ব্যাকগ্রাউন্ড

ফেইসবুকে!

ন্যায় বিচার পাবার জন্য এই কাজটি করলে কেমন হয়?


কোন অফিসে কোন কাজের জন্য গেলে আমার যে অভিজ্ঞতাটা হয় তা এরকম-

খুব আন্তরিকতার ভাব দেখিয়ে অফিসে বসিয়ে এককাপ চা খাইয়ে, আমার লেখার ভূয়সী প্রশংসা করে। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে মুখ কাঁচুমাচু করে ভদ্রলোকেরা মুখে একটা কষ্ট কষ্ট ভাব আনার চেষ্টা করে। ইনিয়ে-বিনিয়ে তার নিজের পরিবারেরও যে মুক্তিযুদ্ধে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল সেটা প্রমাণের জন্য কল্পিত আপন পড়াতো ভাইয়ের বিশাল ভূমিকা বর্ণনা করে। মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ একটা মর্যাদা দেখানোর ভঙ করে।

এমন পরিবারে জন্মানোর জন্য আমার ভাগ্যকে ঈর্ষা করে। আমাদের মতো পরিবারকে সহযোগিতার জন্য সরকারের হিমালয় বানিয়ে তার উপরে সদরকোঠা করে দেওয়া উচিৎ সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত ব্যক্ত করে। আমাদের দুরবস্থা দেখে যে তাদের বুকের রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম সেটি নিশ্চিত করার জন্য ভঙ প্রকাশ করে। আমাদের জন্য কিছু করতে পারলে যে তারা স্বর্গসুখ পাবেন সে ব্যাপারে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করে। শেষমেশ আমার কাজটি না করে নানান অজুহাতে আমাকে ফিরিয়ে দেয়। এটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে শ্রদ্ধা জানানোর চেতনার-ফেরিওয়ালা স্টাইল।

ঘুষ নিয়ে আরেকজনের সেই একই কাজ পলকে তারাই করে দিচ্ছে। আমারটা কোনোভাবেই হচ্ছে না। প্রিয় রাজনীতিবিদ, সরকারী চাকুরে ও আশপাশের লোকজন যারা এটা করছে সেটা শুধু আমার সাথেই করছে না, সবার সাথেই করছে। আমরা ভুক্তভুগিরা যদি তাদের এ অপকর্মগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ ইত্যাদিতে প্রকাশ করি তবে সেটি একটি প্রতিবাদ হতে পারে।আমরা কী কাজটি করতে পারি না? লেখাই আমাদের শক্তি, আমরা এটা কাজে লাগাতেই পারি।  

ছবি
সেকশনঃ সাধারণ পোস্ট
লিখেছেনঃ যুক্তিযুক্ত তারিখঃ 31/01/2017
সর্বমোট 4933 বার পঠিত
ফেসবুকের মাধ্যমে কমেন্ট করুণ

সার্চ

সর্বোচ্চ মন্তব্যকৃত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

এই তালিকায় একজন লেখকের সর্বোচ্চ ২ টি ও গত ৩ মাসের লেখা দেখানো হয়েছে। সব সময়ের সেরাগুলো দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন