এই তো কিছুদিন আগে ছেলের সাফল্যের প্রকাশ হিসেবে তার স্কুলের শিক্ষকদের জন্য মিষ্টি নিয়ে গেছি। আমার ছেলেও আমার আসে। ছেলে ও তার শিক্ষকের মধ্যে কথোপকথন-
- প্রত্যয়, দেশের সেরা যায়গায় চাঞ্চ পেলে, এবার তো তাহলে দেশের বাইরে যাচ্ছ না?
- দেখি স্যার। আমেরিকার কয়েকটা ইউনিভার্সিটি বেস্ট স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে আমাকে অফার করেছে। ভাবছি কী করব!
- তুমি আমাদের এভার স্টুডেন্ট। যেখানেই থাকো দেশের কথা ভাববে।
- থ্যাংক ইউ স্যার। আমি দেশের জন্যই বড় হচ্ছি। আমাদের প্রিভিয়াস জেনারেশনের মিলিয়নস অব পিপলস এর রক্ত মিশে আছে এ মাটির সাথে। মিশে আছে আমার গ্রান্ডফাদারের রক্ত। আমার চাচাদের ফ্রিডম ফাইটিংয়ের প্রাউড হিস্ট্রি আছে। আমার বাবা-মা চিন্তা-চেতনায় খাঁটি মানুষ। আমি তাদের ইথিকসকে ধারণ করি।
আমি দেশের মানুষকে দোষ দেই না, দে আর মিস গাইডেড। প্রপার গাইডেন্সের জন্য প্রজন্মেরও দায়িত্ব আছে। আমি সেটা বিবেচনায় রাখি। আই এ্যাম প্রাউড টু বি দ্য সান অব দিস সয়েল এন্ড প্রাউড টু বি দ্য মেম্বার অব দ্য হিস্ট্রিক্যাল ফ্যমিলি হু হ্যাড এনোরমাস কন্ট্রিবিউশন ফর দ্য ইনডিপেনডেনস।
শিক্ষক এবং আমি পাশে রাখা টিস্যু বক্স থেকে দুটো টিস্যু পেপার তুলে নিয়ে চোখ মুছলাম। এই তরুণের এমন দৃঢ় এবং আবেগঘন দেশত্ববোধের কথায় দুজনের চোখই ভিজে গেছে। শিক্ষক আমাকে বললেন, স্যার, আপনাকে স্যালুট। আপনার মতো পিতা আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। আপনাকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই।