মাধ্যম তৈরীতে, তার আদলেই কাজ করেছে। লেখার নামে কিছু কাম শিহরিত লেখা লিখে দেশের কি উদ্ধার করেছে, তা আমি জেনেছি। কাম শিহরিত লেখায় বিশষেজ্ঞ একটি লোকটি তার যৌন স্থান বিক্রী করে দিতে কোন সমস্যা মনে করেনা। তবে, মুখোশটাকে আঁকড়ে আছে, ধোকা দেবার মানসিকতায়।
ত্রীবিদকে জন্মের পরে বলা হয়েছিল বাবা মারা গেছে। ভুল হয়েছে। আমার আত্মত্যাগ বা প্রতারনার শিকার হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হলে হয়তো ত্রীবিদ আজ এমন প্রশ্ন করতো না। বাংলা পড়তে পারলে সব জেনে ফেলবে, এটা ভাবাও ঠিক হয়নি।

অবশেষে, ২০ বছরে পা দেওয়া ত্রীবিদ বই মেলার মাটিতে। সেখানে প্রত্যাশিত ওই লোকটির চেয়ার সম্পর্কের বিষটি জেনে ও দেখে মায়ের ডায়েরির লেখা বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের একটা দ্বন্দ শুরু হয়ে গেলো ত্রীবিদের মধ্যে। সময় জ্ঞান সম্পর্কে জানা না থাকায় প্রতিক্ষার পর পরীক্ষা। অবশেষে কয়েকদিন কয়েকশত মহুর্ত বার দেখল। পা থেকে মাথা পর্যন্ত, পর্যবেক্ষন। মায়ের লেখা ডায়েরির সাথে বিষয়টি যেন মিলছে না।
ডায়েরিতে লেখা একটি বাক্য ত্রীবিদের মনযোগ আকর্ষন করলো। সেই বাক্যটি মিলিয়ে দেখবার চেষ্টা করলো এবং মিলে গেলো যে, লম্পট লোকটি অপেক্ষাকৃত তরুনী আর সুন্দীদের সাথে মিলছেন, কথা বলছেন বেশ। চোখেমুখে একটা কামনার রেখা স্পষ্ট। চলার গতিতে তোষামদি, প্রতারনা আর টিকে থাকবার জন্য কাচুমাচু হয়ে থাকার দৃশ্যটি চোখ এড়ালোনা ত্রীবিদের। তীব্র কামনা, মুখোশের অন্তরালে, প্রতারনা করে প্রতাপ অর্জন করেছে। এসব বিশ্লষনে, ত্রীবিদ স্থির সিদ্ধান্তে পৌছাল, “পড়ন্ত বিকালের বই মেলায়, যুবতী মা সেদিন এই লোকটির তীব্র কামনাকে উপেক্ষা করতে পারেনি। মাকে দেওয়া কথা এই লোকটি রাখেনি, মাকে মায়ের মর্যাদা দেয়নি। মিথ্যে বলা এই লোকটিকেই আমার মা, আমার কাছে মৃত বলে উপস্থাপন করেছে।
ত্রীবিদের কোন মতেই কান্না পেলোনা। বাঙালী মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া ত্রীবিদ, বাংলার সমস্থ কৃষ্ট, কালচার, সামাজিকতা কোন কিছুই ধারনা করতে পারেনি। তবে, কয়েকশত মহুর্তবারের পর্যালোচনা ত্রীবিদ একটা সিদ্ধান্ত যে, তার মা একটা বড় মাপের প্রতারকের খপ্পরে পরেছিল। আর এই প্রতারক লোকটিই তার জন্মদাতা। আত্মবিশ্বাসী ইংরেজীভাষী ও কালচার ধারন করা ত্রীবিদ মনে মনে স্থির করলো যে, প্রণয়ের নামে, মিথ্যা আশ্বাসে যৌন স্থাপন করা আর ধর্ষন একই। কোন ধর্ষক, প্রতারক ব্যক্তিকে পিতা বলে পরিচয় দেবার চেয়ে, এটাই মনে করে প্রশান্তি যে, একটা বিশেষ জীবন্ত মানুষকে আমি মৃত ভাবতে পারছি, মনে হচ্ছে, এটা একটা অশুভ প্রেতাত্মা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই লক্ষজনের মধ্যে কমপক্ষে আমি তো আমার মাকে বুঝতে পারছি। এটাও বুঝতে পারছি, আমি ঘৃনা করতে পারছি। পরিচয় প্রকাশ করতে আমারই ঘৃনা হচ্ছে।

বেড়ে উঠা ভূমিতে ফিরে গেলো ত্রীবিদ। সেখানকার কালচারে বড় হওয়া ত্রীবিদ শান্ত সুরে বললো, “ মা, তুমি প্রতারিত হয়েও জিতে গেছ। তুমি, আমাকে লালন-পালন করে দেখিয়ে দিয়েছ, এটাই মানবতা, আর ত্যাগ ভালোবাসা। একটু বর্ণনা করে ত্রীবিদ মাকে বলতে শুরু করলো যে, লোকটির চোখে মুখে আমি লোলুপ কামনার আগুন দেখেছি, প্রতারনার মুখোশ দেখেছি, মিথ্যা আর তোষামদির ফসল একটি সুউচ্চ চেয়ার দেখেছি। এরকম কোন খারাপ মানুষকে নিশচই আমি পিতা বলবো না। আমি কিছুতেই এই লোকটির পরিচয় নিজের সাথে জড়াতে চাইনা।

প্রসন্নবোধকারী মায়ের সরাসরি প্রশ্ন, “তাহলে তুমি কোন পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে? অবস্থাদৃষ্টে তোমার সিদ্ধান্তের প্রকৃত কথা কোনটি?
মায়ের মুখ থেকে কথা প্রায় কেড়ে নিয়েই ত্রীবিদ বলতে লাগলো, “ আমি যে কালচার ধারন করেছি, তাতে আমি আমার মায়ের পরিচয় বহন করবো। আমার বয়স আজ ২০। তোমার প্রণয়ের বয়স আজ ২১। প্রায় সম বয়সি অভিজ্ঞতার আলোকে আমার সিদ্ধান্ত এই যে, তুমি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছ, সেই দেশের ১৬ কোটি লোকের মুখের ওপর মুখোশ পরে একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক বসে আছে। মিথ্যাচার, যৌনতা, বিবেক বিক্রেতা, তোষামোদ করে অনেক বড় চেয়ার হরণ করেছে। আমি বাঙালী হলেও এইরকম প্রতারককে কখনই পিতা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতাম না। মা, তুমি অনেক কথা লিখেছ, তবে আমাকে বাবা সম্পর্কে যখন মৃত ব্যক্তি বলে পরিচয় দিলে, তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, তোমার ডায়েরিতে লেখা আত্মহত্যা করেছে। একটা প্রতারক এদিক ওদিক চলছে মাত্র। আর মা, তুমি তো জানোই যে, প্রতাত্মারা অধিকাংশই ইভিল হয়। এই ইভিলরা, সমাজের, দেশের অমঙ্গলের জন্যই কাজ করে। বাংলাদেশে যে চেয়ার তাকে দেওয়া হয়েছে, তাতে আমার অনুসন্ধানে বের হওয়া, ওই লোকটি শুধু জঙ্গী সমর্থন নয়, জঙ্গী বৃদ্ধির কার্যক্রমকে অনেক সাহায্য করছে। দূর্নীতিবাজ লোকদের সাথে মিশে অর্থ উপার্জন করছে। সারাদেশের বৃদ্ধিজীবিদের বোকা বানাচ্ছে। মুখোশ পরে প্রগতশীলদের মধ্যে ঢুকে আছে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে এই লোক ধোকা দিচ্ছে।

একটু হেসে, মায়ের চিবুক ধরে ত্রীবিদ শান্ত কণ্ঠে বললো, বাংলাদেশের সকল মানুষই বোকা হয়ে আছে। তারা বই মেলায় আসা একজন প্রতারকের কিছু বই হয়তো কিনবে, বড় আসনে বসে লোকটি হয়তো গম্ভীর কোন বক্তব্য দিবে। জানো মা, লৌকটি সমগ্র বাংলাদেশকে বোকা বানিয়েছে, কিন্তু ওই লোকের প্রকৃত সত্য ঘটনাবলী আমরা মা ও ছেলে জানি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, কোট টাই পরা, একটা প্রেতাত্মা ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। তাই আমার সিদ্ধান্ত, “এ প্রতারক, ধর্ষক আমার পিতা নয়, সে আমার মায়ের ধর্ষক। তবে, আমাকে এখন বাংলা ভাষা শিখতে হবে। বাংলা ভাষা শিখে আমি জানতে চাই এই প্রতারক ধর্ষক বাংলাদেশের মানুষের কাছে কতগুলো যৌন সুরসুরি দেওয়া চটি বই লিখেছে, লিখছে, বাংলাদেশের মানুষকে কতভাবে ধোকা দিয়েছে, কত মিথ্যা প্রতিষ্ঠা করে একটা বড় চেয়ার দখল করেছে।

মায়ের মুখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠে। ত্রীবিদের কপালে একটা চুম্বন দিয়ে বলে, তোমার বয়স এখন ২০। তোমাকে ১০ বছর বয়সেই ডায়েরী পড়ার অনুমতি দিলে হয়তো ভালো হতো। আমি এই ভেবে প্রসন্ন বোধ করছি যে, একজন প্রতারক আমার স্বামী নয়। আমার সন্তান একজন প্রতারককে পিতা বলে পরিচয় ব্যাক্ত করতে ঘৃনা বোধ করছে।

ছবি
সেকশনঃ গল্প
লিখেছেনঃ আত্মা তারিখঃ 03/02/2017
সর্বমোট 7076 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন